alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলায় ৪০টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই। এর ফলে শিক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওপর চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতি শুধু প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি করছে না, বরং বিদ্যালয়গুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমেও গভীর প্রভাব ফেলছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা, যেহেতু অধিকাংশই সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, তারা নিজের দায়িত্বের পাশাপাশি পুরো বিদ্যালয়ের পরিচালনাও সামলাচ্ছেন। এর ফলে, পাঠদান কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে, এবং শিক্ষকরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে সঠিক নেতৃত্বের অভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কোনো কোনো শিক্ষক অভিযোগ করে বলছেন, তাদের তেমন কোন সুবিধা দেয়া হয় না, অফিসের কাজ করতে গিয়ে তাদের ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষক ঘাটতির কারণে পাঠদান কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। শিক্ষকদের এই অভাবের কারণে শিক্ষার গুণগত মানও ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেছেন, ‘শূন্যপদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’ আমরা বলতে চাই, উদ্ভূত সমস্যার সমাধান দ্রুত হওয়া প্রয়োজন।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার এই সংকট আসলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণের ব্যাপারে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। সরকার যদি দ্রুত শূন্যপদ পূরণের জন্য ব্যবস্থা না নেয়, তবে এর প্রভাব শুধু শিক্ষার গুণগত মানেই কমে যাবে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষার সঠিক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে না।

শিক্ষকদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন, তাদের জন্য উপযুক্ত সুবিধা প্রদান এবং বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনাও জরুরি। এ ধরনের পদক্ষেপ শিক্ষকদের মনোবল বাড়াবে এবং তারা আরও ভালোভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। তাই, সরকারের উচিত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার এই সংকট সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে আগামী প্রজন্মের শিক্ষা ব্যাহত না হয়।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলায় ৪০টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই। এর ফলে শিক্ষাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ওপর চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতি শুধু প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি করছে না, বরং বিদ্যালয়গুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রমেও গভীর প্রভাব ফেলছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা, যেহেতু অধিকাংশই সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, তারা নিজের দায়িত্বের পাশাপাশি পুরো বিদ্যালয়ের পরিচালনাও সামলাচ্ছেন। এর ফলে, পাঠদান কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে, এবং শিক্ষকরা নিজেদের দায়িত্ব পালনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে সঠিক নেতৃত্বের অভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কোনো কোনো শিক্ষক অভিযোগ করে বলছেন, তাদের তেমন কোন সুবিধা দেয়া হয় না, অফিসের কাজ করতে গিয়ে তাদের ক্লাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষক ঘাটতির কারণে পাঠদান কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। শিক্ষকদের এই অভাবের কারণে শিক্ষার গুণগত মানও ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেছেন, ‘শূন্যপদ পূরণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’ আমরা বলতে চাই, উদ্ভূত সমস্যার সমাধান দ্রুত হওয়া প্রয়োজন।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার এই সংকট আসলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণের ব্যাপারে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। সরকার যদি দ্রুত শূন্যপদ পূরণের জন্য ব্যবস্থা না নেয়, তবে এর প্রভাব শুধু শিক্ষার গুণগত মানেই কমে যাবে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষার সঠিক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে না।

শিক্ষকদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন, তাদের জন্য উপযুক্ত সুবিধা প্রদান এবং বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনাও জরুরি। এ ধরনের পদক্ষেপ শিক্ষকদের মনোবল বাড়াবে এবং তারা আরও ভালোভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। তাই, সরকারের উচিত প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার এই সংকট সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে আগামী প্রজন্মের শিক্ষা ব্যাহত না হয়।

back to top