হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেগমপুর গ্রামে প্রকাশ্যে সরকারি গাছ কাটা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেছেন, গাছগুলো সরকারি হলেও তিনি ঘরের প্রয়োজনে তা কাটছেন। ঘটনা দিনেদুপুরে ঘটলেও প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ এখনও পরিলক্ষিত হয়নি।এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি গাছ কেটে নিতে দেখা যায়।
সরকারি গাছ কাটা একটি গুরুতর অপরাধ। এতে শুধু রাষ্ট্রীয় সম্পদেরই ক্ষতি হয় না, পরিবেশের জন্যও হুমকি। রাস্তার পাশে রোপিত গাছ শুধু ছায়া দেয় না, বরং ভূমিক্ষয় রোধ করে, বায়ু বিশুদ্ধ করে এবং পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষা করে। গাছ কেটে ফেললে এলাকার তাপমাত্রা বাড়ে, মাটি দুর্বল হয় এবং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ও ভাঙনের আশঙ্কা বাড়ে। এই ক্ষতির দায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও বহন করতে হয়।
গাছ কাটা রোধ করার প্রশ্নে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা আমরা জানতে চাইব। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রভাবশালী মহলের পক্ষ থেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। যদি সত্যি এমনটি ঘটে, তবে তা হবে আইনের শাসনের পরিপন্থি।
গাছ কাটা রোধে প্রথমত প্রয়োজন, স্থানীয় প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ। গাছ কাটার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ, পুলিশ ও ইউএনও কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা উচিত। গাছ যারা কেটেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবেÑতা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন। পাশাপাশি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে, যেন তারা সরকারি সম্পদ রক্ষায় অংশ নেয় এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
সরকারি গাছ কাটা একটি সামষ্টিক ক্ষতি। এ ধরনের ঘটনা যতবার ঘটবে, ততবার প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, আর রাষ্ট্রের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমবে। তাই সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। হবিগঞ্জে গাছ কাটার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেগমপুর গ্রামে প্রকাশ্যে সরকারি গাছ কাটা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি বলেছেন, গাছগুলো সরকারি হলেও তিনি ঘরের প্রয়োজনে তা কাটছেন। ঘটনা দিনেদুপুরে ঘটলেও প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্যোগ এখনও পরিলক্ষিত হয়নি।এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি গাছ কেটে নিতে দেখা যায়।
সরকারি গাছ কাটা একটি গুরুতর অপরাধ। এতে শুধু রাষ্ট্রীয় সম্পদেরই ক্ষতি হয় না, পরিবেশের জন্যও হুমকি। রাস্তার পাশে রোপিত গাছ শুধু ছায়া দেয় না, বরং ভূমিক্ষয় রোধ করে, বায়ু বিশুদ্ধ করে এবং পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষা করে। গাছ কেটে ফেললে এলাকার তাপমাত্রা বাড়ে, মাটি দুর্বল হয় এবং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা ও ভাঙনের আশঙ্কা বাড়ে। এই ক্ষতির দায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও বহন করতে হয়।
গাছ কাটা রোধ করার প্রশ্নে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেটা আমরা জানতে চাইব। স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রভাবশালী মহলের পক্ষ থেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। যদি সত্যি এমনটি ঘটে, তবে তা হবে আইনের শাসনের পরিপন্থি।
গাছ কাটা রোধে প্রথমত প্রয়োজন, স্থানীয় প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ। গাছ কাটার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ, পুলিশ ও ইউএনও কার্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা উচিত। গাছ যারা কেটেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবেÑতা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন। পাশাপাশি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে, যেন তারা সরকারি সম্পদ রক্ষায় অংশ নেয় এবং প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
সরকারি গাছ কাটা একটি সামষ্টিক ক্ষতি। এ ধরনের ঘটনা যতবার ঘটবে, ততবার প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, আর রাষ্ট্রের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমবে। তাই সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। হবিগঞ্জে গাছ কাটার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।