একসময় কুমিল্লার বরুড়ায় পৌর শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল পানি নিষ্কাশনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল। এই খালগুলোই ছিল উপজেলা সদরের সঙ্গে নৌযোগে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন প্রান্তিক মানুষরা। কোনো খালে কোনো স্থাপনা ছিল না। পানি নিষ্কাশনের পথে কোথাও কোন বাধা ছিল না। কিন্তু এসবই এখন শুধুই স্মৃতি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই জনগুরুত্বপূর্ণ পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম এসব খাল আজ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
দেশে ময়লা-আবর্জনার যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব একটি পুরনো সমস্যা। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে ময়লা যেখানে-সেখানে জমে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হয় না। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার ফলে বছরের পর বছর একটু একটু করে জমতে জমতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে অনেক খাল। অনেক জলাশয় ময়লা-আবর্জনার স্তূপের নিচে চাপা পড়ে বিলীন হয়ে গেছে, দেখার যেন কেউ নেই।
জানা যায়, কুমিল্লার বরুড়ার খালগুলো নানা কারণে আজ অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। একদিকে খালগুলোর দখলদারদের অবৈধ কার্যক্রম, অন্যদিকে আড়াই দশক ধরে কোনো সংস্কার বা খনন কাজ না হওয়ায় খালগুলোর মধ্যে জমে থাকা বর্জ্য, পলিথিন, বাজারের ময়লা, হাসপাতালের বর্জ্যসহ সব ধরনের দূষিত উপাদান পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর ফলে পরিবেশে মারাত্মক দূষণ ঘটছে এবং বংশবিস্তার করছে নানা ধরনের মশা, মাছি ও কিটপতঙ্গ, যা রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে, বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, সঙ্গে ভাসে ময়লা-আবর্জনা, যা পরিবেশকে আরও অসহনীয় করে তোলে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। প্রথমত, খালগুলোর পুনরুদ্ধার এবং খনন কার্যক্রম শুরু করতে হবে। খালের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের সমন্বয়ে একটি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে খালগুলোকে দখলমুক্ত রাখা যায় এবং কোনো ধরনের বর্জ্য খালগুলোতে ফেলা না হয়।
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫
একসময় কুমিল্লার বরুড়ায় পৌর শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল পানি নিষ্কাশনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল। এই খালগুলোই ছিল উপজেলা সদরের সঙ্গে নৌযোগে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন প্রান্তিক মানুষরা। কোনো খালে কোনো স্থাপনা ছিল না। পানি নিষ্কাশনের পথে কোথাও কোন বাধা ছিল না। কিন্তু এসবই এখন শুধুই স্মৃতি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই জনগুরুত্বপূর্ণ পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম এসব খাল আজ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
দেশে ময়লা-আবর্জনার যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব একটি পুরনো সমস্যা। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে ময়লা যেখানে-সেখানে জমে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হয় না। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার ফলে বছরের পর বছর একটু একটু করে জমতে জমতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে অনেক খাল। অনেক জলাশয় ময়লা-আবর্জনার স্তূপের নিচে চাপা পড়ে বিলীন হয়ে গেছে, দেখার যেন কেউ নেই।
জানা যায়, কুমিল্লার বরুড়ার খালগুলো নানা কারণে আজ অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। একদিকে খালগুলোর দখলদারদের অবৈধ কার্যক্রম, অন্যদিকে আড়াই দশক ধরে কোনো সংস্কার বা খনন কাজ না হওয়ায় খালগুলোর মধ্যে জমে থাকা বর্জ্য, পলিথিন, বাজারের ময়লা, হাসপাতালের বর্জ্যসহ সব ধরনের দূষিত উপাদান পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর ফলে পরিবেশে মারাত্মক দূষণ ঘটছে এবং বংশবিস্তার করছে নানা ধরনের মশা, মাছি ও কিটপতঙ্গ, যা রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে, বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, সঙ্গে ভাসে ময়লা-আবর্জনা, যা পরিবেশকে আরও অসহনীয় করে তোলে।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। প্রথমত, খালগুলোর পুনরুদ্ধার এবং খনন কার্যক্রম শুরু করতে হবে। খালের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের সমন্বয়ে একটি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে খালগুলোকে দখলমুক্ত রাখা যায় এবং কোনো ধরনের বর্জ্য খালগুলোতে ফেলা না হয়।