পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় রেকর্ডীয় সরকারি খাল দখল ও ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষিপ্রধান এই এলাকায় খালগুলোর অস্তিত্ব সংকটে পড়ায় সেচ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে প্রতিবছর চাষাবাদে বিঘœ ঘটছে এবং ফসলহানির আশঙ্কা বাড়ছে।
খাল ভরাট ও দখলের ফলে প্রথম যে ক্ষতিটি হয়, তা হলো পানি প্রবাহ ব্যাহত হয়। খাল পানির প্রাকৃতিক চলাচল নিশ্চিত করে, যা শুধু কৃষি নয়, বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনেও সহায়ক। খাল বন্ধ হয়ে গেলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয় এবং শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় পানির অভাব। এতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়ে, ফলন কমে। এমনকি কোনো কোনো জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে।
খাল বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ে। খালের সঙ্গে যুক্ত জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজনন ও বাসস্থান বাধাগ্রস্ত হয়। খাল শুধু পানি বয়ে আনে না, এটি একটি জীবন্ত পরিবেশ ব্যবস্থার অংশ। খাল দখল মানে শুধু ভূমি দখল নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের নামান্তর।
আমরা বলতে চাই, খাল রক্ষার জন্য কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে। রেকর্ডীয় সরকারি খালের যথাযথ সীমানা নির্ধারণ করে সেসব এলাকায় অবৈধ দখলের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এ কাজে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন জিআইএস বা ড্রোন ম্যাপিং ব্যবহার করলে প্রমাণ উপস্থাপন সহজ হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং তা যেন একবারের জন্য না হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলে, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।
খালভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে, যাতে একদিকে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত হয়। খালের দুই পাড়ে সবুজ বেষ্টনী, হাঁটার পথ কিংবা জলবায়ু-সহনশীল ব্যবহার নিশ্চিত করে খালকে জনজীবনের অংশ করে তোলা যায়। জনগণকে খাল রক্ষায় সম্পৃক্ত করার জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচিও চালু করতে হবে। খালকে শুধুই সরকারি সম্পদ হিসেবে না দেখে, বরং এটি এলাকার আর্থ-সামাজিক অস্তিত্বের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় রেকর্ডীয় সরকারি খাল দখল ও ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষিপ্রধান এই এলাকায় খালগুলোর অস্তিত্ব সংকটে পড়ায় সেচ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে প্রতিবছর চাষাবাদে বিঘœ ঘটছে এবং ফসলহানির আশঙ্কা বাড়ছে।
খাল ভরাট ও দখলের ফলে প্রথম যে ক্ষতিটি হয়, তা হলো পানি প্রবাহ ব্যাহত হয়। খাল পানির প্রাকৃতিক চলাচল নিশ্চিত করে, যা শুধু কৃষি নয়, বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনেও সহায়ক। খাল বন্ধ হয়ে গেলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয় এবং শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় পানির অভাব। এতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়ে, ফলন কমে। এমনকি কোনো কোনো জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে।
খাল বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ে। খালের সঙ্গে যুক্ত জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রজনন ও বাসস্থান বাধাগ্রস্ত হয়। খাল শুধু পানি বয়ে আনে না, এটি একটি জীবন্ত পরিবেশ ব্যবস্থার অংশ। খাল দখল মানে শুধু ভূমি দখল নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের নামান্তর।
আমরা বলতে চাই, খাল রক্ষার জন্য কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিতে হবে। রেকর্ডীয় সরকারি খালের যথাযথ সীমানা নির্ধারণ করে সেসব এলাকায় অবৈধ দখলের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এ কাজে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন জিআইএস বা ড্রোন ম্যাপিং ব্যবহার করলে প্রমাণ উপস্থাপন সহজ হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং তা যেন একবারের জন্য না হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলে, সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।
খালভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প নিতে হবে, যাতে একদিকে খালের স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত হয়। খালের দুই পাড়ে সবুজ বেষ্টনী, হাঁটার পথ কিংবা জলবায়ু-সহনশীল ব্যবহার নিশ্চিত করে খালকে জনজীবনের অংশ করে তোলা যায়। জনগণকে খাল রক্ষায় সম্পৃক্ত করার জন্য সচেতনতামূলক কর্মসূচিও চালু করতে হবে। খালকে শুধুই সরকারি সম্পদ হিসেবে না দেখে, বরং এটি এলাকার আর্থ-সামাজিক অস্তিত্বের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।