নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নতুন বই বিতরণের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ উদ্বেগজনক। সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণের যে মহৎ উদ্যোগ, তা শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দদায়ক হওয়ার কথা, কিন্তু এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
সরকার প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার যে অঙ্গীকার করে, সেটি শিক্ষার অধিকারের পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়ের প্রতীক। কিন্তু বিষ্ণুপুর সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সেই অঙ্গীকারকে ভঙ্গ করার সমতুল্য। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় এবং টাকা না দেয়ার কারণে কিছু শিক্ষার্থীকে বই না দেয়া নিঃসন্দেহে নীতিবহির্ভূত ও অমানবিক। এমন একটি ঘটনা শিক্ষার্থীদের মাঝে অসমতা ও বঞ্চনার বীজ বুনে দেয়, যা তাদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রধান শিক্ষিকার দাবি অনুযায়ী, এই অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই প্রশ্ন থেকেই যায়, কেন এই অর্থ আদায়ের জন্য কোনো বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলো না? কেন বই বিতরণের সঙ্গে এই অর্থ আদায়ের বিষয়টি যুক্ত হলো? শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সময় রসিদ না দেয়া এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতির দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারা আরও একটি গুরুতর সমস্যা।
সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ একটি বিশেষাধিকার, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অসদাচরণ সরকারের উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং ইউএনও-র বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, বই বিতরণের জন্য অর্থ আদায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শুধু তদন্ত করলেই দায়িত্ব শেষ হবে না।
টাকা নিয়ে বই দেয়ার অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
রোববার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নতুন বই বিতরণের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ উদ্বেগজনক। সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণের যে মহৎ উদ্যোগ, তা শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দদায়ক হওয়ার কথা, কিন্তু এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
সরকার প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার যে অঙ্গীকার করে, সেটি শিক্ষার অধিকারের পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়ের প্রতীক। কিন্তু বিষ্ণুপুর সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সেই অঙ্গীকারকে ভঙ্গ করার সমতুল্য। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় এবং টাকা না দেয়ার কারণে কিছু শিক্ষার্থীকে বই না দেয়া নিঃসন্দেহে নীতিবহির্ভূত ও অমানবিক। এমন একটি ঘটনা শিক্ষার্থীদের মাঝে অসমতা ও বঞ্চনার বীজ বুনে দেয়, যা তাদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রধান শিক্ষিকার দাবি অনুযায়ী, এই অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই প্রশ্ন থেকেই যায়, কেন এই অর্থ আদায়ের জন্য কোনো বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলো না? কেন বই বিতরণের সঙ্গে এই অর্থ আদায়ের বিষয়টি যুক্ত হলো? শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সময় রসিদ না দেয়া এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতির দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারা আরও একটি গুরুতর সমস্যা।
সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ একটি বিশেষাধিকার, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অসদাচরণ সরকারের উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং ইউএনও-র বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, বই বিতরণের জন্য অর্থ আদায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শুধু তদন্ত করলেই দায়িত্ব শেষ হবে না।
টাকা নিয়ে বই দেয়ার অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।