alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

: মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক হামলা দীর্ঘদিন ধরে একটি মর্মান্তিক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংঘাত শুধু একটি ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নয়, বরং মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি উপেক্ষার এক জ্বলন্ত উদাহরণ। সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এই অব্যাহত আগ্রাসন কেবল ফিলিস্তিনিদের জীবন ধ্বংস করছে না, বরং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নৈতিকতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি বিশ্বাসের ওপরও গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে।

গাজা, একটি অবরুদ্ধ ভূখ-, যেখানে প্রায় ২০ লাখ মানুষ সীমিত সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেঁচে আছে, সেখানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানগুলো প্রায়শই অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অমানবিক বলে সমালোচিত হয়েছে। স্কুল, হাসপাতালÑ এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় শিশু ও নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু শুধু পরিসংখ্যান নয়, একটি জাতির ভবিষ্যৎ ও আশা ধ্বংসের চিত্র। ইসরায়েল দাবি করে, তারা হামাসের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে এসব অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বেসামরিক মানুষের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব এই দাবির ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর ভূমিকাও এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে, যা প্রায়শই একপক্ষীয় বলে সমালোচিত হয়। অন্যদিকে, আরব বিশ্বের ঐক্যের অভাব এবং কিছু দেশের নিজস্ব স্বার্থপরায়ণতা ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচারের পথকে আরও দুরূহ করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগই কেবল বেড়েই চলেছেÑ খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের অভাবে গাজার জনজীবন প্রায় ধ্বংসের মুখে।

এই সংকটের সমাধান কী? সামরিক শক্তি দিয়ে একটি জাতিকে দমন করা কখনোই স্থায়ী শান্তি আনতে পারে না। ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রশ্ন অস্বীকার করা যায় না, কিন্তু তা ফিলিস্তিনিদের জীবন ও স্বাধীনতার মূল্যে আসতে পারে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার এবং দীর্ঘমেয়াদে একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা জরুরি। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার অধিকারকে স্বীকৃতি না দিয়ে এই সংঘাতের অবসান সম্ভব নয়।

গাজায় প্রতিটি হামলা শুধু একটি ভূখ-ের ধ্বংস নয়, মানবতার প্রতি একটি আঘাত। বিশ্ব যদি নীরব দর্শক হয়ে থাকে, তবে এই নীরবতা ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের সবাইকে এই অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, কারণ ন্যায়বিচার ও শান্তি একটি সম্মিলিত দায়িত্ব।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক হামলা দীর্ঘদিন ধরে একটি মর্মান্তিক বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংঘাত শুধু একটি ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নয়, বরং মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি উপেক্ষার এক জ্বলন্ত উদাহরণ। সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এই অব্যাহত আগ্রাসন কেবল ফিলিস্তিনিদের জীবন ধ্বংস করছে না, বরং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নৈতিকতা ও ন্যায়বিচারের প্রতি বিশ্বাসের ওপরও গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে।

গাজা, একটি অবরুদ্ধ ভূখ-, যেখানে প্রায় ২০ লাখ মানুষ সীমিত সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেঁচে আছে, সেখানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানগুলো প্রায়শই অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অমানবিক বলে সমালোচিত হয়েছে। স্কুল, হাসপাতালÑ এমনকি জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়কেন্দ্রেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় শিশু ও নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু শুধু পরিসংখ্যান নয়, একটি জাতির ভবিষ্যৎ ও আশা ধ্বংসের চিত্র। ইসরায়েল দাবি করে, তারা হামাসের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে এসব অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বেসামরিক মানুষের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাব এই দাবির ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর ভূমিকাও এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রেখেছে, যা প্রায়শই একপক্ষীয় বলে সমালোচিত হয়। অন্যদিকে, আরব বিশ্বের ঐক্যের অভাব এবং কিছু দেশের নিজস্ব স্বার্থপরায়ণতা ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচারের পথকে আরও দুরূহ করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগই কেবল বেড়েই চলেছেÑ খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের অভাবে গাজার জনজীবন প্রায় ধ্বংসের মুখে।

এই সংকটের সমাধান কী? সামরিক শক্তি দিয়ে একটি জাতিকে দমন করা কখনোই স্থায়ী শান্তি আনতে পারে না। ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রশ্ন অস্বীকার করা যায় না, কিন্তু তা ফিলিস্তিনিদের জীবন ও স্বাধীনতার মূল্যে আসতে পারে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার এবং দীর্ঘমেয়াদে একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা জরুরি। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও মর্যাদার অধিকারকে স্বীকৃতি না দিয়ে এই সংঘাতের অবসান সম্ভব নয়।

গাজায় প্রতিটি হামলা শুধু একটি ভূখ-ের ধ্বংস নয়, মানবতার প্রতি একটি আঘাত। বিশ্ব যদি নীরব দর্শক হয়ে থাকে, তবে এই নীরবতা ইতিহাসে একটি কলঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত হবে। আমাদের সবাইকে এই অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, কারণ ন্যায়বিচার ও শান্তি একটি সম্মিলিত দায়িত্ব।

back to top