মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা সম্প্রতি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সরাসরি বিমান হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েল লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং উভয় পক্ষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
কয়েক দশকের ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব মূলত ছায়াযুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এই সংঘাতের প্রকাশ্য রূপ নেয়া আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শক্তির জন্য উদ্বেগজনক। এটি শুধু দ্বিপক্ষীয় সংঘাত নয়Ñএর মধ্যে যুক্ত রয়েছে পরমাণু কর্মসূচি, প্রতিরক্ষা চুক্তি, এবং জ্বালানি নিরাপত্তাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ইস্যু। ফলে সংঘাতের প্রভাব শুধু ইরান-ইসরায়েলে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রতিফলন ঘটবে।
যুদ্ধের অর্থনৈতিক খরচ বিশাল এবং তার অভিঘাত বহুমাত্রিক। বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার, বাণিজ্যপথের নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংকট ও মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাও এই সংঘাত দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভৌগোলিক ঝুঁকি বাড়তে শুরু করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী এখনো কূটনৈতিক সমঝোতার সুযোগ রয়েছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানে পূর্বনির্ধারিত পরমাণু আলোচনা ছিল শান্তিপূর্ণ সমাধানের একটি সম্ভাব্য পথ। ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে সে সম্ভাবনার স্থলে এখন সংঘাতের বাস্তবতা হাজির হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার টেবিলে ফেরা জরুরি।
সামরিক শক্তি দিয়ে শুধু তাৎক্ষণিক কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হলেও তা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধান এনে দেয় না; বরং সহিংসতার বৃত্ত আরও বিস্তৃত হয়। এ কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব পক্ষের এখন প্রয়োজন সংযম ও কূটনৈতিক সক্রিয়তা। সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যেমন জাতিসংঘের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, তেমনি আঞ্চলিক শক্তিগুলোকেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা সম্প্রতি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সরাসরি বিমান হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েল লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং উভয় পক্ষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি গোটা উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
কয়েক দশকের ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব মূলত ছায়াযুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এই সংঘাতের প্রকাশ্য রূপ নেয়া আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শক্তির জন্য উদ্বেগজনক। এটি শুধু দ্বিপক্ষীয় সংঘাত নয়Ñএর মধ্যে যুক্ত রয়েছে পরমাণু কর্মসূচি, প্রতিরক্ষা চুক্তি, এবং জ্বালানি নিরাপত্তাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ইস্যু। ফলে সংঘাতের প্রভাব শুধু ইরান-ইসরায়েলে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও এর নেতিবাচক প্রতিফলন ঘটবে।
যুদ্ধের অর্থনৈতিক খরচ বিশাল এবং তার অভিঘাত বহুমাত্রিক। বৈশ্বিক জ্বালানি বাজার, বাণিজ্যপথের নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংকট ও মানবিক সহায়তা ব্যবস্থাও এই সংঘাত দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভৌগোলিক ঝুঁকি বাড়তে শুরু করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য অনুযায়ী এখনো কূটনৈতিক সমঝোতার সুযোগ রয়েছে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ওমানে পূর্বনির্ধারিত পরমাণু আলোচনা ছিল শান্তিপূর্ণ সমাধানের একটি সম্ভাব্য পথ। ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে সে সম্ভাবনার স্থলে এখন সংঘাতের বাস্তবতা হাজির হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার টেবিলে ফেরা জরুরি।
সামরিক শক্তি দিয়ে শুধু তাৎক্ষণিক কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হলেও তা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধান এনে দেয় না; বরং সহিংসতার বৃত্ত আরও বিস্তৃত হয়। এ কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সব পক্ষের এখন প্রয়োজন সংযম ও কূটনৈতিক সক্রিয়তা। সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর যেমন জাতিসংঘের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, তেমনি আঞ্চলিক শক্তিগুলোকেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।