দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ঈদ উপলক্ষে গণপরিবহন, পশুর হাট ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভিড়ের পর করোনা সংক্রমণ হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, মে মাসে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫, সেখানে জুনের প্রথম আট দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। একই সময়ে ঢাকায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হওয়া অধিকাংশ রোগীই রাজধানী ঢাকা ও কয়েকটি শহরের। কারণ এসব এলাকায় সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষা চলছে। দেশের বহু জেলায় এখনো করোনা পরীক্ষার কোনো কিট নেই। ফলে প্রকৃত সংক্রমণের চিত্র অজানা রয়ে গেছে।
ভারতসহ আশপাশের দেশে সংক্রমণ বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত ও বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও দেশের ভেতরে ব্যাপক প্রস্তুতির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি এখনো নেই। বরিশাল, সিলেটসহ অনেক বিভাগে কোনো ধরনের করোনা পরীক্ষার কিট নেই। এমনকি রাজধানীর বড় বড় হাসপাতালগুলোতেও কিট সংকট দেখা দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দেশের প্রতিটি বিভাগে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, কিট সরবরাহ জোরদার করা এবং হাসপাতালগুলোতে পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া। তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি না নিলে আমরা আবারও বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারি। করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হয়তো এখনো উদ্বেগজনক নয়, কিন্তু এটি বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই বিষয়টি উপেক্ষা করা চলে না।
টিকা বিতরণ ও ব্যবহারের বিষয়েও সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। জানা গেছে, দেশে মজুত থাকা ৩১ লাখ ফাইজার টিকার মধ্যে অর্ধেকের বেশি আগস্টের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন উপধরনের (যেমন জেএন-১, এক্সএফসি, এক্সএফজি) বিরুদ্ধে এই টিকাগুলোর কার্যকারিতা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাই কারিগরি কমিটির দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি, যাতে টিকা কার্যক্রম আবারও কার্যকরভাবে শুরু করা যায় অথবা বিকল্প টিকার বন্দোবস্ত করা যায়।
পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক করা জরুরি। করোনা প্রতিরোধের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, বরং আমাদের সবার। রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি এবং ব্যক্তিগত সচেতনতাÑএই দুইয়ের সমন্বয়ই হতে হবে আমাদের প্রধান অস্ত্র।
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়ছে। ঈদ উপলক্ষে গণপরিবহন, পশুর হাট ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভিড়ের পর করোনা সংক্রমণ হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, মে মাসে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫, সেখানে জুনের প্রথম আট দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ জন। একই সময়ে ঢাকায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হওয়া অধিকাংশ রোগীই রাজধানী ঢাকা ও কয়েকটি শহরের। কারণ এসব এলাকায় সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষা চলছে। দেশের বহু জেলায় এখনো করোনা পরীক্ষার কোনো কিট নেই। ফলে প্রকৃত সংক্রমণের চিত্র অজানা রয়ে গেছে।
ভারতসহ আশপাশের দেশে সংক্রমণ বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সীমান্ত ও বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও দেশের ভেতরে ব্যাপক প্রস্তুতির কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি এখনো নেই। বরিশাল, সিলেটসহ অনেক বিভাগে কোনো ধরনের করোনা পরীক্ষার কিট নেই। এমনকি রাজধানীর বড় বড় হাসপাতালগুলোতেও কিট সংকট দেখা দিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দেশের প্রতিটি বিভাগে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, কিট সরবরাহ জোরদার করা এবং হাসপাতালগুলোতে পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া। তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি না নিলে আমরা আবারও বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারি। করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হয়তো এখনো উদ্বেগজনক নয়, কিন্তু এটি বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই বিষয়টি উপেক্ষা করা চলে না।
টিকা বিতরণ ও ব্যবহারের বিষয়েও সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন। জানা গেছে, দেশে মজুত থাকা ৩১ লাখ ফাইজার টিকার মধ্যে অর্ধেকের বেশি আগস্টের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন উপধরনের (যেমন জেএন-১, এক্সএফসি, এক্সএফজি) বিরুদ্ধে এই টিকাগুলোর কার্যকারিতা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাই কারিগরি কমিটির দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি, যাতে টিকা কার্যক্রম আবারও কার্যকরভাবে শুরু করা যায় অথবা বিকল্প টিকার বন্দোবস্ত করা যায়।
পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক করা জরুরি। করোনা প্রতিরোধের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, বরং আমাদের সবার। রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি এবং ব্যক্তিগত সচেতনতাÑএই দুইয়ের সমন্বয়ই হতে হবে আমাদের প্রধান অস্ত্র।