গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয় ৮ হাজার ৪০৮ জনকে। আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই অজ্ঞাতনামা। গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোটালীপাড়ায় গণ গ্রেফতারের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
হাজার হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করার ঘটনা দেশে নতুন নয়। অন্তর্বর্তী সরকার আমলেও হাজার হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হচ্ছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে যে, দেশে পরিবর্তনটা হলো কী।
অজ্ঞাতনামা আসামির মামলা মানেই দায়সারা তদন্ত। এতে প্রকৃত অপরাধী থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আর ভোগান্তিতে পড়ে নিরীহ মানুষ। এ রকম মামলায় যাদের নাম নেই, তারাও গ্রেপ্তার হন। কোটালীপাড়ায় নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে স্থানীয় বিএনপি অভিযোগ করেছে। এমন অভিযোগ অন্যান্য স্থান থেকেও পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, পুলিশ প্রমাণ সংগ্রহ না করে হুট করে মামলা দেয়। পরে যাকে খুশি তাকে ধরার সুযোগ তৈরি হয়। এতে তদন্ত দুর্বল হয়। বিচারে সত্য উদ্ঘাটিত হয় না। অপরাধীও শনাক্ত হয় না। বরং সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়।
রাজনৈতিক প্রভাবেও এসব মামলা প্রভাবিত হয়। সরকারের সমালোচক বা বিরোধী দলের কর্মীদের টার্গেট করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এতে নাগরিক অধিকার ক্ষুণœ হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হয় বিচারপ্রক্রিয়াু।
এই প্রবণতা আইনের শাসনের জন্য শুভকর নয়। এমন প্রবণতা চলতে থাকলে, বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়। মানুষ ভাবতে বাধ্য হয় যে, ‘আইন সবার জন্য সমান নয়, বরং শাসকের হাতিয়ার’।
এই সংকট কাটাতে কয়েকটি কাজ করা জরুরি। প্রথমত, মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও আসামীর পরিচয় দিতে হবে। কখনো কখনো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে সেটার সুনির্দীষ্ট যুক্তি থাকতে হবে। মামলা করা বা তদন্ত কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, কেউ অপরাধ করলে তার বিরদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে নিরীহ একজন মানুষও যেন হয়রানির শিকার না হন। দায়সারা মামলা বা তদন্ত নয়, সত্য উদ্ঘাটনই হোক বিচারপ্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য। না হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙে নষ্ট হবে।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয় ৮ হাজার ৪০৮ জনকে। আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই অজ্ঞাতনামা। গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোটালীপাড়ায় গণ গ্রেফতারের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
হাজার হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করার ঘটনা দেশে নতুন নয়। অন্তর্বর্তী সরকার আমলেও হাজার হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হচ্ছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে যে, দেশে পরিবর্তনটা হলো কী।
অজ্ঞাতনামা আসামির মামলা মানেই দায়সারা তদন্ত। এতে প্রকৃত অপরাধী থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আর ভোগান্তিতে পড়ে নিরীহ মানুষ। এ রকম মামলায় যাদের নাম নেই, তারাও গ্রেপ্তার হন। কোটালীপাড়ায় নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে স্থানীয় বিএনপি অভিযোগ করেছে। এমন অভিযোগ অন্যান্য স্থান থেকেও পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে যে, পুলিশ প্রমাণ সংগ্রহ না করে হুট করে মামলা দেয়। পরে যাকে খুশি তাকে ধরার সুযোগ তৈরি হয়। এতে তদন্ত দুর্বল হয়। বিচারে সত্য উদ্ঘাটিত হয় না। অপরাধীও শনাক্ত হয় না। বরং সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়।
রাজনৈতিক প্রভাবেও এসব মামলা প্রভাবিত হয়। সরকারের সমালোচক বা বিরোধী দলের কর্মীদের টার্গেট করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এতে নাগরিক অধিকার ক্ষুণœ হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হয় বিচারপ্রক্রিয়াু।
এই প্রবণতা আইনের শাসনের জন্য শুভকর নয়। এমন প্রবণতা চলতে থাকলে, বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়। মানুষ ভাবতে বাধ্য হয় যে, ‘আইন সবার জন্য সমান নয়, বরং শাসকের হাতিয়ার’।
এই সংকট কাটাতে কয়েকটি কাজ করা জরুরি। প্রথমত, মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও আসামীর পরিচয় দিতে হবে। কখনো কখনো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে সেটার সুনির্দীষ্ট যুক্তি থাকতে হবে। মামলা করা বা তদন্ত কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, কেউ অপরাধ করলে তার বিরদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে নিরীহ একজন মানুষও যেন হয়রানির শিকার না হন। দায়সারা মামলা বা তদন্ত নয়, সত্য উদ্ঘাটনই হোক বিচারপ্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য। না হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙে নষ্ট হবে।