উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। একটি শিশুর মৌলিক ভিত্তি তৈরি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একটি জাতি কিভাবে তৈরি হবে তা নির্ভর করে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর। প্রাথমিক শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকারও বটে! দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক।
দেশে শিক্ষা খাতে রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। বিশেষ করে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষায় বিদ্যমান বাস্তবতায় রয়েছে ব্যাপক সমস্যা, সংকট ও বৈষম্য। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ ও প্রশ্ন।
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনারায়নপুর ইউনিয়নের বৈকুন্ঠপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ছোট। নানাবিধ সমস্যার কারণে সেখানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সিমানা প্রাচীর না থাকায় বিদ্যালয় থাকছে অরক্ষিত। বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, সাতজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে অনেক অভিভাবককেই দুশ্চিন্তা করতে হয়। কোনো কোনো বিদ্যালয় সম্পর্কে এমনও অভিযোগ মেলে যে, সেখানে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করবার ন্যূনতম পরিবেশ নেই। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত সমস্যা থাকে তাহলে শিক্ষাদানের পরিবেশ ব্যাহত হয়। শিক্ষক অপ্রতুলতার সমস্যা থাকলে শিক্ষার মান নিয়েও থাকে প্রশ্ন।
ইউনেস্কোর তথ্যমতে, একটি দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল মোট জিডিপির ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। পরের অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা এবং সামগ্রিক পরিবর্তন প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর, খেলার মাঠ, পাঠাগার, শিক্ষকের সংখ্যা, এবং শিক্ষার পরিবেশ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন যথাযথ বাজেট বরাদ্দ এবং শিক্ষাক্রমের সংস্কার। শিশুর শিক্ষা, তার নিরাপত্তা এবং তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এই সব মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
আমরা বলতে চাই, বৈকুন্ঠপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষকের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দিতে হবে জরুরিভিত্তিতে।
শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫
উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। একটি শিশুর মৌলিক ভিত্তি তৈরি হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একটি জাতি কিভাবে তৈরি হবে তা নির্ভর করে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর। প্রাথমিক শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকারও বটে! দেশে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক।
দেশে শিক্ষা খাতে রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। বিশেষ করে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষায় বিদ্যমান বাস্তবতায় রয়েছে ব্যাপক সমস্যা, সংকট ও বৈষম্য। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ ও প্রশ্ন।
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনারায়নপুর ইউনিয়নের বৈকুন্ঠপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ছোট। নানাবিধ সমস্যার কারণে সেখানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া সিমানা প্রাচীর না থাকায় বিদ্যালয় থাকছে অরক্ষিত। বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, সাতজন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে উপজেলা শিক্ষা দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে অনেক অভিভাবককেই দুশ্চিন্তা করতে হয়। কোনো কোনো বিদ্যালয় সম্পর্কে এমনও অভিযোগ মেলে যে, সেখানে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করবার ন্যূনতম পরিবেশ নেই। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত সমস্যা থাকে তাহলে শিক্ষাদানের পরিবেশ ব্যাহত হয়। শিক্ষক অপ্রতুলতার সমস্যা থাকলে শিক্ষার মান নিয়েও থাকে প্রশ্ন।
ইউনেস্কোর তথ্যমতে, একটি দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল মোট জিডিপির ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। পরের অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা এবং সামগ্রিক পরিবর্তন প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর, খেলার মাঠ, পাঠাগার, শিক্ষকের সংখ্যা, এবং শিক্ষার পরিবেশ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন যথাযথ বাজেট বরাদ্দ এবং শিক্ষাক্রমের সংস্কার। শিশুর শিক্ষা, তার নিরাপত্তা এবং তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য এই সব মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
আমরা বলতে চাই, বৈকুন্ঠপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষকের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দিতে হবে জরুরিভিত্তিতে।