দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়Ñকবে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন? বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছে। তরুণদের গঠিত একটি নতুন দল ছাড়া প্রায় সব দলের অবস্থান একই।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে, নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে যে কোনো সময় হতে পারে। ফলে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে ছয় মাসের ব্যবধান তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এই বিরোধের কারণ কী? ডিসেম্বরেই নির্বাচন করতে কী সমস্যা?
সরকার বলছে, কিছু সংস্কার জরুরি। কিন্তু কে সেই সংস্কার করবেÑসরকার, রাজনৈতিক দল না উভয়পক্ষ মিলেÑতা নিয়েই চলছে বিতর্ক। কেউ বলছেন, এই সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে। কেউ বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত এ দায়িত্ব নেওয়া। এমন প্রশ্নও উঠছে যে, কাগজে-কলমে কিছু সংশোধন করলেই কি সেটি টেকসই সংস্কার হবে?
সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে যেসব সংস্কার জরুরি ছিল, তার বেশিরভাগই ঝুলে আছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা অনেক বিষয়কে অপ্রয়োজনে জটিল করে তুলছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আদালতের রায়ে একজন মেয়র দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু একই ধরনের মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভিন্ন ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।
আবার বলা হচ্ছে যে, বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু বিচার কি সময়সীমা বেঁধে শেষ করা সম্ভব? তড়িঘড়ি করে যদি বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা হয়, তবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।
আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিএনপি উভয়েই নিজেদের অবস্থানে অনড়। নির্বাচন নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এবং বাদানুবাদ মোটেই শুভ লক্ষণ নয়। বর্তমানে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বিএনপি। তাদের পাশাপাশি আরও অনেক দলই ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। তাদের এই দাবি দিনের পর দিন উপেক্ষা করা হলে আগামীতে অনাকাক্সিক্ষত সংকট দেখা দিতে পারে।
সরকার এখনো নির্বাচনের জন্য কোনো টাইমলাইন দেয়নি। এই অনিশ্চয়তা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেমন সন্দেহ-সংশয় তৈরি হয়েছে, তেমনি নাগরিকদের মাঝেও দেখা দিয়েছে অনাস্থা। এই সন্দেহ দূর করার দায় অন্তর্বর্তী সরকারেরই।
নির্বাচন নিয়ে এই টানাপোড়েন থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো উন্মুক্ত সংলাপ। নির্বাচন শুধু একটি তারিখের প্রশ্ন নয়, এটি রাজনৈতিক আস্থার প্রশ্ন। সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আন্তরিক আলোচনা এবং একটি সর্বসম্মত রোডম্যাপ। আর এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই।
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়Ñকবে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন? বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাচ্ছে। তরুণদের গঠিত একটি নতুন দল ছাড়া প্রায় সব দলের অবস্থান একই।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে, নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে যে কোনো সময় হতে পারে। ফলে নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে ছয় মাসের ব্যবধান তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এই বিরোধের কারণ কী? ডিসেম্বরেই নির্বাচন করতে কী সমস্যা?
সরকার বলছে, কিছু সংস্কার জরুরি। কিন্তু কে সেই সংস্কার করবেÑসরকার, রাজনৈতিক দল না উভয়পক্ষ মিলেÑতা নিয়েই চলছে বিতর্ক। কেউ বলছেন, এই সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে। কেউ বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত এ দায়িত্ব নেওয়া। এমন প্রশ্নও উঠছে যে, কাগজে-কলমে কিছু সংশোধন করলেই কি সেটি টেকসই সংস্কার হবে?
সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে যেসব সংস্কার জরুরি ছিল, তার বেশিরভাগই ঝুলে আছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা অনেক বিষয়কে অপ্রয়োজনে জটিল করে তুলছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আদালতের রায়ে একজন মেয়র দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু একই ধরনের মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভিন্ন ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।
আবার বলা হচ্ছে যে, বিচারপ্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু বিচার কি সময়সীমা বেঁধে শেষ করা সম্ভব? তড়িঘড়ি করে যদি বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা হয়, তবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে।
আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিএনপি উভয়েই নিজেদের অবস্থানে অনড়। নির্বাচন নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এবং বাদানুবাদ মোটেই শুভ লক্ষণ নয়। বর্তমানে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে বিএনপি। তাদের পাশাপাশি আরও অনেক দলই ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। তাদের এই দাবি দিনের পর দিন উপেক্ষা করা হলে আগামীতে অনাকাক্সিক্ষত সংকট দেখা দিতে পারে।
সরকার এখনো নির্বাচনের জন্য কোনো টাইমলাইন দেয়নি। এই অনিশ্চয়তা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেমন সন্দেহ-সংশয় তৈরি হয়েছে, তেমনি নাগরিকদের মাঝেও দেখা দিয়েছে অনাস্থা। এই সন্দেহ দূর করার দায় অন্তর্বর্তী সরকারেরই।
নির্বাচন নিয়ে এই টানাপোড়েন থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো উন্মুক্ত সংলাপ। নির্বাচন শুধু একটি তারিখের প্রশ্ন নয়, এটি রাজনৈতিক আস্থার প্রশ্ন। সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আন্তরিক আলোচনা এবং একটি সর্বসম্মত রোডম্যাপ। আর এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই।