alt

সম্পাদকীয়

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

: শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু দেশের কিছু এলাকায় এই পানিই জীবনহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা ও ডিহিকৃষ্ণপুর গ্রামে আর্সেনিক দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থা শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং জাতীয় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য এক বড় ধরনের সতর্ক সংকেত।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবসৃষ্ট দূষণের কারণে পানির উৎসগুলো ক্রমাগত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। কৃষিজমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, জলাশয়ে বিষপ্রয়োগ এবং ভূগর্ভস্থ পানির অনিয়ন্ত্রিত উত্তোলন এ দূষণকে আরও তীব্র করছে। ২০০৩ সালের এক সমীক্ষা বলছে, তখন দেশের প্রায় ২৯ শতাংশ নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছিল। ২০ বছর পর সেই হার কমে ১৪ শতাংশে এলেও আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা এখনো ৭ লাখ ৫০ হাজারের বেশি।

আর্সেনিক সমস্যার একটি বড় কারণ হলো পর্যাপ্ত ও হালনাগাদ তথ্যের অভাব। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আক্রান্ত মানুষের কোনো স্পষ্ট পরিসংখ্যান নেই। প্রাযুক্তিক সমাধান, স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া এই সমস্যার কার্যকর মোকাবিলা সম্ভব নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবস্থাপনায় আমাদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। খনিজসমৃদ্ধ গভীর স্তরের পানিকে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে চিহ্নিত করে তা ব্যবহারের দিকে যেতে হবে। স্থানীয় জলাধারগুলোকে পরিশোধনের উপযোগী করে তুলতে হবে। একই সঙ্গে দরকার বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলকে নীতিনির্ধারণে গুরুত্ব দেয়া।

এই পরিস্থিতিতে জরুরি কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সব নলকূপ পরীক্ষা করে মানদ- অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করতে হবে। আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকাগুলোতে নতুন আর্সেনিকমুক্ত পানির উৎস স্থাপন। আক্রান্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য জেলা পর্যায়ে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

আর্সেনিক দূষণ একটি নীরব সংকট। এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি ও প্রাণঘাতী। বিষয়টিকে যদি যথাযথ গুরুত্ব দেয়া না হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করবে। তাই দ্রুত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি।

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

tab

সম্পাদকীয়

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু দেশের কিছু এলাকায় এই পানিই জীবনহানির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দুধপাতিলা ও ডিহিকৃষ্ণপুর গ্রামে আর্সেনিক দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থা শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং জাতীয় জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য এক বড় ধরনের সতর্ক সংকেত।

জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবসৃষ্ট দূষণের কারণে পানির উৎসগুলো ক্রমাগত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। কৃষিজমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, জলাশয়ে বিষপ্রয়োগ এবং ভূগর্ভস্থ পানির অনিয়ন্ত্রিত উত্তোলন এ দূষণকে আরও তীব্র করছে। ২০০৩ সালের এক সমীক্ষা বলছে, তখন দেশের প্রায় ২৯ শতাংশ নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছিল। ২০ বছর পর সেই হার কমে ১৪ শতাংশে এলেও আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা এখনো ৭ লাখ ৫০ হাজারের বেশি।

আর্সেনিক সমস্যার একটি বড় কারণ হলো পর্যাপ্ত ও হালনাগাদ তথ্যের অভাব। জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আক্রান্ত মানুষের কোনো স্পষ্ট পরিসংখ্যান নেই। প্রাযুক্তিক সমাধান, স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং প্রশিক্ষণ ছাড়া এই সমস্যার কার্যকর মোকাবিলা সম্ভব নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবস্থাপনায় আমাদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। খনিজসমৃদ্ধ গভীর স্তরের পানিকে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে চিহ্নিত করে তা ব্যবহারের দিকে যেতে হবে। স্থানীয় জলাধারগুলোকে পরিশোধনের উপযোগী করে তুলতে হবে। একই সঙ্গে দরকার বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলকে নীতিনির্ধারণে গুরুত্ব দেয়া।

এই পরিস্থিতিতে জরুরি কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সব নলকূপ পরীক্ষা করে মানদ- অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করতে হবে। আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকাগুলোতে নতুন আর্সেনিকমুক্ত পানির উৎস স্থাপন। আক্রান্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য জেলা পর্যায়ে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

আর্সেনিক দূষণ একটি নীরব সংকট। এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি ও প্রাণঘাতী। বিষয়টিকে যদি যথাযথ গুরুত্ব দেয়া না হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করবে। তাই দ্রুত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি।

back to top