নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন এখন স্বাভাবিক চিত্র। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের দামে যে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে, তা এখনো কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মিনিকেট, নাজিরশাইল থেকে শুরু করে মোটা চাল পর্যন্ত প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে কয়েক টাকা। এর পাশাপাশি সয়াবিন তেলের বাজারেও অভিযোগের শেষ নেইÑ গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া থেকে শুরু করে বাড়তি পণ্য কেনার বাধ্যবাধকতা, ক্রেতাদের মনে ক্ষোভ জমছে। তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও একটি স্বস্তির খবর হলো, শাক-সবজি ও মশলার দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় রোজার মৌসুমে তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে।
চালের দাম বাড়ার পেছনে যে যুক্তি দেখানো হচ্ছেÑ ধানের মজুত কমে যাওয়া বা সরবরাহে ঘাটতিÑ তা কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ব্যবসায়ীরা একে অপরের দিকে দায় চাপাচ্ছেন, কিন্তু এর মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। মিলারদের কাছ থেকেও কোনো স্পষ্ট জবাব মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি তদারকির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে বাড়তি দামের অজুহাত হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে তেলের সঙ্গে ‘স্লো মুভিং’ পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয়। এই অভিযোগ সত্যি হলে, বাজার ব্যবস্থাপনার গভীরতর সমস্যার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এর বিপরীতে শাক-সবজি ও মশলার দামে স্থিতিশীলতা সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির। আলু, পেঁয়াজ, টমেটো থেকে শুরু করে শীত-গ্রীষ্মের বিভিন্ন সবজি নাগালের মধ্যে রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, রোজার মতো চাহিদার সময়ে এমন কম দাম বহু বছর দেখা যায়নি। তবে বেগুন, শসা বা লেবুর মতো কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা পুরোপুরি স্বস্তির ছবিটিকে ম্লান করে দেয়।
এই পরিস্থিতি থেকে একটি বিষয় পরিষ্কারÑ বাজারে সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। চাল ও সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির পেছনে যদি সরবরাহ ঘাটতি বা আমদানি নির্ভরতাই কারণ হয়, তবে সরকারের উচিত সময়মতো পদক্ষেপ নিয়ে বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ বাড়ানো। একই সঙ্গে, বাজার তদারকি জোরদার করে অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টানা প্রয়োজন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেলেও, এর ফলাফল এখনো দৃশ্যমান নয়।
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন এখন স্বাভাবিক চিত্র। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের দামে যে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে, তা এখনো কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মিনিকেট, নাজিরশাইল থেকে শুরু করে মোটা চাল পর্যন্ত প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে কয়েক টাকা। এর পাশাপাশি সয়াবিন তেলের বাজারেও অভিযোগের শেষ নেইÑ গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া থেকে শুরু করে বাড়তি পণ্য কেনার বাধ্যবাধকতা, ক্রেতাদের মনে ক্ষোভ জমছে। তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও একটি স্বস্তির খবর হলো, শাক-সবজি ও মশলার দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় রোজার মৌসুমে তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে।
চালের দাম বাড়ার পেছনে যে যুক্তি দেখানো হচ্ছেÑ ধানের মজুত কমে যাওয়া বা সরবরাহে ঘাটতিÑ তা কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ব্যবসায়ীরা একে অপরের দিকে দায় চাপাচ্ছেন, কিন্তু এর মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। মিলারদের কাছ থেকেও কোনো স্পষ্ট জবাব মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি তদারকির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে বাড়তি দামের অজুহাত হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে তেলের সঙ্গে ‘স্লো মুভিং’ পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয়। এই অভিযোগ সত্যি হলে, বাজার ব্যবস্থাপনার গভীরতর সমস্যার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এর বিপরীতে শাক-সবজি ও মশলার দামে স্থিতিশীলতা সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির। আলু, পেঁয়াজ, টমেটো থেকে শুরু করে শীত-গ্রীষ্মের বিভিন্ন সবজি নাগালের মধ্যে রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, রোজার মতো চাহিদার সময়ে এমন কম দাম বহু বছর দেখা যায়নি। তবে বেগুন, শসা বা লেবুর মতো কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা পুরোপুরি স্বস্তির ছবিটিকে ম্লান করে দেয়।
এই পরিস্থিতি থেকে একটি বিষয় পরিষ্কারÑ বাজারে সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। চাল ও সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির পেছনে যদি সরবরাহ ঘাটতি বা আমদানি নির্ভরতাই কারণ হয়, তবে সরকারের উচিত সময়মতো পদক্ষেপ নিয়ে বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ বাড়ানো। একই সঙ্গে, বাজার তদারকি জোরদার করে অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টানা প্রয়োজন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেলেও, এর ফলাফল এখনো দৃশ্যমান নয়।