alt

opinion » editorial

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

: শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার খীরু নদী একসময় স্থানীয়দের জীবন-জীবিকার অপরিহার্য অংশ ছিল। আজ ক্রমাগত পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে নদীটি। ডাইং ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত অপরিশোধিত রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্য নদী ও এর সংযোগ খাল-বিলগুলোর পানিকে বিষাক্ত এবং দুর্গন্ধময় করে তুলেছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ভালুকার জামিরদিয়া, কাশরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ডাইং ফ্যাক্টরিগুলো থেকে সরাসরি বর্জ্যপানি নির্গমনই খীরু নদীর প্রধান দূষণ উৎস। এসব ফ্যাক্টরির বেশিরভাগই ইটিপি স্থাপন করলেও তা সচল রাখা হয় না। ফলে কালো রঙের গরম এবং দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য খাল-বিল ও নদীতে মিশে এলাকাজুড়ে পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে।

ডাইং ফ্যাক্টরিগুলোর দূষণ বন্ধে স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দারা বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, এমনকি প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েও কার্যকর কোনো সমাধান পায়নি। অভিযোগ রয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা ফ্যাক্টরি মালিকদের ম্যানেজ করে বর্জ্য ফেলার অনুমতি দিয়েছেন। অভিযানের সময় সাময়িকভাবে ইটিপি চালু করা হলেও পরে তা বন্ধ রাখা হয়।

খীরু নদী এবং এর আশেপাশের পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য প্রতিটি ডাইং ফ্যাক্টরির ইটিপি সচল রাখতে নিয়মিত মনিটরিং চালু করতে হবে। দূষণের জন্য দায়ী ফ্যাক্টরিগুলোর বিরুদ্ধে জরিমানা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে দূষণ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তাদের অধিকার সম্পর্কে জানানো জরুরি।

ভালুকার খীরু নদীকে দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ কেবল পরিবেশ রক্ষাই নয়, এটি স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নেরও পূর্বশর্ত। ডাইং ফ্যাক্টরিগুলোর দায়িত্বহীনতার কারণে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, তা রোধে প্রশাসন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। পরিবেশের প্রতি এই নৈরাজ্য বন্ধ করে কার্যকর ব্যবস্থার মাধ্যমে খীরু নদী এবং ভালুকার হারানো প্রাণ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার খীরু নদী একসময় স্থানীয়দের জীবন-জীবিকার অপরিহার্য অংশ ছিল। আজ ক্রমাগত পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে নদীটি। ডাইং ফ্যাক্টরি থেকে নির্গত অপরিশোধিত রাসায়নিক মিশ্রিত বর্জ্য নদী ও এর সংযোগ খাল-বিলগুলোর পানিকে বিষাক্ত এবং দুর্গন্ধময় করে তুলেছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ভালুকার জামিরদিয়া, কাশরসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ডাইং ফ্যাক্টরিগুলো থেকে সরাসরি বর্জ্যপানি নির্গমনই খীরু নদীর প্রধান দূষণ উৎস। এসব ফ্যাক্টরির বেশিরভাগই ইটিপি স্থাপন করলেও তা সচল রাখা হয় না। ফলে কালো রঙের গরম এবং দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য খাল-বিল ও নদীতে মিশে এলাকাজুড়ে পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে।

ডাইং ফ্যাক্টরিগুলোর দূষণ বন্ধে স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দারা বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, এমনকি প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েও কার্যকর কোনো সমাধান পায়নি। অভিযোগ রয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা ফ্যাক্টরি মালিকদের ম্যানেজ করে বর্জ্য ফেলার অনুমতি দিয়েছেন। অভিযানের সময় সাময়িকভাবে ইটিপি চালু করা হলেও পরে তা বন্ধ রাখা হয়।

খীরু নদী এবং এর আশেপাশের পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য প্রতিটি ডাইং ফ্যাক্টরির ইটিপি সচল রাখতে নিয়মিত মনিটরিং চালু করতে হবে। দূষণের জন্য দায়ী ফ্যাক্টরিগুলোর বিরুদ্ধে জরিমানা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় এনে দূষণ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তাদের অধিকার সম্পর্কে জানানো জরুরি।

ভালুকার খীরু নদীকে দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ কেবল পরিবেশ রক্ষাই নয়, এটি স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নেরও পূর্বশর্ত। ডাইং ফ্যাক্টরিগুলোর দায়িত্বহীনতার কারণে যে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে, তা রোধে প্রশাসন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। পরিবেশের প্রতি এই নৈরাজ্য বন্ধ করে কার্যকর ব্যবস্থার মাধ্যমে খীরু নদী এবং ভালুকার হারানো প্রাণ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

back to top