দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে, বিশেষ করে রংপুর বিভাগের আট জেলায় হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। শীতের তীব্রতা যেমন মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করছে, তেমনি শীতজনিত রোগের প্রকোপও বেড়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শৈত্যপ্রবাহে নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে এবং গত তিন দিনে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ছয় শিশু মারা গেছে। যেসব শিশু মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের মধ্যে কয়েকটি সদ্যপ্রসূত শিশুও রয়েছে।
শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব শুধু রংপুরে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র শীতের কারণে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। শীতের কারণে সাধারণ রোগের মতো নিউমোনিয়া, সর্দি, কোল্ড ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেছে, যা অতিরিক্ত ঠা-ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
অনেক দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদের অধিকাংশই দিনমজুর বা শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ, যারা শীতের তীব্রতায় কাজ করতে না পারায় আয়ে ভাটা পড়েছে, ফলে খাদ্য সংকটও তীব্রতর হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শীতবস্ত্র বিতরণ, বিশেষ করে দরিদ্র জনগণের মধ্যে শীতবস্ত্র পৌঁছানো এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রংপুর এবং অন্যান্য শীতপ্রবণ এলাকায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও জোরালো করা প্রয়োজন, যাতে মানুষের চিকিৎসা সহজে এবং দ্রুততার সঙ্গে করা যায়। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি সামাজিক এবং কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি। স্থানীয় সংগঠন, এনজিও এবং সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে শীতজনিত সমস্যাগুলোর মোকাবিলা অনেক সহজ হবে। শীতবস্ত্র বিতরণ, মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন, সঠিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং গ্রামে গ্রামে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে শীতের তীব্রতা মোকাবিলা করা সম্ভব।
অপরাধ ও দুর্নীতি: দেশে ও লন্ডনে আনোয়ারুজ্জামানের বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক
অপরাধ ও দুর্নীতি: ৪৩ বছর ধরে প্লট দখলে আমলা-রাজনীতিকরা, বঞ্চিত স্থানীয় চাষিরা
নগর-মহানগর: আরও কয়েকটি এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা