alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

: রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫

চালের দামের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনে এক অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করেছে। গত কয়েক মাসে চালের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। সাধারণ মোটা চালও ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

চালের দাম বাড়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ উঠে এসেছে। মিল মালিকরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বাড়ায় তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে, আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের দাম বেড়েছে, এলসি খোলার জটিলতা এবং আমদানি করা চালের চাহিদা কম থাকায় তাদের জন্য আমদানি লাভজনক নয়।

সরকার জিটুজি ভিত্তিতে পাকিস্তান ও মায়ানমার থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নিলেও বেসরকারি খাতে আমদানি কমে যাওয়ার প্রভাব বাজারে স্পষ্ট। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর থেকে চলতি মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা অনুমোদিত ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টন চালের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ আমদানি করেছেন। আমদানি স্বল্পতা এবং দেশীয় উৎপাদনের চাপে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

সরকারের দাবি, আমনের ভালো ফলন এবং সরকারি পর্যায়ে আমদানি ও মজুদ বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব খুচরা বাজারে দেখা যাচ্ছে না। টিসিবি এবং ওএমএসের মাধ্যমে কম দামে চাল বিতরণের উদ্যোগ থাকলেও তা সীমিত পরিসরে কাজ করছে।

চালের দামের ঊর্ধ্বগতি শুধু একটি পণ্যের দাম বাড়ার বিষয় নয়, এটি দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে জড়িত। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে চিকন চালের দাম ১৪.৬০ শতাংশ এবং মাঝারি মানের চালের দাম ১৩.৮৯ শতাংশ বেড়েছে। এই মূল্যস্ফীতি কম-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলছে। বিশেষ করে রোজার মাসে, যখন পরিবারগুলোর খরচ বাড়ে, তখন এই দাম বৃদ্ধি তাদের জন্য একটি অতিরিক্ত বোঝা।

চালের বাজারে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফিরবে না। এই অস্থিরতা শুধু পারিবারিক খরচের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না, সামাজিক অসন্তোষও বাড়াচ্ছে। সরকার, ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা সময়ের দাবি। নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যদি একমাত্র সমাধান হয়, তবে সে সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা দূর করতে বিকল্প উদ্যোগ অবশ্যই নিতে হবে।

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫

চালের দামের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনে এক অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করেছে। গত কয়েক মাসে চালের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। সাধারণ মোটা চালও ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

চালের দাম বাড়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ উঠে এসেছে। মিল মালিকরা জানাচ্ছেন, স্থানীয় বাজারে ধানের দাম বাড়ায় তাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে, আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের দাম বেড়েছে, এলসি খোলার জটিলতা এবং আমদানি করা চালের চাহিদা কম থাকায় তাদের জন্য আমদানি লাভজনক নয়।

সরকার জিটুজি ভিত্তিতে পাকিস্তান ও মায়ানমার থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নিলেও বেসরকারি খাতে আমদানি কমে যাওয়ার প্রভাব বাজারে স্পষ্ট। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর থেকে চলতি মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা অনুমোদিত ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টন চালের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ আমদানি করেছেন। আমদানি স্বল্পতা এবং দেশীয় উৎপাদনের চাপে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

সরকারের দাবি, আমনের ভালো ফলন এবং সরকারি পর্যায়ে আমদানি ও মজুদ বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব খুচরা বাজারে দেখা যাচ্ছে না। টিসিবি এবং ওএমএসের মাধ্যমে কম দামে চাল বিতরণের উদ্যোগ থাকলেও তা সীমিত পরিসরে কাজ করছে।

চালের দামের ঊর্ধ্বগতি শুধু একটি পণ্যের দাম বাড়ার বিষয় নয়, এটি দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে জড়িত। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে চিকন চালের দাম ১৪.৬০ শতাংশ এবং মাঝারি মানের চালের দাম ১৩.৮৯ শতাংশ বেড়েছে। এই মূল্যস্ফীতি কম-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলছে। বিশেষ করে রোজার মাসে, যখন পরিবারগুলোর খরচ বাড়ে, তখন এই দাম বৃদ্ধি তাদের জন্য একটি অতিরিক্ত বোঝা।

চালের বাজারে স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফিরবে না। এই অস্থিরতা শুধু পারিবারিক খরচের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না, সামাজিক অসন্তোষও বাড়াচ্ছে। সরকার, ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা সময়ের দাবি। নতুন ধান না ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যদি একমাত্র সমাধান হয়, তবে সে সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা দূর করতে বিকল্প উদ্যোগ অবশ্যই নিতে হবে।

back to top