alt

opinion » editorial

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

: মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দেশে চালের উৎপাদন প্রতিবছরই চাহিদার তুলনায় বেশি হলেও বাজারে চালের দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ভরা মৌসুমে, যখন চালের দাম কমার কথা, তখন উল্টো তা আকাশছোঁয়া। ভালো মানের মোটা চাল খুচরায় ৬৫ টাকা, আর সরু চাল প্রায় ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছেÑ এমন অবস্থা দেশের ইতিহাসে খুব কমই দেখা গেছে। এর ফলে নি¤œআয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৪ দশমিক ৬ কোটি টন চাল উৎপাদিত হয়েছে, যা মোট চাহিদা ৩ দশমিক ৮৫ কোটি টনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। তাহলে প্রশ্ন ওঠেÑ উৎপাদন উদ্বৃত্ত থাকার পরও কেন চালের দাম বাড়ছে? এখানে একটি বড় কারণ পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধতা। বিবিএস কেবল মানুষের সরাসরি খাদ্যগ্রহণের চাহিদা হিসাব করে; গবাদিপশুর খাদ্য ও শিল্পকারখানার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত চালের পরিমাণ হিসাব করা হয় না। এই ‘নন-হিউম্যান’ এবং ‘মেশিন কনজাম্পশন’ চালের প্রকৃত চাহিদাকে অনেক বাড়িয়ে দেয়, যা বাজারে চাপ তৈরি করে।

সরকারি তথ্য ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যাপক ফারাক রয়েছে। টিসিবি যেখানে মোটা চালের দাম ৫২-৫৭ টাকা বলছে, সেখানে বাস্তবে তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। সরু চালের ক্ষেত্রেও এমনই পার্থক্য। ফলে বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের তথ্য-সংগ্রহ ও পরিবেশনায় আরও নির্ভরযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা আনা জরুরি।

সরকার গত বছর প্রায় ১৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানি হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ৪০ হাজার টন। ব্যবসায়ীরা আমদানিতে অনাগ্রহী থেকেছেন সম্ভাব্য দাম পতনের ভয়ে।

খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, মিল মালিকরা বড় আকারে চাল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। এ ধরনের মজুদদারির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান চালাতে হবে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় ও কার্যকর করতে হবে।

চালের বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার মধ্যে ভারসাম্য আনা জরুরি। বাজারে সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রগুলো (ওএমএস) আরও বিস্তৃত করতে হবে, খাদ্য মজুদের স্বচ্ছ নীতিমালা তৈরি করতে হবে এবং চালকল পর্যায়ে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। একই সঙ্গে আগামী দিনের জন্য চাহিদার প্রকৃত চিত্র নির্ণয় করে পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে উৎপাদন ও আমদানির মধ্যে সমন্বয় থাকে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দেশে চালের উৎপাদন প্রতিবছরই চাহিদার তুলনায় বেশি হলেও বাজারে চালের দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ভরা মৌসুমে, যখন চালের দাম কমার কথা, তখন উল্টো তা আকাশছোঁয়া। ভালো মানের মোটা চাল খুচরায় ৬৫ টাকা, আর সরু চাল প্রায় ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছেÑ এমন অবস্থা দেশের ইতিহাসে খুব কমই দেখা গেছে। এর ফলে নি¤œআয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৪ দশমিক ৬ কোটি টন চাল উৎপাদিত হয়েছে, যা মোট চাহিদা ৩ দশমিক ৮৫ কোটি টনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। তাহলে প্রশ্ন ওঠেÑ উৎপাদন উদ্বৃত্ত থাকার পরও কেন চালের দাম বাড়ছে? এখানে একটি বড় কারণ পরিসংখ্যানের সীমাবদ্ধতা। বিবিএস কেবল মানুষের সরাসরি খাদ্যগ্রহণের চাহিদা হিসাব করে; গবাদিপশুর খাদ্য ও শিল্পকারখানার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত চালের পরিমাণ হিসাব করা হয় না। এই ‘নন-হিউম্যান’ এবং ‘মেশিন কনজাম্পশন’ চালের প্রকৃত চাহিদাকে অনেক বাড়িয়ে দেয়, যা বাজারে চাপ তৈরি করে।

সরকারি তথ্য ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যাপক ফারাক রয়েছে। টিসিবি যেখানে মোটা চালের দাম ৫২-৫৭ টাকা বলছে, সেখানে বাস্তবে তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। সরু চালের ক্ষেত্রেও এমনই পার্থক্য। ফলে বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের তথ্য-সংগ্রহ ও পরিবেশনায় আরও নির্ভরযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা আনা জরুরি।

সরকার গত বছর প্রায় ১৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দিলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমদানি হয়েছে মাত্র ৫ লাখ ৪০ হাজার টন। ব্যবসায়ীরা আমদানিতে অনাগ্রহী থেকেছেন সম্ভাব্য দাম পতনের ভয়ে।

খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, মিল মালিকরা বড় আকারে চাল মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। এ ধরনের মজুদদারির বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযান চালাতে হবে। বাজার মনিটরিং ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় ও কার্যকর করতে হবে।

চালের বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার মধ্যে ভারসাম্য আনা জরুরি। বাজারে সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রগুলো (ওএমএস) আরও বিস্তৃত করতে হবে, খাদ্য মজুদের স্বচ্ছ নীতিমালা তৈরি করতে হবে এবং চালকল পর্যায়ে কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। একই সঙ্গে আগামী দিনের জন্য চাহিদার প্রকৃত চিত্র নির্ণয় করে পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে উৎপাদন ও আমদানির মধ্যে সমন্বয় থাকে।

back to top