alt

মতামত » সম্পাদকীয়

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

: সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরে এখন বোরো ধানের সমারোহ। শ্রম আর ঘামে ফলানো এই সোনার ধান বৈশাখে গোলায় তুলে জীবন-জীবিকার স্বপ্ন দেখেন কৃষকরা; কিন্তু হাওরের বুক চিরে চলমান সড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ তাদের সেই স্বপ্নকে বিপন্ন করেছে। চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক প্রকল্পে জমির ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা, ফসল নষ্টের বিষয়েও কৃষকদের কথা শোনার কেউ নেই। এটি শুধু কৃষকদের জীবিকার ওপর আঘাত নয়, হাওরের প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্যও এক মারাত্মক হুমকি।

কৃষক ও পরিবেশবাদীদের আপত্তি স্পষ্ট। হাওরের মাঝখান দিয়ে এমন সড়ক নির্মাণে শুধু ফসলি জমিই নষ্ট হচ্ছে না, বর্ষায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে উজানে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। হাওরের জীববৈচিত্র্য ও কৃষি ব্যবস্থার সর্বনাশ ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে, অথচ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণের কোনো বরাদ্দ না থাকায় কৃষকদের দুর্দশা আরও বেড়েছে।

এমন একটি প্রকল্প কিভাবে পরিকল্পিত হলো, যেখানে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা বা পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি? জাইকার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থায়নে বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাইয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন কোথায়? উন্নয়নের নামে কৃষক ও প্রকৃতির ক্ষতি করে কোন সড়ক কি সত্যিই জনকল্যাণ বয়ে আনতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি মেলেনি। কৃষকেরা শুধু ক্ষতিপূরণই নয়, হাওরের পানিপ্রবাহ ও নৌ-চলাচল স্বাভাবিক রাখার নিশ্চয়তাও চান। সরকারের উচিত এ দাবিগুলো গুরুত্ব দিয়ে শোনা এবং সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরে এখন বোরো ধানের সমারোহ। শ্রম আর ঘামে ফলানো এই সোনার ধান বৈশাখে গোলায় তুলে জীবন-জীবিকার স্বপ্ন দেখেন কৃষকরা; কিন্তু হাওরের বুক চিরে চলমান সড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ তাদের সেই স্বপ্নকে বিপন্ন করেছে। চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক প্রকল্পে জমির ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা, ফসল নষ্টের বিষয়েও কৃষকদের কথা শোনার কেউ নেই। এটি শুধু কৃষকদের জীবিকার ওপর আঘাত নয়, হাওরের প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্যও এক মারাত্মক হুমকি।

কৃষক ও পরিবেশবাদীদের আপত্তি স্পষ্ট। হাওরের মাঝখান দিয়ে এমন সড়ক নির্মাণে শুধু ফসলি জমিই নষ্ট হচ্ছে না, বর্ষায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে উজানে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। হাওরের জীববৈচিত্র্য ও কৃষি ব্যবস্থার সর্বনাশ ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে, অথচ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণের কোনো বরাদ্দ না থাকায় কৃষকদের দুর্দশা আরও বেড়েছে।

এমন একটি প্রকল্প কিভাবে পরিকল্পিত হলো, যেখানে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা বা পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি? জাইকার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার অর্থায়নে বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাইয়ের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন কোথায়? উন্নয়নের নামে কৃষক ও প্রকৃতির ক্ষতি করে কোন সড়ক কি সত্যিই জনকল্যাণ বয়ে আনতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখনো কোনো স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি মেলেনি। কৃষকেরা শুধু ক্ষতিপূরণই নয়, হাওরের পানিপ্রবাহ ও নৌ-চলাচল স্বাভাবিক রাখার নিশ্চয়তাও চান। সরকারের উচিত এ দাবিগুলো গুরুত্ব দিয়ে শোনা এবং সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।

back to top