পানি সংকটে দিনাজপুর ও আশপাশের অঞ্চলে পাট চাষিরা এক কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বৃষ্টির অভাব এবং জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়ার ফলে জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা বা কাটা পাট জাগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো পাম্প দিয়ে সেচের পানি ব্যবহার করছেন, কেউ কেউ আবার কাদা পানিতে পাট পচাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে যেমন অতিরিক্ত খরচ বাড়ছে, তেমনি পাটের মানও ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি শুধুমাত্র দিনাজপুরেই নয়, দেশের আরও অনেক অঞ্চলে প্রায়ই দেখা দেয়।
এ সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হলে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই সমাধানের দিকে নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘রিবন রেটিং’ বা ছালকরণ ও ছাল পচন পদ্ধতি একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ পদ্ধতিতে গোটা গাছ না পচিয়ে কাঁচা অবস্থায় গাছের ছাল বা বাকল আলাদা করে অল্প পানিতে ছাল পচানো হয়। এতে পানির প্রয়োজন অনেক কমে যায়, জায়গা ও সময় সাশ্রয় হয় এবং উৎপাদিত আঁশের মান উন্নত হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলে কৃষকদের পরিবহন ব্যয়, শ্রম এবং সময়ের অপচয়ও কমবে।
এ প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হলে সরকার এবং কৃষি বিভাগের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সহজ শর্তে সরবরাহ এবং উৎসাহব্যঞ্জক নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পানিনির্ভর ফসল চাষের ক্ষেত্রে এমন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। পাট বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও রপ্তানিমুখী অর্থকরী ফসল। এর উৎপাদন ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ না হলে কৃষকের ক্ষতি হবে। জাতীয় অর্থনীতিও তার প্রতিকূল প্রভাব এড়াতে পারবে না। তাই এখন সময় রিবন রেটিংয়ের মতো প্রযুক্তিকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে টেকসই পাট চাষ নিশ্চিত করার। এতে শুধু কৃষকই উপকৃত হবেন না, দেশের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
পানি সংকটে দিনাজপুর ও আশপাশের অঞ্চলে পাট চাষিরা এক কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বৃষ্টির অভাব এবং জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়ার ফলে জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা বা কাটা পাট জাগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো পাম্প দিয়ে সেচের পানি ব্যবহার করছেন, কেউ কেউ আবার কাদা পানিতে পাট পচাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে যেমন অতিরিক্ত খরচ বাড়ছে, তেমনি পাটের মানও ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি শুধুমাত্র দিনাজপুরেই নয়, দেশের আরও অনেক অঞ্চলে প্রায়ই দেখা দেয়।
এ সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হলে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই সমাধানের দিকে নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘রিবন রেটিং’ বা ছালকরণ ও ছাল পচন পদ্ধতি একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ পদ্ধতিতে গোটা গাছ না পচিয়ে কাঁচা অবস্থায় গাছের ছাল বা বাকল আলাদা করে অল্প পানিতে ছাল পচানো হয়। এতে পানির প্রয়োজন অনেক কমে যায়, জায়গা ও সময় সাশ্রয় হয় এবং উৎপাদিত আঁশের মান উন্নত হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলে কৃষকদের পরিবহন ব্যয়, শ্রম এবং সময়ের অপচয়ও কমবে।
এ প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হলে সরকার এবং কৃষি বিভাগের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সহজ শর্তে সরবরাহ এবং উৎসাহব্যঞ্জক নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পানিনির্ভর ফসল চাষের ক্ষেত্রে এমন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। পাট বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও রপ্তানিমুখী অর্থকরী ফসল। এর উৎপাদন ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ না হলে কৃষকের ক্ষতি হবে। জাতীয় অর্থনীতিও তার প্রতিকূল প্রভাব এড়াতে পারবে না। তাই এখন সময় রিবন রেটিংয়ের মতো প্রযুক্তিকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে টেকসই পাট চাষ নিশ্চিত করার। এতে শুধু কৃষকই উপকৃত হবেন না, দেশের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।