দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ত্রিমোহনী ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি শুধু স্থানীয় কৃষক ও মৎসজীবীদের একটি আকাক্সক্ষা নয়, এটি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, পরিবেশ রক্ষা এবং জনজীবনের দুর্ভোগ লাঘবের একটি সম্ভাবনাময় সমাধান। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানির প্রবাহে ফসল নষ্ট হওয়া, জলাবদ্ধতায় গ্রামীণ জীবনযাত্রার ক্ষতি এবং শুকনো মৌসুমে সেচের অভাবে কৃষিজমির অব্যবহৃত থেকে যাওয়াÑএসব সমস্যার সমাধানে রাবার ড্যাম একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। স্থানীয়দের এই দাবি তাই শুধু ন্যায্য নয়, বাস্তবায়নের জন্য জরুরিও।
খনন ও সংস্কারের অভাবে করতোয়া নদী তার প্রবহমান শক্তি অনেকটাই হারিয়েছে। বর্ষায় বন্যার পানিতে তীরবর্তী শত শত বিঘা জমির ফসল ডুবে যায়, আবার শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে কৃষকরা হতাশায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে রাবার ড্যাম স্থাপনের মাধ্যমে বর্ষার পানি সংরক্ষণ করে শুকনো মৌসুমে রবি ফসলের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এটি শুধু কৃষি উৎপাদন বাড়াবে না, মাছ চাষের সুযোগ সৃষ্টি করে অর্থনৈতিকভাবেও এলাকাবাসীকে সমৃদ্ধ করবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, এই দীর্ঘদিনের দাবি এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস সত্ত্বেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এটি প্রশাসনের উদাসীনতা এবং পরিকল্পনার ঘাটতিরই প্রতিফলন। কৃষকদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আর অবহেলায় ফেলে রাখা উচিত নয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এলাকাবাসীর দাবি আমলে নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে রাবার ড্যাম স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া। এটি শুধু ঘোড়াঘাট বা নবাবগঞ্জের কৃষকদের জন্য নয়, করতোয়া নদী তীরবর্তী শত শত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জীবনে স্থায়ী সমৃদ্ধি আনতে পারে। পরিকল্পিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি, পরিবেশ ও অর্থনীতির এই সমন্বিত উন্নয়নের সুযোগ হাতছাড়া করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এখনই সময় কর্তৃপক্ষের সক্রিয় হওয়ারÑএলাকাবাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের প্রত্যাশা পূরণের।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ত্রিমোহনী ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি শুধু স্থানীয় কৃষক ও মৎসজীবীদের একটি আকাক্সক্ষা নয়, এটি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, পরিবেশ রক্ষা এবং জনজীবনের দুর্ভোগ লাঘবের একটি সম্ভাবনাময় সমাধান। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানির প্রবাহে ফসল নষ্ট হওয়া, জলাবদ্ধতায় গ্রামীণ জীবনযাত্রার ক্ষতি এবং শুকনো মৌসুমে সেচের অভাবে কৃষিজমির অব্যবহৃত থেকে যাওয়াÑএসব সমস্যার সমাধানে রাবার ড্যাম একটি কার্যকর পদক্ষেপ হতে পারে। স্থানীয়দের এই দাবি তাই শুধু ন্যায্য নয়, বাস্তবায়নের জন্য জরুরিও।
খনন ও সংস্কারের অভাবে করতোয়া নদী তার প্রবহমান শক্তি অনেকটাই হারিয়েছে। বর্ষায় বন্যার পানিতে তীরবর্তী শত শত বিঘা জমির ফসল ডুবে যায়, আবার শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে কৃষকরা হতাশায় পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে রাবার ড্যাম স্থাপনের মাধ্যমে বর্ষার পানি সংরক্ষণ করে শুকনো মৌসুমে রবি ফসলের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এটি শুধু কৃষি উৎপাদন বাড়াবে না, মাছ চাষের সুযোগ সৃষ্টি করে অর্থনৈতিকভাবেও এলাকাবাসীকে সমৃদ্ধ করবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, এই দীর্ঘদিনের দাবি এখনও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস সত্ত্বেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এটি প্রশাসনের উদাসীনতা এবং পরিকল্পনার ঘাটতিরই প্রতিফলন। কৃষকদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আর অবহেলায় ফেলে রাখা উচিত নয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এলাকাবাসীর দাবি আমলে নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করে রাবার ড্যাম স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া। এটি শুধু ঘোড়াঘাট বা নবাবগঞ্জের কৃষকদের জন্য নয়, করতোয়া নদী তীরবর্তী শত শত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জীবনে স্থায়ী সমৃদ্ধি আনতে পারে। পরিকল্পিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি, পরিবেশ ও অর্থনীতির এই সমন্বিত উন্নয়নের সুযোগ হাতছাড়া করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এখনই সময় কর্তৃপক্ষের সক্রিয় হওয়ারÑএলাকাবাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের প্রত্যাশা পূরণের।