alt

opinion » editorial

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

: শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালটি ২০০৬ সালে ১০০ শয্যা থেকে ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় এবং ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর এটি ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে অনুমোদন পায়। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও জনবল কাঠামো রয়ে গেছে ১০০ শয্যার হাসপাতালের মতোই। ফলে রোগীদের সঠিক সেবা দিতে গিয়ে হাসপাতালটির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম সংকটে পড়ছেন।

এই হাসপাতালে বর্তমানে ৯ জন চিকিৎসকসহ মোট ৪৩টি পদ শূন্য। এর মধ্যে সার্জারি, ইএনটি এবং গাইনির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের কোনো কনসালটেন্ট নেই। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় আইসিইউ সেবায় অজ্ঞানবিদ এবং ওয়ার্ড বয় ও আয়ারও ঘাটতি রয়েছে। অথচ প্রতিদিন এই হাসপাতালে বহির্বিভাগে প্রায় দেড় হাজার এবং অন্তঃবিভাগে প্রায় ৫০০ রোগী সেবা নিচ্ছেন।

২৫০ শয্যার হাসপাতালে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে সেবা চালানো এক ধরনের অবাস্তব পরিস্থিতি তৈরি করেছে। চিকিৎসকদের এই অপ্রতুলতা শুধু জয়পুরহাট জেলার রোগীদের জন্য নয়, আশপাশের নওগাঁ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও দিনাজপুরের রোগীদের জন্যও বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার ফলে অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে অন্যত্র যেতে হয়- যা সময়, অর্থ এবং রোগীদের শারীরিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিশেষত আইসিইউ সেবা প্রদানে জনবলের অভাব একটি বড় সমস্যা। ছয়জন অজ্ঞানবিদ এবং ১০ জন ওয়ার্ড বয় ও আয়ার অভাবে আইসিইউ কার্যক্রম পর্যাপ্তভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। গুরুতর রোগীদের জন্য এই সেবা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এর অভাব অনেক সময় জীবন-মৃত্যুর ব্যবধান তৈরি করতে পারে।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ, নার্স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মীর পদ পূরণ ছাড়া এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব।

এছাড়া হাসপাতালের পরিচালনা কাঠামো আধুনিকায়ন এবং কর্মীদের কর্মপরিধি নির্ধারণ করতে হবে। নতুন জনবল কাঠামো প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন ছাড়া এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

opinion » editorial

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫

জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালটি ২০০৬ সালে ১০০ শয্যা থেকে ১৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় এবং ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর এটি ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে অনুমোদন পায়। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও জনবল কাঠামো রয়ে গেছে ১০০ শয্যার হাসপাতালের মতোই। ফলে রোগীদের সঠিক সেবা দিতে গিয়ে হাসপাতালটির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম সংকটে পড়ছেন।

এই হাসপাতালে বর্তমানে ৯ জন চিকিৎসকসহ মোট ৪৩টি পদ শূন্য। এর মধ্যে সার্জারি, ইএনটি এবং গাইনির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের কোনো কনসালটেন্ট নেই। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় আইসিইউ সেবায় অজ্ঞানবিদ এবং ওয়ার্ড বয় ও আয়ারও ঘাটতি রয়েছে। অথচ প্রতিদিন এই হাসপাতালে বহির্বিভাগে প্রায় দেড় হাজার এবং অন্তঃবিভাগে প্রায় ৫০০ রোগী সেবা নিচ্ছেন।

২৫০ শয্যার হাসপাতালে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে সেবা চালানো এক ধরনের অবাস্তব পরিস্থিতি তৈরি করেছে। চিকিৎসকদের এই অপ্রতুলতা শুধু জয়পুরহাট জেলার রোগীদের জন্য নয়, আশপাশের নওগাঁ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও দিনাজপুরের রোগীদের জন্যও বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার ফলে অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে অন্যত্র যেতে হয়- যা সময়, অর্থ এবং রোগীদের শারীরিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিশেষত আইসিইউ সেবা প্রদানে জনবলের অভাব একটি বড় সমস্যা। ছয়জন অজ্ঞানবিদ এবং ১০ জন ওয়ার্ড বয় ও আয়ার অভাবে আইসিইউ কার্যক্রম পর্যাপ্তভাবে পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। গুরুতর রোগীদের জন্য এই সেবা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এর অভাব অনেক সময় জীবন-মৃত্যুর ব্যবধান তৈরি করতে পারে।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ, নার্স এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর্মীর পদ পূরণ ছাড়া এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব।

এছাড়া হাসপাতালের পরিচালনা কাঠামো আধুনিকায়ন এবং কর্মীদের কর্মপরিধি নির্ধারণ করতে হবে। নতুন জনবল কাঠামো প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন ছাড়া এ সংকট সমাধান সম্ভব নয়।

back to top