alt

সম্পাদকীয়

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

: শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা সম্প্রতি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সরাসরি বিমান হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েল লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং উভয় পক্ষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।

কয়েক দশকের ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব মূলত ছায়াযুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এই সংঘাতের প্রকাশ্য রূপ নেয়া আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শক্তির জন্য উদ্বেগজনক। এটি শুধু দ্বিপক্ষীয় সংঘাত নয়Ñএর মধ্যে যুক্ত রয়েছে পরমাণু কর্মসূচি, প্রতিরক্ষা চুক্তি, এবং জ্বালানি নিরাপত্তাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ইস্যু। ফলে সংঘাতের প্রভাব শুধু ইরান-ইসরায়েলে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রতিফলন ঘটবে।

যুদ্ধের অর্থনৈতিক খরচ বিশাল এবং তার অভিঘাত বহুমাত্রিক। বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার, বাণিজ্যপথের নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংকট ও মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাও এই সংঘাত দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভৌগোলিক ঝুঁকি বাড়তে শুরু করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী এখনো কূটনৈতিক সমঝোতার সুযোগ রয়েছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানে পূর্বনির্ধারিত পরমাণু আলোচনা ছিল শান্তিপূর্ণ সমাধানের একটি সম্ভাব্য পথ। ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে সে সম্ভাবনার স্থলে এখন সংঘাতের বাস্তবতা হাজির হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার টেবিলে ফেরা জরুরি।

সামরিক শক্তি দিয়ে শুধু তাৎক্ষণিক কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হলেও তা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধান এনে দেয় না; বরং সহিংসতার বৃত্ত আরও বিস্তৃত হয়। এ কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব পক্ষের এখন প্রয়োজন সংযম ও কূটনৈতিক সক্রিয়তা। সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যেমন জাতিসংঘের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, তেমনি আঞ্চলিক শক্তিগুলোকেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

tab

সম্পাদকীয়

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা সম্প্রতি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সরাসরি বিমান হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েল লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং উভয় পক্ষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।

কয়েক দশকের ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব মূলত ছায়াযুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এই সংঘাতের প্রকাশ্য রূপ নেয়া আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শক্তির জন্য উদ্বেগজনক। এটি শুধু দ্বিপক্ষীয় সংঘাত নয়Ñএর মধ্যে যুক্ত রয়েছে পরমাণু কর্মসূচি, প্রতিরক্ষা চুক্তি, এবং জ্বালানি নিরাপত্তাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ইস্যু। ফলে সংঘাতের প্রভাব শুধু ইরান-ইসরায়েলে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রতিফলন ঘটবে।

যুদ্ধের অর্থনৈতিক খরচ বিশাল এবং তার অভিঘাত বহুমাত্রিক। বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার, বাণিজ্যপথের নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংকট ও মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাও এই সংঘাত দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভৌগোলিক ঝুঁকি বাড়তে শুরু করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী এখনো কূটনৈতিক সমঝোতার সুযোগ রয়েছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানে পূর্বনির্ধারিত পরমাণু আলোচনা ছিল শান্তিপূর্ণ সমাধানের একটি সম্ভাব্য পথ। ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে সে সম্ভাবনার স্থলে এখন সংঘাতের বাস্তবতা হাজির হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার টেবিলে ফেরা জরুরি।

সামরিক শক্তি দিয়ে শুধু তাৎক্ষণিক কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হলেও তা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধান এনে দেয় না; বরং সহিংসতার বৃত্ত আরও বিস্তৃত হয়। এ কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব পক্ষের এখন প্রয়োজন সংযম ও কূটনৈতিক সক্রিয়তা। সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যেমন জাতিসংঘের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, তেমনি আঞ্চলিক শক্তিগুলোকেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।

back to top