alt

opinion » editorial

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

: রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

পরিবেশের জন্য বিপর্যয়কর হুমকি সৃষ্টি করা ইটভাটাগুলোর দৌরাত্ম্য থামানোর দায়িত্ব কি কারও নেই? প্রশ্ন হচ্ছে, আইন, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি করছে? নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই, আধা কিলোমিটার দূরত্বে পরপর তিনটি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন নিম্নমানের কয়লা, কাঠ এবং ফসলি জমির মাটি কেটে জোগান দেয়া হচ্ছেÑএমনটা দেখে মনে হয় যেন এখানে চলছে এক ধরনের প্রতিযোগিতা।

ইটভাটার কারণে বনে, কৃষিজমিতে, পরিবেশে, প্রাণীকূলের স্বাস্থ্য ও বায়ুতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এত কিছু জানার পরও, বিভিন্ন মহল থেকে বারবার সতর্ক করার পরও, কেন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না?

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, লক্ষ্মীপুরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে সেখানে ১৪০টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৮টি অবৈধ। এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে নিম্নমানের কয়লা এবং বনের মূল্যবান কাঠ। আরও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি, যা কৃষিজমির উর্বরতা হ্রাস করছে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি তৈরি করছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ইটভাটা রয়েছে, যা বছরে ৮.৭৫ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গত করছে। ১৯৯০ সাল থেকে গত ২০ বছরে অন্তত ৮ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর বনভূমি হারিয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশের জন্য এত বড় হুমকি থাকা সত্ত্বেও, কেন প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না?

অবৈধ কোনো ইটভাটা চালানোর সুযোগ নেই। বছরের পর বছর ধরে চলা অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করা উচিত। আমরা আশা করি, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং পরিবেশের সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

পরিবেশের জন্য বিপর্যয়কর হুমকি সৃষ্টি করা ইটভাটাগুলোর দৌরাত্ম্য থামানোর দায়িত্ব কি কারও নেই? প্রশ্ন হচ্ছে, আইন, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি করছে? নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই, আধা কিলোমিটার দূরত্বে পরপর তিনটি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন নিম্নমানের কয়লা, কাঠ এবং ফসলি জমির মাটি কেটে জোগান দেয়া হচ্ছেÑএমনটা দেখে মনে হয় যেন এখানে চলছে এক ধরনের প্রতিযোগিতা।

ইটভাটার কারণে বনে, কৃষিজমিতে, পরিবেশে, প্রাণীকূলের স্বাস্থ্য ও বায়ুতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এত কিছু জানার পরও, বিভিন্ন মহল থেকে বারবার সতর্ক করার পরও, কেন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না?

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, লক্ষ্মীপুরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে সেখানে ১৪০টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৮টি অবৈধ। এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে নিম্নমানের কয়লা এবং বনের মূল্যবান কাঠ। আরও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি, যা কৃষিজমির উর্বরতা হ্রাস করছে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি তৈরি করছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ইটভাটা রয়েছে, যা বছরে ৮.৭৫ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গত করছে। ১৯৯০ সাল থেকে গত ২০ বছরে অন্তত ৮ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর বনভূমি হারিয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশের জন্য এত বড় হুমকি থাকা সত্ত্বেও, কেন প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না?

অবৈধ কোনো ইটভাটা চালানোর সুযোগ নেই। বছরের পর বছর ধরে চলা অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করা উচিত। আমরা আশা করি, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং পরিবেশের সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

back to top