সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। বিশেষ করে ঈদুল আজহার মতো উৎসব উপলক্ষে এই চাল সহায়তা দরিদ্র মানুষের খাদ্যনিরাপত্তায় সহায়ক হওয়ার কথা। কিন্তু কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়া ইউনিয়নে সুবিধাভোগী দরিদ্রদের বাদ দিয়ে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সচ্ছল ব্যক্তি, শিক্ষক, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের নাম। অভিযোগ আছে, এসব নাম ব্যবহার করে বরাদ্দ পাওয়া চাল বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অনিয়মের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে এই তালিকা। যে শিক্ষক ও ব্যবসায়ীদের নাম তালিকায় পাওয়া গেছে, তারা নিজেরাও বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেছেন। যাদের উচিত ছিল দরিদ্রদের তালিকা তৈরি করা, তারাই স্থানীয় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবানদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। তালিকা তৈরির সময় যাচাই-বাছাইয়ে ব্যর্থ হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটিও।
চাল বিতরণে অনিয়ম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৪০ জন স্লিপধারী চাল নিতে আসেননি এবং প্রায় সাড়ে ১৮ মেট্রিক টন চাল অব্যবহৃত থেকে যায়। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনায় অপচয় এবং গরিব মানুষদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চিত্র সামনে আসে।
দেশে প্রায় এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে। অনিয়ম রোধে দরকার নিরপেক্ষ তদন্ত। দায়ীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ভিজিএফের তালিকা তৈরির পুরো প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল ও কেন্দ্রীয় যাচাইব্যবস্থা চালু করা জরুরি, যাতে স্থানীয় পর্যায়ের প্রভাব ও দুর্নীতি কমে।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে এই অনিয়ম রোধ করতে না পারলে রাষ্ট্রের দারিদ্র্য হ্রাস নীতিও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জনগণের আস্থা অর্জনে প্রশাসনের এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ চাল বিতরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। বিশেষ করে ঈদুল আজহার মতো উৎসব উপলক্ষে এই চাল সহায়তা দরিদ্র মানুষের খাদ্যনিরাপত্তায় সহায়ক হওয়ার কথা। কিন্তু কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বলদিয়া ইউনিয়নে সুবিধাভোগী দরিদ্রদের বাদ দিয়ে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সচ্ছল ব্যক্তি, শিক্ষক, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের নাম। অভিযোগ আছে, এসব নাম ব্যবহার করে বরাদ্দ পাওয়া চাল বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অনিয়মের মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে এই তালিকা। যে শিক্ষক ও ব্যবসায়ীদের নাম তালিকায় পাওয়া গেছে, তারা নিজেরাও বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেছেন। যাদের উচিত ছিল দরিদ্রদের তালিকা তৈরি করা, তারাই স্থানীয় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবানদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। তালিকা তৈরির সময় যাচাই-বাছাইয়ে ব্যর্থ হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটিও।
চাল বিতরণে অনিয়ম এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শেষ পর্যন্ত ১ হাজার ৮৪০ জন স্লিপধারী চাল নিতে আসেননি এবং প্রায় সাড়ে ১৮ মেট্রিক টন চাল অব্যবহৃত থেকে যায়। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনায় অপচয় এবং গরিব মানুষদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চিত্র সামনে আসে।
দেশে প্রায় এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে। অনিয়ম রোধে দরকার নিরপেক্ষ তদন্ত। দায়ীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ভিজিএফের তালিকা তৈরির পুরো প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল ও কেন্দ্রীয় যাচাইব্যবস্থা চালু করা জরুরি, যাতে স্থানীয় পর্যায়ের প্রভাব ও দুর্নীতি কমে।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে এই অনিয়ম রোধ করতে না পারলে রাষ্ট্রের দারিদ্র্য হ্রাস নীতিও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জনগণের আস্থা অর্জনে প্রশাসনের এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।