নাটোরের লালপুর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ও কুজিপুকুর এলাকার কৃষকদের মধ্যে গভীর হতাশা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। দুঃখজনক বিষয় হলো, সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার আবেদন করেও তারা কোনো সমাধান পাননি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, তাদের জমির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তারা আখ এবং অন্যান্য রবি শস্যের আবাদ করতে পারছেন না। এই অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে তারা জলাবদ্ধতার নিরসন চান। কোনো কোনো কৃষক নিজের জমি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে খাল খননের কাজ শুরু হতে পারে। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা যে শুধু ফসলি জমির উৎপাদনক্ষমতা হারিয়েছেন, তা নয়, তাদের জীবনযাত্রাও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
যথাযথ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় শুধু কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, বরং পুরো এলাকার অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট জমিতে শুধু একটি ফসলের আবাদ, বিশেষত ইরি ধান, তাদের একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার কারণে জমির ধানও কখনো কখনো পানিতে ডুবে যায়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, সেটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, জলবদ্ধতা নিরসনের আবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, কৃষকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা উপেক্ষিত হচ্ছে, আর তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে কোনো গতি নেই।
আমরা বলতে চাই, লালপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। খাল খননের কাজটি শুধু কৃষকদের জন্য নয়, পুরো এলাকার পরিবেশ, অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা নিজেদের জমি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। এরপর সরকারি উদ্যোগে দ্রুত খাল খননের কাজ শুরু করতে বাধা কোথায়?
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
নাটোরের লালপুর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ও কুজিপুকুর এলাকার কৃষকদের মধ্যে গভীর হতাশা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। দুঃখজনক বিষয় হলো, সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার আবেদন করেও তারা কোনো সমাধান পাননি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, তাদের জমির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তারা আখ এবং অন্যান্য রবি শস্যের আবাদ করতে পারছেন না। এই অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে তারা জলাবদ্ধতার নিরসন চান। কোনো কোনো কৃষক নিজের জমি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে খাল খননের কাজ শুরু হতে পারে। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা যে শুধু ফসলি জমির উৎপাদনক্ষমতা হারিয়েছেন, তা নয়, তাদের জীবনযাত্রাও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
যথাযথ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় শুধু কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, বরং পুরো এলাকার অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট জমিতে শুধু একটি ফসলের আবাদ, বিশেষত ইরি ধান, তাদের একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার কারণে জমির ধানও কখনো কখনো পানিতে ডুবে যায়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, সেটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, জলবদ্ধতা নিরসনের আবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, কৃষকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা উপেক্ষিত হচ্ছে, আর তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে কোনো গতি নেই।
আমরা বলতে চাই, লালপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। খাল খননের কাজটি শুধু কৃষকদের জন্য নয়, পুরো এলাকার পরিবেশ, অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা নিজেদের জমি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। এরপর সরকারি উদ্যোগে দ্রুত খাল খননের কাজ শুরু করতে বাধা কোথায়?