alt

সম্পাদকীয়

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

: বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

আগামী শনিবার সারা দেশে ঈদুল আজহা উদ্যাপন হবে। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল আজহা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ত্যাগ, ভালোবাসা ও একতার বার্তা নিয়ে আসে। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের ঘটনা আমাদের শেখায়, প্রিয় জিনিসও মহান উদ্দেশ্যের জন্য উৎসর্গ করা যায়। এই শিক্ষা আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

ঈদুল আজহার প্রেক্ষাপট জড়িয়ে আছে হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর সীমাহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের ইতিহাসের সঙ্গে। আল্লাহর আদেশে প্রিয় পুত্রকে কোরবানি করতে উদ্যত হওয়া, আর তাতে পুত্রের সম্মতি সহকারে আত্মোৎসর্গের মানসিকতাÑএই দুই চরিত্র ইসলামি ইতিহাসে ত্যাগ ও বিশ্বাসের চূড়ান্ত নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। এই অনন্য ত্যাগের স্মারক হিসেবেই আজও ঈদুল আজহার দিনে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কোরবানি করেন।

আমাদের এও মনে রাখতে হবে, প্রকৃত কোরবানি হলো আত্মার পশুত্ব, অহংকার, হিংসা, লোভ এবং অমানবিক প্রবৃত্তি নির্মূল করা। ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা হলো ভাগ করে নেয়া। কোরবানির মাংস পরিবার, প্রতিবেশী ও গরিব মানুষের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এটি সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমায়। যারা সুবিধাবঞ্চিত, তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। কোরবানির মাধ্যমে আমরা সমাজে ভালোবাসা ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে পারি।

এই উৎসবে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। কোরবানির পশুর চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা দরকার। পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে। বর্জ্য সঠিক জায়গায় ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে এই নির্দেশনা মানলে ঈদ হবে আরও নিরাপদ ও সুন্দর।

ঈদুল আজহা আমাদের একতার গুরুত্ব শেখায়। এই দিনে পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটান মানুষ। একসঙ্গে খাওয়া, হাসি-আনন্দ ভাগ করে নেয়া উৎসবের আনন্দ বাড়ায়। সমাজে যারা অভাবে আছে বা একা আছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ঈদের আনন্দ পূর্ণ হয়।

এই ঈদে আমরা সবাই মিলে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে পারি। ত্যাগের মনোভাব নিয়ে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হোক লক্ষ্য। ঈদুল আজহার শিক্ষা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্রেরণা জোগাক। এই উৎসব আমাদের হৃদয়ে নতুন আশা ও সম্ভাবনা জাগ্রত করুক।

সবাইকে ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই ঈদ আমাদের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতা নিয়ে আসুক।

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

tab

সম্পাদকীয়

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

আগামী শনিবার সারা দেশে ঈদুল আজহা উদ্যাপন হবে। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল আজহা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি ত্যাগ, ভালোবাসা ও একতার বার্তা নিয়ে আসে। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগের ঘটনা আমাদের শেখায়, প্রিয় জিনিসও মহান উদ্দেশ্যের জন্য উৎসর্গ করা যায়। এই শিক্ষা আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।

ঈদুল আজহার প্রেক্ষাপট জড়িয়ে আছে হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর সীমাহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও আত্মসমর্পণের ইতিহাসের সঙ্গে। আল্লাহর আদেশে প্রিয় পুত্রকে কোরবানি করতে উদ্যত হওয়া, আর তাতে পুত্রের সম্মতি সহকারে আত্মোৎসর্গের মানসিকতাÑএই দুই চরিত্র ইসলামি ইতিহাসে ত্যাগ ও বিশ্বাসের চূড়ান্ত নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। এই অনন্য ত্যাগের স্মারক হিসেবেই আজও ঈদুল আজহার দিনে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কোরবানি করেন।

আমাদের এও মনে রাখতে হবে, প্রকৃত কোরবানি হলো আত্মার পশুত্ব, অহংকার, হিংসা, লোভ এবং অমানবিক প্রবৃত্তি নির্মূল করা। ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা হলো ভাগ করে নেয়া। কোরবানির মাংস পরিবার, প্রতিবেশী ও গরিব মানুষের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এটি সমাজে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমায়। যারা সুবিধাবঞ্চিত, তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। কোরবানির মাধ্যমে আমরা সমাজে ভালোবাসা ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে পারি।

এই উৎসবে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। কোরবানির পশুর চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা দরকার। পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে হবে। বর্জ্য সঠিক জায়গায় ফেলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে এই নির্দেশনা মানলে ঈদ হবে আরও নিরাপদ ও সুন্দর।

ঈদুল আজহা আমাদের একতার গুরুত্ব শেখায়। এই দিনে পরিবার, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে সময় কাটান মানুষ। একসঙ্গে খাওয়া, হাসি-আনন্দ ভাগ করে নেয়া উৎসবের আনন্দ বাড়ায়। সমাজে যারা অভাবে আছে বা একা আছে, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ঈদের আনন্দ পূর্ণ হয়।

এই ঈদে আমরা সবাই মিলে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে পারি। ত্যাগের মনোভাব নিয়ে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হোক লক্ষ্য। ঈদুল আজহার শিক্ষা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে প্রেরণা জোগাক। এই উৎসব আমাদের হৃদয়ে নতুন আশা ও সম্ভাবনা জাগ্রত করুক।

সবাইকে ঈদুল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা। এই ঈদ আমাদের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও একতা নিয়ে আসুক।

back to top