alt

সম্পাদকীয়

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

: শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

নাটোরের লালপুর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ও কুজিপুকুর এলাকার কৃষকদের মধ্যে গভীর হতাশা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। দুঃখজনক বিষয় হলো, সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার আবেদন করেও তারা কোনো সমাধান পাননি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, তাদের জমির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তারা আখ এবং অন্যান্য রবি শস্যের আবাদ করতে পারছেন না। এই অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে তারা জলাবদ্ধতার নিরসন চান। কোনো কোনো কৃষক নিজের জমি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে খাল খননের কাজ শুরু হতে পারে। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা যে শুধু ফসলি জমির উৎপাদনক্ষমতা হারিয়েছেন, তা নয়, তাদের জীবনযাত্রাও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

যথাযথ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় শুধু কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, বরং পুরো এলাকার অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট জমিতে শুধু একটি ফসলের আবাদ, বিশেষত ইরি ধান, তাদের একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার কারণে জমির ধানও কখনো কখনো পানিতে ডুবে যায়।

জলাবদ্ধতা নিরসনে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, সেটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, জলবদ্ধতা নিরসনের আবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, কৃষকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা উপেক্ষিত হচ্ছে, আর তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে কোনো গতি নেই।

আমরা বলতে চাই, লালপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। খাল খননের কাজটি শুধু কৃষকদের জন্য নয়, পুরো এলাকার পরিবেশ, অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা নিজেদের জমি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। এরপর সরকারি উদ্যোগে দ্রুত খাল খননের কাজ শুরু করতে বাধা কোথায়?

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি : শান্তির চেষ্টা কতটা সফল হবে?

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন সংস্কার করুন

বনাঞ্চলের ধ্বংসের দায় কার

নির্মাণ কাজের প্রভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত

খাল-বিল দখল : পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ইটভাটার দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে হবে

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা : গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

tab

সম্পাদকীয়

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

নাটোরের লালপুর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ও কুজিপুকুর এলাকার কৃষকদের মধ্যে গভীর হতাশা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারছেন না। দুঃখজনক বিষয় হলো, সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার আবেদন করেও তারা কোনো সমাধান পাননি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, তাদের জমির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তারা আখ এবং অন্যান্য রবি শস্যের আবাদ করতে পারছেন না। এই অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে তারা জলাবদ্ধতার নিরসন চান। কোনো কোনো কৃষক নিজের জমি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে খাল খননের কাজ শুরু হতে পারে। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা যে শুধু ফসলি জমির উৎপাদনক্ষমতা হারিয়েছেন, তা নয়, তাদের জীবনযাত্রাও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

যথাযথ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় শুধু কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন না, বরং পুরো এলাকার অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। সংশ্লিষ্ট জমিতে শুধু একটি ফসলের আবাদ, বিশেষত ইরি ধান, তাদের একমাত্র আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার কারণে জমির ধানও কখনো কখনো পানিতে ডুবে যায়।

জলাবদ্ধতা নিরসনে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, সেটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, জলবদ্ধতা নিরসনের আবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, কৃষকদের দীর্ঘদিনের চাহিদা উপেক্ষিত হচ্ছে, আর তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে কোনো গতি নেই।

আমরা বলতে চাই, লালপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। খাল খননের কাজটি শুধু কৃষকদের জন্য নয়, পুরো এলাকার পরিবেশ, অর্থনীতি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষকরা নিজেদের জমি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। এরপর সরকারি উদ্যোগে দ্রুত খাল খননের কাজ শুরু করতে বাধা কোথায়?

back to top