alt

opinion » editorial

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

: রোববার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নতুন বই বিতরণের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ উদ্বেগজনক। সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণের যে মহৎ উদ্যোগ, তা শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দদায়ক হওয়ার কথা, কিন্তু এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

সরকার প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার যে অঙ্গীকার করে, সেটি শিক্ষার অধিকারের পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়ের প্রতীক। কিন্তু বিষ্ণুপুর সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সেই অঙ্গীকারকে ভঙ্গ করার সমতুল্য। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় এবং টাকা না দেয়ার কারণে কিছু শিক্ষার্থীকে বই না দেয়া নিঃসন্দেহে নীতিবহির্ভূত ও অমানবিক। এমন একটি ঘটনা শিক্ষার্থীদের মাঝে অসমতা ও বঞ্চনার বীজ বুনে দেয়, যা তাদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রধান শিক্ষিকার দাবি অনুযায়ী, এই অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই প্রশ্ন থেকেই যায়, কেন এই অর্থ আদায়ের জন্য কোনো বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলো না? কেন বই বিতরণের সঙ্গে এই অর্থ আদায়ের বিষয়টি যুক্ত হলো? শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সময় রসিদ না দেয়া এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতির দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারা আরও একটি গুরুতর সমস্যা।

সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ একটি বিশেষাধিকার, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অসদাচরণ সরকারের উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং ইউএনও-র বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, বই বিতরণের জন্য অর্থ আদায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শুধু তদন্ত করলেই দায়িত্ব শেষ হবে না।

টাকা নিয়ে বই দেয়ার অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

রোববার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিষ্ণুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নতুন বই বিতরণের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ উদ্বেগজনক। সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণের যে মহৎ উদ্যোগ, তা শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দদায়ক হওয়ার কথা, কিন্তু এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

সরকার প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার যে অঙ্গীকার করে, সেটি শিক্ষার অধিকারের পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়ের প্রতীক। কিন্তু বিষ্ণুপুর সরকারি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সেই অঙ্গীকারকে ভঙ্গ করার সমতুল্য। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় এবং টাকা না দেয়ার কারণে কিছু শিক্ষার্থীকে বই না দেয়া নিঃসন্দেহে নীতিবহির্ভূত ও অমানবিক। এমন একটি ঘটনা শিক্ষার্থীদের মাঝে অসমতা ও বঞ্চনার বীজ বুনে দেয়, যা তাদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রধান শিক্ষিকার দাবি অনুযায়ী, এই অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু এই প্রশ্ন থেকেই যায়, কেন এই অর্থ আদায়ের জন্য কোনো বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলো না? কেন বই বিতরণের সঙ্গে এই অর্থ আদায়ের বিষয়টি যুক্ত হলো? শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সময় রসিদ না দেয়া এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতির দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারা আরও একটি গুরুতর সমস্যা।

সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ একটি বিশেষাধিকার, যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করে। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অসদাচরণ সরকারের উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং ইউএনও-র বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, বই বিতরণের জন্য অর্থ আদায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শুধু তদন্ত করলেই দায়িত্ব শেষ হবে না।

টাকা নিয়ে বই দেয়ার অভিযোগ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সত্যতা প্রমাণিত হলে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

back to top