ঈদকে ঘিরে বাস ভাড়া নিয়ে প্রতি বছরই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিগত ঈদগুলোর মতো এবারের চিত্রও ভিন্ন নয়। রংপুরগামী একাধিক লাক্সারি বাসে ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন নেই। বাস মালিকরা নিজেরাই বাড়তি ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। বিআরটিএ স্পষ্ট করে বলছে, ঈদের সময় ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রশ্নে মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে পরস্পরবিরোধী। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে। তার দাবি, ভাড়া বেড়েছে নির্দিষ্ট কিছু রুটে। বাস্তবে বাস ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ার নজির রয়েছে। কোনো কোনো যাত্রীকে পরিবহন শ্রমিকদের অতিরিক্ত বকশিস দিতে হচ্ছে।
দেশের রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে। অনেক সড়কে অতীতের মতো ঈদের সময় যানজট হচ্ছে না। এর প্রভাবে ভ্রমণের সময় কমেছে। বাসের ট্রিপ সংখ্যা বেড়েছে। এই বাস্তবতায় পরিবহন খাতে মুনাফা আপনাতেই বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে পরিবহন মালিকদের বড় একটি অংশ ঈদকে ‘আয় বাড়ানোর মৌসুম’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। তারা ভাড়া বাড়িয়ে মুনাফা বাড়ানোর সহজ পথে হাঁটছেন। তাদের এই মুনাফার মানসিকতার কারণে যাত্রীসাধারণের জন্য ঈদের যাত্রা হয়ে উঠছে ব্যয়বহুল।
বিআরটিএ বলছে, টার্মিনালভিত্তিক অভিযান চলবে। এজন্য ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই তদারকি কার্যকর নয়। ভাড়া নিয়ন্ত্রণে মৌখিক বার্তা, নির্দেশনা বা তাৎক্ষণিক অভিযান দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ ও পরিবহন তদারকিতে একটি কার্যকর কাঠামোর ঘাটতি রয়েছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুধু তাৎক্ষণিক অভিযানের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। জরুরি ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। যাত্রী স্বার্থ রক্ষা, পরিবহন খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং ঈদের সময় ভাড়া নির্ধারণে মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ঠেকাতে যথাযথ আইন প্রণয়ন ও কঠোর প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
ঈদকে ঘিরে বাস ভাড়া নিয়ে প্রতি বছরই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিগত ঈদগুলোর মতো এবারের চিত্রও ভিন্ন নয়। রংপুরগামী একাধিক লাক্সারি বাসে ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন নেই। বাস মালিকরা নিজেরাই বাড়তি ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। বিআরটিএ স্পষ্ট করে বলছে, ঈদের সময় ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রশ্নে মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে পরস্পরবিরোধী। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে। তার দাবি, ভাড়া বেড়েছে নির্দিষ্ট কিছু রুটে। বাস্তবে বাস ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ার নজির রয়েছে। কোনো কোনো যাত্রীকে পরিবহন শ্রমিকদের অতিরিক্ত বকশিস দিতে হচ্ছে।
দেশের রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে। অনেক সড়কে অতীতের মতো ঈদের সময় যানজট হচ্ছে না। এর প্রভাবে ভ্রমণের সময় কমেছে। বাসের ট্রিপ সংখ্যা বেড়েছে। এই বাস্তবতায় পরিবহন খাতে মুনাফা আপনাতেই বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে পরিবহন মালিকদের বড় একটি অংশ ঈদকে ‘আয় বাড়ানোর মৌসুম’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। তারা ভাড়া বাড়িয়ে মুনাফা বাড়ানোর সহজ পথে হাঁটছেন। তাদের এই মুনাফার মানসিকতার কারণে যাত্রীসাধারণের জন্য ঈদের যাত্রা হয়ে উঠছে ব্যয়বহুল।
বিআরটিএ বলছে, টার্মিনালভিত্তিক অভিযান চলবে। এজন্য ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই তদারকি কার্যকর নয়। ভাড়া নিয়ন্ত্রণে মৌখিক বার্তা, নির্দেশনা বা তাৎক্ষণিক অভিযান দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ ও পরিবহন তদারকিতে একটি কার্যকর কাঠামোর ঘাটতি রয়েছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুধু তাৎক্ষণিক অভিযানের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। জরুরি ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। যাত্রী স্বার্থ রক্ষা, পরিবহন খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং ঈদের সময় ভাড়া নির্ধারণে মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ঠেকাতে যথাযথ আইন প্রণয়ন ও কঠোর প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।