alt

opinion » editorial

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

: বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

কৃষি অর্থনীতির প্রাণশক্তি কৃষক। তাদের পরিশ্রমে ফসলের বাম্পার ফলন হলেও সেই সাফল্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত হিমাগারের অভাব এখন একটি চরম সংকটে রূপ নিয়েছে। মুন্সীগঞ্জ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলু চাষিদের একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বছর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও হিমাগারে স্থান সংকটের কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়ে কম দামে ফসল বিক্রি করছেন বা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিনরাত আলু নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

হিমাগারের অপ্রতুলতার পাশাপাশি ভাড়া বৃদ্ধি কৃষকদের দুর্দশাকে আরও তীব্র করেছে। কোথাও কোথাও প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণে খরচ ৪-৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮ টাকা হয়েছে। হিমাগার মালিকরা যুক্তি দেখান, বিদ্যুৎ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বৃদ্ধির কারণে এই সমন্বয়। তবে কৃষকদের প্রশ্ন, যখন তারা ভালো দামে আলু বিক্রি করে লাভ করেছিলেন, তখন কি হিমাগার মালিকরা তাদের খরচ কমিয়েছিলেন? সরকার সম্প্রতি ভাড়া ৬.৭৫ টাকা নির্ধারণ করলেও এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

আলুর চাহিদা ও উৎপাদনের তথ্য সরকারের কাছে থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছর একই সমস্যা কেন? হিমাগারের সংখ্যা ও ধারণক্ষমতা উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে কৃষকদের এই দুর্ভোগ কিভাবে কমবে? কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, এই সংকটের মূলে রয়েছে পরিকল্পনার অভাব। সরকারি উদ্যোগে ফসল ক্রয়, সংরক্ষণ ও উদ্বৃত্ত রপ্তানির পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ।

সরকারের পক্ষ থেকে কিছু প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। প্রাকৃতিক উপায়ে আলু সংরক্ষণের জন্য গ্রামে ঘর নির্মাণ, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, এমনকি নেপাল-দুবাইয়ে আলু রপ্তানির উদ্যোগ কিছুটা আশার আলো জাগায়। তবে এগুলো সীমিত পরিসরে ও পরিকল্পনাহীনভাবে চলছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তারা ‘সমাধানের চেষ্টা চলছে’ বললেও কৃষকদের হাতে সময় কম। হিমাগার নির্মাণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না থাকলে এই সংকট বারবার ফিরে আসবে।

কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের নিশ্চয়তা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বাম্পার ফলনের আনন্দ যেন লোকসানের কান্নায় রূপ না নেয়, সেজন্য জরুরিভিত্তিতে হিমাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে আধুনিক স্টোরেজ সুবিধা গড়ে তোলা, ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর তদারকি এবং বীজ আলু সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

কৃষি অর্থনীতির প্রাণশক্তি কৃষক। তাদের পরিশ্রমে ফসলের বাম্পার ফলন হলেও সেই সাফল্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত হিমাগারের অভাব এখন একটি চরম সংকটে রূপ নিয়েছে। মুন্সীগঞ্জ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলু চাষিদের একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বছর আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও হিমাগারে স্থান সংকটের কারণে কৃষকরা বাধ্য হয়ে কম দামে ফসল বিক্রি করছেন বা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিনরাত আলু নিয়ে অপেক্ষা করছেন।

হিমাগারের অপ্রতুলতার পাশাপাশি ভাড়া বৃদ্ধি কৃষকদের দুর্দশাকে আরও তীব্র করেছে। কোথাও কোথাও প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণে খরচ ৪-৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮ টাকা হয়েছে। হিমাগার মালিকরা যুক্তি দেখান, বিদ্যুৎ ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বৃদ্ধির কারণে এই সমন্বয়। তবে কৃষকদের প্রশ্ন, যখন তারা ভালো দামে আলু বিক্রি করে লাভ করেছিলেন, তখন কি হিমাগার মালিকরা তাদের খরচ কমিয়েছিলেন? সরকার সম্প্রতি ভাড়া ৬.৭৫ টাকা নির্ধারণ করলেও এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

আলুর চাহিদা ও উৎপাদনের তথ্য সরকারের কাছে থাকা সত্ত্বেও প্রতি বছর একই সমস্যা কেন? হিমাগারের সংখ্যা ও ধারণক্ষমতা উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে কৃষকদের এই দুর্ভোগ কিভাবে কমবে? কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, এই সংকটের মূলে রয়েছে পরিকল্পনার অভাব। সরকারি উদ্যোগে ফসল ক্রয়, সংরক্ষণ ও উদ্বৃত্ত রপ্তানির পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ।

সরকারের পক্ষ থেকে কিছু প্রচেষ্টা দৃশ্যমান। প্রাকৃতিক উপায়ে আলু সংরক্ষণের জন্য গ্রামে ঘর নির্মাণ, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, এমনকি নেপাল-দুবাইয়ে আলু রপ্তানির উদ্যোগ কিছুটা আশার আলো জাগায়। তবে এগুলো সীমিত পরিসরে ও পরিকল্পনাহীনভাবে চলছে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তারা ‘সমাধানের চেষ্টা চলছে’ বললেও কৃষকদের হাতে সময় কম। হিমাগার নির্মাণের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না থাকলে এই সংকট বারবার ফিরে আসবে।

কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের নিশ্চয়তা দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বাম্পার ফলনের আনন্দ যেন লোকসানের কান্নায় রূপ না নেয়, সেজন্য জরুরিভিত্তিতে হিমাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ে আধুনিক স্টোরেজ সুবিধা গড়ে তোলা, ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর তদারকি এবং বীজ আলু সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

back to top