এসএসসি পরীক্ষার আগেই অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন থমকে যাচ্ছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ছয় হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যাদের অনুপস্থিতির কারণ জানা গেছে, তাদের প্রায় ৫১ শতাংশ আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
তথ্য অনুযায়ী, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের ৭৬ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের। এদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীই বেশি। আবার গর্ভধারণজনিত কারণে ২১ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছর হওয়ার আগেই। ফলে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার পাশাপাশি কম বয়সে মাতৃত্ব, অপুষ্টি, মাতৃমৃত্যু ও সন্তান মৃত্যুর হারও বেড়ে যায়।
বাল্যবিয়ে শুধু একটি শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিয়ের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দারিদ্র্য, অভিভাবকের অশিক্ষা ও নিরাপত্তাহীনতা। দেশের অনেক এলাকায় এখনো কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করার মানসিকতা রয়ে গেছে। মেয়েদের পড়াশোনায় বিনিয়োগ না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করার মনোভাব রয়েছে অনেক অভিভাবকের মধ্যে।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ করা জরুরি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসনীয়। তবে তথ্য সংগ্রহ করে দায় সারলে চলবে না। এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাল্যবিয়ে রোধে বিদ্যমান আইনের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে কন্যাসন্তানদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন করা জরুরি।
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
এসএসসি পরীক্ষার আগেই অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন থমকে যাচ্ছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ছয় হাজার ৩৮৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যাদের অনুপস্থিতির কারণ জানা গেছে, তাদের প্রায় ৫১ শতাংশ আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
তথ্য অনুযায়ী, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের ৭৬ শতাংশই গ্রামাঞ্চলের। এদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীই বেশি। আবার গর্ভধারণজনিত কারণে ২১ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ বছর হওয়ার আগেই। ফলে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার পাশাপাশি কম বয়সে মাতৃত্ব, অপুষ্টি, মাতৃমৃত্যু ও সন্তান মৃত্যুর হারও বেড়ে যায়।
বাল্যবিয়ে শুধু একটি শিশুর ভবিষ্যৎই নষ্ট করে না, দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাল্যবিয়ের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে দারিদ্র্য, অভিভাবকের অশিক্ষা ও নিরাপত্তাহীনতা। দেশের অনেক এলাকায় এখনো কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করার মানসিকতা রয়ে গেছে। মেয়েদের পড়াশোনায় বিনিয়োগ না করে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করার মনোভাব রয়েছে অনেক অভিভাবকের মধ্যে।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ করা জরুরি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা প্রশংসনীয়। তবে তথ্য সংগ্রহ করে দায় সারলে চলবে না। এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের করণীয় নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাল্যবিয়ে রোধে বিদ্যমান আইনের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে কন্যাসন্তানদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন করা জরুরি।