লালমনিরহাটে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনকে আটক ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের স্থানীয় জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। থানার সামনে একদল মানুষ বিক্ষোভ করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দেশে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে গণপিটুনি দেয়া আইনের শাসনের ধারণার পরিপন্থি। বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে কারও ওপর সামাজিক ‘শাস্তি’ চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু দেশে এমন ঘটনাই বারবার ঘটছে। এতে করে আইনের শাসনের ধারণা দুর্বল হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বলছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফল। কারও বিরুদ্ধে যখন কোনো অভিযোগ ওঠে, তখন সেই অভিযোগ তদন্ত করা ও তদন্ত সাপেক্ষ বিচার করার জন্য নির্ধারিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ আছে। কাউকে শাস্তি দেয়া বা হেনস্তা করা জনগণের দায়িত্ব নয়। ধর্মীয় অনুভূতির অজুহাতে আইন লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। অপরাধ যদি ঘটে থাকে, তবে তা নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে বিচার হওয়া উচিত। মিথ্যা অভিযোগ, গুজব বা উসকানির মাধ্যমে সহিংসতা ঘটানো একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটা বন্ধ করতে হবে।
এই ধরনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। লালমনিরহাটের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গুজব কিংবা অপপ্রচারের ফলে অতীতেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
আমরা বলতে চাই, লালমনিরহাটের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ‘মব’ সৃষ্টি করে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার সাহস না পায়।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
লালমনিরহাটে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনকে আটক ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের স্থানীয় জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। থানার সামনে একদল মানুষ বিক্ষোভ করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দেশে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে গণপিটুনি দেয়া আইনের শাসনের ধারণার পরিপন্থি। বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে কারও ওপর সামাজিক ‘শাস্তি’ চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু দেশে এমন ঘটনাই বারবার ঘটছে। এতে করে আইনের শাসনের ধারণা দুর্বল হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বলছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফল। কারও বিরুদ্ধে যখন কোনো অভিযোগ ওঠে, তখন সেই অভিযোগ তদন্ত করা ও তদন্ত সাপেক্ষ বিচার করার জন্য নির্ধারিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ আছে। কাউকে শাস্তি দেয়া বা হেনস্তা করা জনগণের দায়িত্ব নয়। ধর্মীয় অনুভূতির অজুহাতে আইন লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। অপরাধ যদি ঘটে থাকে, তবে তা নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে বিচার হওয়া উচিত। মিথ্যা অভিযোগ, গুজব বা উসকানির মাধ্যমে সহিংসতা ঘটানো একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটা বন্ধ করতে হবে।
এই ধরনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। লালমনিরহাটের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গুজব কিংবা অপপ্রচারের ফলে অতীতেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
আমরা বলতে চাই, লালমনিরহাটের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ‘মব’ সৃষ্টি করে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার সাহস না পায়।