alt

সম্পাদকীয়

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

: বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫

প্রকৃতি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, আর গাছ তার মূল স্তম্ভ। অক্সিজেন সরবরাহ থেকে শুরু করে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায়Ñগাছের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, অজ্ঞতা ও উদাসীনতার কারণে আমরা প্রায়ই এই নীরব প্রহরীদের ক্ষতি করে থাকি। গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন ঝোলানো বা নানা কাঠামো বসানোর মতো কাজগুলো শুধু গাছের স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহকে ব্যাহত করে না, বরং পরিবেশের ওপরও মারাত্মক আঘাত হানে। এই প্রেক্ষাপটে পটুয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের উদ্যোগে গাছ থেকে পেরেক অপসারণের এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান আমাদের সামনে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

তবে এই উদ্যোগকে শুধু একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। গাছের প্রতি সহিংসতা বন্ধে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার সূচনা হতে হবে। আমাদের রাস্তাঘাটে, বাজারে, শহরের প্রতিটি কোনায় এখনো অসংখ্য গাছ পেরেক আর বিজ্ঞাপনের বোঝা বহন করছে। এই প্রথা বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের উচিত এ ধরনের কর্মসূচি জেলার প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেয়া এবং সাধারণ মানুষকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে এই বার্তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া যেতে পারে।

পটুয়াখালীর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অন্যান্য জেলার জন্যও একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অনস্বীকার্য, এবং এই নীরব জীবনদাতাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে। গাছ থেকে পেরেক অপসারণের এই প্রতীকী পদক্ষেপ যেন একটি জাতীয় আন্দোলনে রূপ নেয়, এটাই প্রত্যাশা। আমরা যদি আজ গাছের জীবন রক্ষা করি, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ, সুস্থ পৃথিবী উপহার দিতে পারব। এই দায়িত্ব আমাদের সবার।

গণরোষের নামে নৃশংসতা : কোথায় সমাধান?

প্রকাশ্যে ধূমপান, মবের সংস্কৃতি এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বয়ান

চট্টগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

লামায় শ্রমিক অপহরণ : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

মহাসড়কে নিরাপত্তাহীনতা ও পুলিশের দায়িত্বে শৈথিল্য

দেওয়ানগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন প্রকল্প : দায়িত্বহীনতার প্রতিচ্ছবি

রেলপথে নিরাপত্তাহীনতা : চুরি ও অব্যবস্থাপনার দুষ্টচক্র

সবজি সংরক্ষণে হিমাগার : কৃষকদের বাঁচানোর জরুরি পদক্ষেপ

অমর একুশে

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

আইনশৃঙ্খলার অবনতি : নাগরিক নিরাপত্তা কোথায়?

বাগাতিপাড়ার বিদ্যালয়গুলোর শৌচাগার সংকট দূর করুন

হাসপাতালগুলোতে জনবল সংকট দূর করুন

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

নতুন পাঠ্যবই বিতরণে ধীরগতি : শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে

সরকারি জমি রক্ষায় উদাসীনতা কাম্য নয়

সার বিপণনে অনিয়মের অভিযোগ, ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতার অভিশাপ : পরিকল্পনাহীন উন্নয়ন ও দুর্ভোগ

সেতুর জন্য আর কত অপেক্ষা

শবে বরাত: আত্মশুদ্ধির এক মহিমান্বিত রাত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই সংকট : ব্যর্থতার দায় কার?

মাদারীপুর পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন কবে হবে

বায়ুদূষণ : আর উপেক্ষা করা যায় না

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

tab

সম্পাদকীয়

গাছের জীবন রক্ষায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫

প্রকৃতি আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, আর গাছ তার মূল স্তম্ভ। অক্সিজেন সরবরাহ থেকে শুরু করে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায়Ñগাছের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, অজ্ঞতা ও উদাসীনতার কারণে আমরা প্রায়ই এই নীরব প্রহরীদের ক্ষতি করে থাকি। গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে বিজ্ঞাপন ঝোলানো বা নানা কাঠামো বসানোর মতো কাজগুলো শুধু গাছের স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহকে ব্যাহত করে না, বরং পরিবেশের ওপরও মারাত্মক আঘাত হানে। এই প্রেক্ষাপটে পটুয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের উদ্যোগে গাছ থেকে পেরেক অপসারণের এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান আমাদের সামনে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

তবে এই উদ্যোগকে শুধু একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। গাছের প্রতি সহিংসতা বন্ধে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার সূচনা হতে হবে। আমাদের রাস্তাঘাটে, বাজারে, শহরের প্রতিটি কোনায় এখনো অসংখ্য গাছ পেরেক আর বিজ্ঞাপনের বোঝা বহন করছে। এই প্রথা বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের উচিত এ ধরনের কর্মসূচি জেলার প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেয়া এবং সাধারণ মানুষকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে এই বার্তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া যেতে পারে।

পটুয়াখালীর এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অন্যান্য জেলার জন্যও একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অনস্বীকার্য, এবং এই নীরব জীবনদাতাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে। গাছ থেকে পেরেক অপসারণের এই প্রতীকী পদক্ষেপ যেন একটি জাতীয় আন্দোলনে রূপ নেয়, এটাই প্রত্যাশা। আমরা যদি আজ গাছের জীবন রক্ষা করি, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ, সুস্থ পৃথিবী উপহার দিতে পারব। এই দায়িত্ব আমাদের সবার।

back to top