alt

সম্পাদকীয়

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

: শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের বিভিন্ন শিল্প এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ দূষণ এবং মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি একটি অবহেলিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে গড়ে ওঠা ইউনিফিল (টু ফেব্রিক্স লিমিটেড) ডাইং কারখানার বর্জ্য আশপাশের পরিবেশ ও জনগণের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। খেলার মাঠের জায়গায় কারখানা গড়ে উঠলেও, সেখান থেকে নির্গত কেমিক্যালযুক্ত পানি ও বর্জ্য এলাকাবাসীর জীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উল্লিখিত কারখানার কেমিক্যালযুক্ত পানি এলাকাবাসীর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। এমনকি, স্থানীয় মৎস্য খামারের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি জমি যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়নি, সেখানে কীভাবে এবং কেন একটি কারখানা নির্মাণ হলো? এটি কি প্রশাসনিক অবহেলা, না কি সরকারি জমির লঙ্ঘন এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি মারাত্মক বিপর্যয়?

সরকারি জমি এবং সম্পত্তি অবাধে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা গেলে, সেটি শুধু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্বলতারই প্রতিফলন নয়, বরং এটি জনগণের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের প্রতি অবহেলাও নির্দেশ করে। এ ধরনের প্রকল্পগুলো সরাসরি জনগণের ওপর প্রভাব ফেলে, তাই এমন কার্যক্রমের আগে যথাযথ পর্যালোচনা ও অনুমোদন জরুরি। কোনো প্রকার ক্ষতি ও অপব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর নীতি এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।

জনগণের সচেতনতা এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবিলম্বে প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উচিত এই ধরনের পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, যাতে স্থানীয় জনগণ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে পারে। যদি এই বিষয়ে কোনো অনিয়ম ও অবহেলা প্রমাণিত হয়, তবে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এ ধরনের পরিবেশ দূষণ থেকে জনগণের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা এবং কার্যকর পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ড

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

খেজুর গাছ গবেষণা ক্ষেত্রের বিপর্যয় : রক্ষার পথে পদক্ষেপ জরুরি

ইজতেমা ময়দানে সংঘাত : কেন ব্যর্থ হলো সমঝোতা প্রচেষ্টা?

ফেরি চালু করে জনদুর্ভোগ দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

দেশের বিভিন্ন শিল্প এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ দূষণ এবং মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি একটি অবহেলিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের নোয়াপাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে গড়ে ওঠা ইউনিফিল (টু ফেব্রিক্স লিমিটেড) ডাইং কারখানার বর্জ্য আশপাশের পরিবেশ ও জনগণের স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। খেলার মাঠের জায়গায় কারখানা গড়ে উঠলেও, সেখান থেকে নির্গত কেমিক্যালযুক্ত পানি ও বর্জ্য এলাকাবাসীর জীবনে দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উল্লিখিত কারখানার কেমিক্যালযুক্ত পানি এলাকাবাসীর মধ্যে শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। এমনকি, স্থানীয় মৎস্য খামারের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারি জমি যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়নি, সেখানে কীভাবে এবং কেন একটি কারখানা নির্মাণ হলো? এটি কি প্রশাসনিক অবহেলা, না কি সরকারি জমির লঙ্ঘন এবং পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি মারাত্মক বিপর্যয়?

সরকারি জমি এবং সম্পত্তি অবাধে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা গেলে, সেটি শুধু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্বলতারই প্রতিফলন নয়, বরং এটি জনগণের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের প্রতি অবহেলাও নির্দেশ করে। এ ধরনের প্রকল্পগুলো সরাসরি জনগণের ওপর প্রভাব ফেলে, তাই এমন কার্যক্রমের আগে যথাযথ পর্যালোচনা ও অনুমোদন জরুরি। কোনো প্রকার ক্ষতি ও অপব্যবহার প্রতিরোধে কার্যকর নীতি এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ আবশ্যক।

জনগণের সচেতনতা এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবিলম্বে প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের উচিত এই ধরনের পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, যাতে স্থানীয় জনগণ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে পারে। যদি এই বিষয়ে কোনো অনিয়ম ও অবহেলা প্রমাণিত হয়, তবে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এ ধরনের পরিবেশ দূষণ থেকে জনগণের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা এবং কার্যকর পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

back to top