alt

সম্পাদকীয়

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

: সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

ঈদকে ঘিরে বাস ভাড়া নিয়ে প্রতি বছরই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিগত ঈদগুলোর মতো এবারের চিত্রও ভিন্ন নয়। রংপুরগামী একাধিক লাক্সারি বাসে ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন নেই। বাস মালিকরা নিজেরাই বাড়তি ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। বিআরটিএ স্পষ্ট করে বলছে, ঈদের সময় ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রশ্নে মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে পরস্পরবিরোধী। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে। তার দাবি, ভাড়া বেড়েছে নির্দিষ্ট কিছু রুটে। বাস্তবে বাস ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ার নজির রয়েছে। কোনো কোনো যাত্রীকে পরিবহন শ্রমিকদের অতিরিক্ত বকশিস দিতে হচ্ছে।

দেশের রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে। অনেক সড়কে অতীতের মতো ঈদের সময় যানজট হচ্ছে না। এর প্রভাবে ভ্রমণের সময় কমেছে। বাসের ট্রিপ সংখ্যা বেড়েছে। এই বাস্তবতায় পরিবহন খাতে মুনাফা আপনাতেই বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে পরিবহন মালিকদের বড় একটি অংশ ঈদকে ‘আয় বাড়ানোর মৌসুম’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। তারা ভাড়া বাড়িয়ে মুনাফা বাড়ানোর সহজ পথে হাঁটছেন। তাদের এই মুনাফার মানসিকতার কারণে যাত্রীসাধারণের জন্য ঈদের যাত্রা হয়ে উঠছে ব্যয়বহুল।

বিআরটিএ বলছে, টার্মিনালভিত্তিক অভিযান চলবে। এজন্য ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই তদারকি কার্যকর নয়। ভাড়া নিয়ন্ত্রণে মৌখিক বার্তা, নির্দেশনা বা তাৎক্ষণিক অভিযান দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ ও পরিবহন তদারকিতে একটি কার্যকর কাঠামোর ঘাটতি রয়েছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুধু তাৎক্ষণিক অভিযানের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। জরুরি ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। যাত্রী স্বার্থ রক্ষা, পরিবহন খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং ঈদের সময় ভাড়া নির্ধারণে মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ঠেকাতে যথাযথ আইন প্রণয়ন ও কঠোর প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

tab

সম্পাদকীয়

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

ঈদকে ঘিরে বাস ভাড়া নিয়ে প্রতি বছরই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিগত ঈদগুলোর মতো এবারের চিত্রও ভিন্ন নয়। রংপুরগামী একাধিক লাক্সারি বাসে ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন নেই। বাস মালিকরা নিজেরাই বাড়তি ভাড়া নির্ধারণ করেছেন। বিআরটিএ স্পষ্ট করে বলছে, ঈদের সময় ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাস ভাড়া বাড়ানোর প্রশ্নে মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে পরস্পরবিরোধী। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে। তার দাবি, ভাড়া বেড়েছে নির্দিষ্ট কিছু রুটে। বাস্তবে বাস ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ার নজির রয়েছে। কোনো কোনো যাত্রীকে পরিবহন শ্রমিকদের অতিরিক্ত বকশিস দিতে হচ্ছে।

দেশের রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে। অনেক সড়কে অতীতের মতো ঈদের সময় যানজট হচ্ছে না। এর প্রভাবে ভ্রমণের সময় কমেছে। বাসের ট্রিপ সংখ্যা বেড়েছে। এই বাস্তবতায় পরিবহন খাতে মুনাফা আপনাতেই বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে পরিবহন মালিকদের বড় একটি অংশ ঈদকে ‘আয় বাড়ানোর মৌসুম’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। তারা ভাড়া বাড়িয়ে মুনাফা বাড়ানোর সহজ পথে হাঁটছেন। তাদের এই মুনাফার মানসিকতার কারণে যাত্রীসাধারণের জন্য ঈদের যাত্রা হয়ে উঠছে ব্যয়বহুল।

বিআরটিএ বলছে, টার্মিনালভিত্তিক অভিযান চলবে। এজন্য ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই তদারকি কার্যকর নয়। ভাড়া নিয়ন্ত্রণে মৌখিক বার্তা, নির্দেশনা বা তাৎক্ষণিক অভিযান দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। নীতিনির্ধারক সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ ও পরিবহন তদারকিতে একটি কার্যকর কাঠামোর ঘাটতি রয়েছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুধু তাৎক্ষণিক অভিযানের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। জরুরি ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। যাত্রী স্বার্থ রক্ষা, পরিবহন খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং ঈদের সময় ভাড়া নির্ধারণে মালিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ঠেকাতে যথাযথ আইন প্রণয়ন ও কঠোর প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।

back to top