alt

সম্পাদকীয়

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

: সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

পানি সংকটে দিনাজপুর ও আশপাশের অঞ্চলে পাট চাষিরা এক কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বৃষ্টির অভাব এবং জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়ার ফলে জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা বা কাটা পাট জাগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো পাম্প দিয়ে সেচের পানি ব্যবহার করছেন, কেউ কেউ আবার কাদা পানিতে পাট পচাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে যেমন অতিরিক্ত খরচ বাড়ছে, তেমনি পাটের মানও ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি শুধুমাত্র দিনাজপুরেই নয়, দেশের আরও অনেক অঞ্চলে প্রায়ই দেখা দেয়।

এ সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হলে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই সমাধানের দিকে নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘রিবন রেটিং’ বা ছালকরণ ও ছাল পচন পদ্ধতি একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ পদ্ধতিতে গোটা গাছ না পচিয়ে কাঁচা অবস্থায় গাছের ছাল বা বাকল আলাদা করে অল্প পানিতে ছাল পচানো হয়। এতে পানির প্রয়োজন অনেক কমে যায়, জায়গা ও সময় সাশ্রয় হয় এবং উৎপাদিত আঁশের মান উন্নত হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলে কৃষকদের পরিবহন ব্যয়, শ্রম এবং সময়ের অপচয়ও কমবে।

এ প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হলে সরকার এবং কৃষি বিভাগের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সহজ শর্তে সরবরাহ এবং উৎসাহব্যঞ্জক নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পানিনির্ভর ফসল চাষের ক্ষেত্রে এমন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। পাট বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও রপ্তানিমুখী অর্থকরী ফসল। এর উৎপাদন ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ না হলে কৃষকের ক্ষতি হবে। জাতীয় অর্থনীতিও তার প্রতিকূল প্রভাব এড়াতে পারবে না। তাই এখন সময় রিবন রেটিংয়ের মতো প্রযুক্তিকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে টেকসই পাট চাষ নিশ্চিত করার। এতে শুধু কৃষকই উপকৃত হবেন না, দেশের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

পানি সংকটে দিনাজপুর ও আশপাশের অঞ্চলে পাট চাষিরা এক কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছেন। বৃষ্টির অভাব এবং জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়ার ফলে জমিতে দাঁড়িয়ে থাকা বা কাটা পাট জাগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো পাম্প দিয়ে সেচের পানি ব্যবহার করছেন, কেউ কেউ আবার কাদা পানিতে পাট পচাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে যেমন অতিরিক্ত খরচ বাড়ছে, তেমনি পাটের মানও ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি শুধুমাত্র দিনাজপুরেই নয়, দেশের আরও অনেক অঞ্চলে প্রায়ই দেখা দেয়।

এ সংকট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হলে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই সমাধানের দিকে নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘রিবন রেটিং’ বা ছালকরণ ও ছাল পচন পদ্ধতি একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ পদ্ধতিতে গোটা গাছ না পচিয়ে কাঁচা অবস্থায় গাছের ছাল বা বাকল আলাদা করে অল্প পানিতে ছাল পচানো হয়। এতে পানির প্রয়োজন অনেক কমে যায়, জায়গা ও সময় সাশ্রয় হয় এবং উৎপাদিত আঁশের মান উন্নত হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলে কৃষকদের পরিবহন ব্যয়, শ্রম এবং সময়ের অপচয়ও কমবে।

এ প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হলে সরকার এবং কৃষি বিভাগের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সহজ শর্তে সরবরাহ এবং উৎসাহব্যঞ্জক নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে পানিনির্ভর ফসল চাষের ক্ষেত্রে এমন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। পাট বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ও রপ্তানিমুখী অর্থকরী ফসল। এর উৎপাদন ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণ না হলে কৃষকের ক্ষতি হবে। জাতীয় অর্থনীতিও তার প্রতিকূল প্রভাব এড়াতে পারবে না। তাই এখন সময় রিবন রেটিংয়ের মতো প্রযুক্তিকে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে টেকসই পাট চাষ নিশ্চিত করার। এতে শুধু কৃষকই উপকৃত হবেন না, দেশের পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।

back to top