alt

সম্পাদকীয়

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

: মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

একসময় কুমিল্লার বরুড়ায় পৌর শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল পানি নিষ্কাশনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল। এই খালগুলোই ছিল উপজেলা সদরের সঙ্গে নৌযোগে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন প্রান্তিক মানুষরা। কোনো খালে কোনো স্থাপনা ছিল না। পানি নিষ্কাশনের পথে কোথাও কোন বাধা ছিল না। কিন্তু এসবই এখন শুধুই স্মৃতি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই জনগুরুত্বপূর্ণ পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম এসব খাল আজ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

দেশে ময়লা-আবর্জনার যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব একটি পুরনো সমস্যা। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে ময়লা যেখানে-সেখানে জমে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হয় না। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার ফলে বছরের পর বছর একটু একটু করে জমতে জমতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে অনেক খাল। অনেক জলাশয় ময়লা-আবর্জনার স্তূপের নিচে চাপা পড়ে বিলীন হয়ে গেছে, দেখার যেন কেউ নেই।

জানা যায়, কুমিল্লার বরুড়ার খালগুলো নানা কারণে আজ অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। একদিকে খালগুলোর দখলদারদের অবৈধ কার্যক্রম, অন্যদিকে আড়াই দশক ধরে কোনো সংস্কার বা খনন কাজ না হওয়ায় খালগুলোর মধ্যে জমে থাকা বর্জ্য, পলিথিন, বাজারের ময়লা, হাসপাতালের বর্জ্যসহ সব ধরনের দূষিত উপাদান পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর ফলে পরিবেশে মারাত্মক দূষণ ঘটছে এবং বংশবিস্তার করছে নানা ধরনের মশা, মাছি ও কিটপতঙ্গ, যা রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে, বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, সঙ্গে ভাসে ময়লা-আবর্জনা, যা পরিবেশকে আরও অসহনীয় করে তোলে।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। প্রথমত, খালগুলোর পুনরুদ্ধার এবং খনন কার্যক্রম শুরু করতে হবে। খালের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের সমন্বয়ে একটি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে খালগুলোকে দখলমুক্ত রাখা যায় এবং কোনো ধরনের বর্জ্য খালগুলোতে ফেলা না হয়।

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

অভয়াশ্রম রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন

প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার : স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বাড়তে থাকা ঝুঁকি

উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অগ্নিকাণ্ড

নির্বিচারে কাটা হচ্ছে সড়কের গাছ, প্রশাসন কী করছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণার কার্যকারিতা ও চ্যালেঞ্জ

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি

সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন : নাগরিকদের ভোগান্তি

অপরিকল্পিত খাল খনন : ঝুঁকিতে হরিণাকু-ুর কৃষি ও জনজীবন

সড়ক ব্যবস্থার দুর্বলতা দূর হবে কবে?

নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় সতর্ক হতে হবে

চাল-তেলে অস্থিরতা, ক্রেতার স্বস্তি কোথায়?

আমন-বীজ নিয়ে প্রতারণা

অগ্নিকা-ের ঝুঁকি কমাতে চাই উন্নত নগর ব্যবস্থাপনা

tab

সম্পাদকীয়

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫

একসময় কুমিল্লার বরুড়ায় পৌর শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল পানি নিষ্কাশনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল। এই খালগুলোই ছিল উপজেলা সদরের সঙ্গে নৌযোগে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন প্রান্তিক মানুষরা। কোনো খালে কোনো স্থাপনা ছিল না। পানি নিষ্কাশনের পথে কোথাও কোন বাধা ছিল না। কিন্তু এসবই এখন শুধুই স্মৃতি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই জনগুরুত্বপূর্ণ পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম এসব খাল আজ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

দেশে ময়লা-আবর্জনার যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব একটি পুরনো সমস্যা। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে ময়লা যেখানে-সেখানে জমে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হয় না। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার ফলে বছরের পর বছর একটু একটু করে জমতে জমতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে অনেক খাল। অনেক জলাশয় ময়লা-আবর্জনার স্তূপের নিচে চাপা পড়ে বিলীন হয়ে গেছে, দেখার যেন কেউ নেই।

জানা যায়, কুমিল্লার বরুড়ার খালগুলো নানা কারণে আজ অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। একদিকে খালগুলোর দখলদারদের অবৈধ কার্যক্রম, অন্যদিকে আড়াই দশক ধরে কোনো সংস্কার বা খনন কাজ না হওয়ায় খালগুলোর মধ্যে জমে থাকা বর্জ্য, পলিথিন, বাজারের ময়লা, হাসপাতালের বর্জ্যসহ সব ধরনের দূষিত উপাদান পানির সঙ্গে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর ফলে পরিবেশে মারাত্মক দূষণ ঘটছে এবং বংশবিস্তার করছে নানা ধরনের মশা, মাছি ও কিটপতঙ্গ, যা রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে, বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, সঙ্গে ভাসে ময়লা-আবর্জনা, যা পরিবেশকে আরও অসহনীয় করে তোলে।

এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। প্রথমত, খালগুলোর পুনরুদ্ধার এবং খনন কার্যক্রম শুরু করতে হবে। খালের পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তৈরি করা জরুরি। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগণের সমন্বয়ে একটি সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যাতে খালগুলোকে দখলমুক্ত রাখা যায় এবং কোনো ধরনের বর্জ্য খালগুলোতে ফেলা না হয়।

back to top