আষাঢ়ের শুরুতেই রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা নগর ডুবে গেছে বৃষ্টির পানিতে। রাজধানী ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টিতে পানি জমেছে একাধিক এলাকায়, যার মধ্যে জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর ও কাতালগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। খুলনা নগরীর অবস্থাও ভিন্ন নয়Ñবহু ড্রেন ও খাল খননের পরেও পানি জমেছে প্রধান সড়কে, ঢুকে পড়েছে বাড়িঘরে।
বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার এই দুর্দশা আকস্মিক নয়। এটি বছরের পর বছর ধরে চলছে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, তিনটি নগরীতেই ব্যাপক পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে নেয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প। চট্টগ্রামে চারটি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। খুলনায় একটি প্রকল্পেই ৮২৩ কোটি টাকা। অথচ প্রতিবার বৃষ্টি হলেই সাধারণ মানুষকে হাঁটুপানিতে হাঁটতে হয়। যাত্রী সাধারণকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় দ্বিগুণ রিকশা ভাড়ায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, এত টাকা খরচ করে যদি বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ন্যূনতম ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে দায় কে নেবে? চট্টগ্রামের প্রকল্পগুলোর মেয়াদ পাঁচ থেকে এগারো বছর ধরে চলেছে। অথচ এখনো কাজ শেষ হয়নি। অন্যদিকে খুলনার মেয়র দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে সভা-সেমিনার হলেও মাঠপর্যায়ে বাস্তব অগ্রগতি চোখে পড়েনি।
জলাবদ্ধতা এখন হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবনের এক মারাত্মক দুর্ভোগ। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, নাগরিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, নারী, প্রবীণ ও কর্মজীবীদের জন্য এই দুর্ভোগ ভয়াবহ।
জলাবদ্ধতার টেকসই সমাধান করতে হবে। খাল, নালা সংস্কার করার বিকল্প নেই। নগরীর জলাশয় রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে চাই প্রকৃত তদারকি ও জবাবদিহি। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের জন্য দায়ীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
আষাঢ়ের শুরুতেই রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা নগর ডুবে গেছে বৃষ্টির পানিতে। রাজধানী ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। চট্টগ্রামে ভারি বৃষ্টিতে পানি জমেছে একাধিক এলাকায়, যার মধ্যে জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর ও কাতালগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। খুলনা নগরীর অবস্থাও ভিন্ন নয়Ñবহু ড্রেন ও খাল খননের পরেও পানি জমেছে প্রধান সড়কে, ঢুকে পড়েছে বাড়িঘরে।
বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার এই দুর্দশা আকস্মিক নয়। এটি বছরের পর বছর ধরে চলছে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, তিনটি নগরীতেই ব্যাপক পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে নেয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প। চট্টগ্রামে চারটি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। খুলনায় একটি প্রকল্পেই ৮২৩ কোটি টাকা। অথচ প্রতিবার বৃষ্টি হলেই সাধারণ মানুষকে হাঁটুপানিতে হাঁটতে হয়। যাত্রী সাধারণকে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় দ্বিগুণ রিকশা ভাড়ায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, এত টাকা খরচ করে যদি বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ন্যূনতম ব্যবস্থাও নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে দায় কে নেবে? চট্টগ্রামের প্রকল্পগুলোর মেয়াদ পাঁচ থেকে এগারো বছর ধরে চলেছে। অথচ এখনো কাজ শেষ হয়নি। অন্যদিকে খুলনার মেয়র দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে সভা-সেমিনার হলেও মাঠপর্যায়ে বাস্তব অগ্রগতি চোখে পড়েনি।
জলাবদ্ধতা এখন হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবনের এক মারাত্মক দুর্ভোগ। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, নাগরিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, নারী, প্রবীণ ও কর্মজীবীদের জন্য এই দুর্ভোগ ভয়াবহ।
জলাবদ্ধতার টেকসই সমাধান করতে হবে। খাল, নালা সংস্কার করার বিকল্প নেই। নগরীর জলাশয় রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে চাই প্রকৃত তদারকি ও জবাবদিহি। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের জন্য দায়ীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।