সয়াবিন তেলের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি দেশের বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং সরকারি নজরদারির অভাবের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। রান্নার অপরিহার্য এই উপকরণটি নিয়ে বাজারে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তা সরবরাহ চক্রের নানা অসঙ্গতি ও অপ্রতুল মনিটরিংয়ের কারণে সম্ভব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ডিসেম্বরে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে আট টাকা বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত বাজারে সাময়িক স্থিতিশীলতা আনলেও সেটা বেশিদিন টেকেনি। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের সঙ্গে আটা, সরিষার তেল কিংবা অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছে। ফলে ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল সরবরাহ না পেয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারছেন না।
সরবরাহ সংকটের ফলে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ১৭৫ টাকা মূল্যের বোতল ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকটের জন্য কোম্পানিগুলোর অযৌক্তিক শর্ত আরোপ এবং সরকারের মনিটরিং ঘাটতিকে দায়ী করছেন।
সয়াবিন তেলের পাশাপাশি চালের বাজারেও চিত্র একইরকম। আমনের ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমছে না, বরং আমদানি করার পরও দাম বেড়েছে। মোটা চাল থেকে শুরু করে মিনিকেট ও নাজির জাতের চালের দাম সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের ব্যবধান এবং আমদানিকৃত পণ্যের অপ্রতুল প্রভাব এই সংকটকে আরও গভীর করছে।
বড় কোম্পানিগুলোর অযৌক্তিক শর্ত আরোপ এবং মজুতদারির অভিযোগ বাজার ব্যবস্থার মনোপলি ও জবাবদিহিতার অভাবকে তুলে ধরেছে। এই অবস্থায় আমদানিকৃত পণ্যের সরবরাহ ও বিপনণ ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে তদারকি করা দরকার। কোম্পানিগুলোর মজুতদারি ও শর্ত আরোপ বন্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়াতে এবং চাহিদা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সয়াবিন তেল ও চালের সংকট এই বার্তাই দেয় যে, দেশের বাজার ব্যবস্থায় দুর্বলতা রয়েছে। মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে, নইলে সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে।
রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
সয়াবিন তেলের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি দেশের বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং সরকারি নজরদারির অভাবের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে। রান্নার অপরিহার্য এই উপকরণটি নিয়ে বাজারে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তা সরবরাহ চক্রের নানা অসঙ্গতি ও অপ্রতুল মনিটরিংয়ের কারণে সম্ভব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ডিসেম্বরে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে আট টাকা বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত বাজারে সাময়িক স্থিতিশীলতা আনলেও সেটা বেশিদিন টেকেনি। খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের সঙ্গে আটা, সরিষার তেল কিংবা অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছে। ফলে ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল সরবরাহ না পেয়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারছেন না।
সরবরাহ সংকটের ফলে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ১৭৫ টাকা মূল্যের বোতল ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকটের জন্য কোম্পানিগুলোর অযৌক্তিক শর্ত আরোপ এবং সরকারের মনিটরিং ঘাটতিকে দায়ী করছেন।
সয়াবিন তেলের পাশাপাশি চালের বাজারেও চিত্র একইরকম। আমনের ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমছে না, বরং আমদানি করার পরও দাম বেড়েছে। মোটা চাল থেকে শুরু করে মিনিকেট ও নাজির জাতের চালের দাম সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের ব্যবধান এবং আমদানিকৃত পণ্যের অপ্রতুল প্রভাব এই সংকটকে আরও গভীর করছে।
বড় কোম্পানিগুলোর অযৌক্তিক শর্ত আরোপ এবং মজুতদারির অভিযোগ বাজার ব্যবস্থার মনোপলি ও জবাবদিহিতার অভাবকে তুলে ধরেছে। এই অবস্থায় আমদানিকৃত পণ্যের সরবরাহ ও বিপনণ ব্যবস্থা নিবিড়ভাবে তদারকি করা দরকার। কোম্পানিগুলোর মজুতদারি ও শর্ত আরোপ বন্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়াতে এবং চাহিদা অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সয়াবিন তেল ও চালের সংকট এই বার্তাই দেয় যে, দেশের বাজার ব্যবস্থায় দুর্বলতা রয়েছে। মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে, নইলে সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে।