রাজধানীতে এডিস মশার বংশবৃদ্ধির হার মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিচালিত জরিপে রাজধানী ঢাকার ১৫টি বাড়ির মধ্যে ৭-৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই জরিপে ব্যবহৃত ব্রুটো ইনডেক্স অনুসারে, সূচক ২০-এর বেশি হলে তা আশঙ্কাজনক বলে ধরা হয়। অথচ বর্তমানে ঢাকায় এই সূচক ৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে বলছেন, কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
জরিপ ও পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ৯ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার জন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃঢ় সতর্কবার্তা। যদিও এবার মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম।
ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক কারণ যেমনÑথেমে থেমে বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহÑগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুসারে, আবহাওয়ার বর্তমান ধরন এডিস মশার বংশবৃদ্ধির আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। মে মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত, সঙ্গে ভ্যাপসা গরমÑএই পরিস্থিতিতে এডিস মশা দ্রুত বেড়ে ওঠে। পাশাপাশি রাজধানীতে কিউলেক্স মশার প্রকোপও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে।
সিটি করপোরেশনগুলোর কার্যক্রম নিয়ে নানা সময়ে নানা ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবতার সঙ্গে সেসবের সামঞ্জস্য পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রশ্ন ওঠে, বারবার একই রকম সংকটের মুখোমুখি হয়ে কেন আমরা কাঠামোগত প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছি? কেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো মৌসুমি অভিযান চালানোর বাইরে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে পারছে না?
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে শুধু ফগিং বা প্রচার কার্যক্রম যথেষ্ট নয়। বাসাবাড়ির পানির পাত্র, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব বা ব্যবহৃত টায়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করে নিয়মিত পরিদর্শন ও পরিষ্কার করা জরুরি। একইসঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
রাজধানীতে এডিস মশার বংশবৃদ্ধির হার মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিচালিত জরিপে রাজধানী ঢাকার ১৫টি বাড়ির মধ্যে ৭-৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই জরিপে ব্যবহৃত ব্রুটো ইনডেক্স অনুসারে, সূচক ২০-এর বেশি হলে তা আশঙ্কাজনক বলে ধরা হয়। অথচ বর্তমানে ঢাকায় এই সূচক ৫০ থেকে ৬০-এর মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে বলছেন, কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
জরিপ ও পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ৯ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার জন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃঢ় সতর্কবার্তা। যদিও এবার মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম।
ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক কারণ যেমনÑথেমে থেমে বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহÑগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য অনুসারে, আবহাওয়ার বর্তমান ধরন এডিস মশার বংশবৃদ্ধির আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। মে মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত, সঙ্গে ভ্যাপসা গরমÑএই পরিস্থিতিতে এডিস মশা দ্রুত বেড়ে ওঠে। পাশাপাশি রাজধানীতে কিউলেক্স মশার প্রকোপও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে।
সিটি করপোরেশনগুলোর কার্যক্রম নিয়ে নানা সময়ে নানা ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবতার সঙ্গে সেসবের সামঞ্জস্য পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এই অবস্থায় প্রশ্ন ওঠে, বারবার একই রকম সংকটের মুখোমুখি হয়ে কেন আমরা কাঠামোগত প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যর্থ হচ্ছি? কেন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো মৌসুমি অভিযান চালানোর বাইরে একটি দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে পারছে না?
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে শুধু ফগিং বা প্রচার কার্যক্রম যথেষ্ট নয়। বাসাবাড়ির পানির পাত্র, নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের টব বা ব্যবহৃত টায়ারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো চিহ্নিত করে নিয়মিত পরিদর্শন ও পরিষ্কার করা জরুরি। একইসঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।