alt

opinion » editorial

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার জয়ন্তীয়া ঘাটে আত্রাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। ৪৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের এপ্রিলে। কিন্তু ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫৬ শতাংশ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক বছর আগে কাজ ফেলে পালিয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তদারকির ঘাটতি এবং দায়িত্বহীনতার কারণে দুই উপজেলার লাখো মানুষের জনদুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থা কেবল দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতাই নয়, জনগণের প্রতি সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির প্রতি অবহেলাকেও প্রকাশ করে।

জয়ন্তীয়া ঘাটের সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি ছিল দুই উপজেলার মানুষের জন্য একটি আশার আলো। সেতুটি হলে উভয় পারের হাজারো মানুষের যাতায়াত সহজ হতো, কৃষি পণ্য পরিবহনে খরচ কমতো, জরুরি চিকিৎসা সেবায় ভোগান্তি কমতো। কিন্তু বাস্তবে এই প্রকল্প এখন জনগণের জন্য একটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কাঠের সাঁকো দিয়ে টোল দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, আর বর্ষাকালে একটি নৌকার ওপর ভরসাÑ এই অবস্থা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সেতুর অভাবে এলাকার কৃষি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকরা তাদের পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ বহন করছেন, যার ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জরুরি রোগীদের চিকিৎসাসেবায় পৌঁছাতে দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। সেতু হলে এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হতো। কিন্তু দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার কারণে এই সম্ভাবনা এখনও অধরা।

এই ঘটনা শুধু জয়ন্তীয়া ঘাটের সেতুর কথাই বলে না, এটি দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সার্বিক দুরবস্থার একটি প্রতিচ্ছবি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা, তদারকি প্রতিষ্ঠানের অকার্যকর ভূমিকা এবং সময়মতো ব্যবস্থা না নেয়ার প্রবণতা আমাদের উন্নয়নের পথে বড় বাধা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার জয়ন্তীয়া ঘাটে আত্রাই নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। ৪৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের এপ্রিলে। কিন্তু ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও কাজের অগ্রগতি মাত্র ৫৬ শতাংশ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক বছর আগে কাজ ফেলে পালিয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তদারকির ঘাটতি এবং দায়িত্বহীনতার কারণে দুই উপজেলার লাখো মানুষের জনদুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে। এই অবস্থা কেবল দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতাই নয়, জনগণের প্রতি সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির প্রতি অবহেলাকেও প্রকাশ করে।

জয়ন্তীয়া ঘাটের সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি ছিল দুই উপজেলার মানুষের জন্য একটি আশার আলো। সেতুটি হলে উভয় পারের হাজারো মানুষের যাতায়াত সহজ হতো, কৃষি পণ্য পরিবহনে খরচ কমতো, জরুরি চিকিৎসা সেবায় ভোগান্তি কমতো। কিন্তু বাস্তবে এই প্রকল্প এখন জনগণের জন্য একটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কাঠের সাঁকো দিয়ে টোল দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, আর বর্ষাকালে একটি নৌকার ওপর ভরসাÑ এই অবস্থা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সেতুর অভাবে এলাকার কৃষি অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকরা তাদের পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত খরচ বহন করছেন, যার ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জরুরি রোগীদের চিকিৎসাসেবায় পৌঁছাতে দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে। সেতু হলে এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হতো। কিন্তু দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার কারণে এই সম্ভাবনা এখনও অধরা।

এই ঘটনা শুধু জয়ন্তীয়া ঘাটের সেতুর কথাই বলে না, এটি দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সার্বিক দুরবস্থার একটি প্রতিচ্ছবি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীনতা, তদারকি প্রতিষ্ঠানের অকার্যকর ভূমিকা এবং সময়মতো ব্যবস্থা না নেয়ার প্রবণতা আমাদের উন্নয়নের পথে বড় বাধা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

back to top