alt

সম্পাদকীয়

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

লালমনিরহাটে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনকে আটক ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের স্থানীয় জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। থানার সামনে একদল মানুষ বিক্ষোভ করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দেশে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে গণপিটুনি দেয়া আইনের শাসনের ধারণার পরিপন্থি। বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে কারও ওপর সামাজিক ‘শাস্তি’ চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু দেশে এমন ঘটনাই বারবার ঘটছে। এতে করে আইনের শাসনের ধারণা দুর্বল হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বলছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফল। কারও বিরুদ্ধে যখন কোনো অভিযোগ ওঠে, তখন সেই অভিযোগ তদন্ত করা ও তদন্ত সাপেক্ষ বিচার করার জন্য নির্ধারিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ আছে। কাউকে শাস্তি দেয়া বা হেনস্তা করা জনগণের দায়িত্ব নয়। ধর্মীয় অনুভূতির অজুহাতে আইন লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। অপরাধ যদি ঘটে থাকে, তবে তা নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে বিচার হওয়া উচিত। মিথ্যা অভিযোগ, গুজব বা উসকানির মাধ্যমে সহিংসতা ঘটানো একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটা বন্ধ করতে হবে।

এই ধরনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। লালমনিরহাটের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গুজব কিংবা অপপ্রচারের ফলে অতীতেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

আমরা বলতে চাই, লালমনিরহাটের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ‘মব’ সৃষ্টি করে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার সাহস না পায়।

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

tab

সম্পাদকীয়

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

লালমনিরহাটে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজনকে আটক ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের স্থানীয় জনতা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। থানার সামনে একদল মানুষ বিক্ষোভ করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দেশে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে কাউকে গণপিটুনি দেয়া আইনের শাসনের ধারণার পরিপন্থি। বিচারব্যবস্থার বাইরে গিয়ে কারও ওপর সামাজিক ‘শাস্তি’ চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু দেশে এমন ঘটনাই বারবার ঘটছে। এতে করে আইনের শাসনের ধারণা দুর্বল হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বলছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফল। কারও বিরুদ্ধে যখন কোনো অভিযোগ ওঠে, তখন সেই অভিযোগ তদন্ত করা ও তদন্ত সাপেক্ষ বিচার করার জন্য নির্ধারিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ আছে। কাউকে শাস্তি দেয়া বা হেনস্তা করা জনগণের দায়িত্ব নয়। ধর্মীয় অনুভূতির অজুহাতে আইন লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। অপরাধ যদি ঘটে থাকে, তবে তা নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে বিচার হওয়া উচিত। মিথ্যা অভিযোগ, গুজব বা উসকানির মাধ্যমে সহিংসতা ঘটানো একটি ফৌজদারি অপরাধ। এটা বন্ধ করতে হবে।

এই ধরনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। লালমনিরহাটের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। গুজব কিংবা অপপ্রচারের ফলে অতীতেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

আমরা বলতে চাই, লালমনিরহাটের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। ‘মব’ সৃষ্টি করে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার সাহস না পায়।

back to top