সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হজ, ওমরাহ বা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে যেতে মেনিনজাইটিস টিকা আবশ্যক। কিন্তু নওগাঁ জেলার হজযাত্রীরা টিকা সংগ্রহে সমস্যায় পড়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে মজুতের অভাব এবং নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনার অভাবে যাত্রীরা বিভ্রান্ত। যাত্রীরা জানতে পারছেন না, কোথা থেকে এই টিকা সংগ্রহ করা যাবে। এ সমস্যার ফলে অনেক যাত্রী হজে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করার কথা ভাবছেন, যা তাদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক চাপও সৃষ্টি করছে।
ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে টিকা সরবরাহ এবং সঠিক নির্দেশনা দেয়া হলে তারা এই অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পেতেন। এজেন্সি কর্মকর্তারাও যাত্রীদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি শুধু যাত্রীদের নয়, হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোর ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, হজের মৌসুমে সাধারণত জেলা পর্যায়ে টিকা সরবরাহ করা হয়। তবে ওমরাহ যাত্রীদের জন্য এই টিকা সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। ফলে ওমরাহ যাত্রীদের ব্যক্তিগতভাবে টিকা সংগ্রহ করতে হয়। ঢাকায় গিয়ে টিকা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও, ঢাকার কোথায় এই টিকা পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কেও কোনো পরিষ্কার ধারণা দেয়া হয়নি। এই অনুপস্থিতি নীতিগত দুর্বলতারই ইঙ্গিত দেয়।
এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। প্রথমত, জেলা পর্যায়ে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নওগাঁর মতো জেলাগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় মজুত নিশ্চিত করা জরুরি। দ্বিতীয়ত, যাত্রীদের সঠিক তথ্য সরবরাহের জন্য হেল্পলাইন চালু করা যেতে পারে, যেখানে তারা টিকার অবস্থান এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। তৃতীয়ত, এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে টিকা সরবরাহের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
দেশজুড়ে টিকার সুষ্ঠু বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। পরিকল্পনা এবং উদ্যোগের অভাবে যাত্রীদের ভোগান্তি মেনে নেয়া যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই সংকট দ্রুত সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী হজ, ওমরাহ বা ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে যেতে মেনিনজাইটিস টিকা আবশ্যক। কিন্তু নওগাঁ জেলার হজযাত্রীরা টিকা সংগ্রহে সমস্যায় পড়েছেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে মজুতের অভাব এবং নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনার অভাবে যাত্রীরা বিভ্রান্ত। যাত্রীরা জানতে পারছেন না, কোথা থেকে এই টিকা সংগ্রহ করা যাবে। এ সমস্যার ফলে অনেক যাত্রী হজে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করার কথা ভাবছেন, যা তাদের আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক চাপও সৃষ্টি করছে।
ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে টিকা সরবরাহ এবং সঠিক নির্দেশনা দেয়া হলে তারা এই অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পেতেন। এজেন্সি কর্মকর্তারাও যাত্রীদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি শুধু যাত্রীদের নয়, হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোর ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, হজের মৌসুমে সাধারণত জেলা পর্যায়ে টিকা সরবরাহ করা হয়। তবে ওমরাহ যাত্রীদের জন্য এই টিকা সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। ফলে ওমরাহ যাত্রীদের ব্যক্তিগতভাবে টিকা সংগ্রহ করতে হয়। ঢাকায় গিয়ে টিকা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও, ঢাকার কোথায় এই টিকা পাওয়া যাবে, সে সম্পর্কেও কোনো পরিষ্কার ধারণা দেয়া হয়নি। এই অনুপস্থিতি নীতিগত দুর্বলতারই ইঙ্গিত দেয়।
এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। প্রথমত, জেলা পর্যায়ে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নওগাঁর মতো জেলাগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় মজুত নিশ্চিত করা জরুরি। দ্বিতীয়ত, যাত্রীদের সঠিক তথ্য সরবরাহের জন্য হেল্পলাইন চালু করা যেতে পারে, যেখানে তারা টিকার অবস্থান এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। তৃতীয়ত, এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে টিকা সরবরাহের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
দেশজুড়ে টিকার সুষ্ঠু বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার। পরিকল্পনা এবং উদ্যোগের অভাবে যাত্রীদের ভোগান্তি মেনে নেয়া যায় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই সংকট দ্রুত সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।