alt

সম্পাদকীয়

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

: মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয় ৮ হাজার ৪০৮ জনকে। আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই অজ্ঞাতনামা। গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোটালীপাড়ায় গণ গ্রেফতারের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে।

হাজার হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করার ঘটনা দেশে নতুন নয়। অন্তর্বর্তী সরকার আমলেও হাজার হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হচ্ছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে যে, দেশে পরিবর্তনটা হলো কী।

অজ্ঞাতনামা আসামির মামলা মানেই দায়সারা তদন্ত। এতে প্রকৃত অপরাধী থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আর ভোগান্তিতে পড়ে নিরীহ মানুষ। এ রকম মামলায় যাদের নাম নেই, তারাও গ্রেপ্তার হন। কোটালীপাড়ায় নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে স্থানীয় বিএনপি অভিযোগ করেছে। এমন অভিযোগ অন্যান্য স্থান থেকেও পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, পুলিশ প্রমাণ সংগ্রহ না করে হুট করে মামলা দেয়। পরে যাকে খুশি তাকে ধরার সুযোগ তৈরি হয়। এতে তদন্ত দুর্বল হয়। বিচারে সত্য উদ্ঘাটিত হয় না। অপরাধীও শনাক্ত হয় না। বরং সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়।

রাজনৈতিক প্রভাবেও এসব মামলা প্রভাবিত হয়। সরকারের সমালোচক বা বিরোধী দলের কর্মীদের টার্গেট করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এতে নাগরিক অধিকার ক্ষুণœ হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হয় বিচারপ্রক্রিয়াু।

এই প্রবণতা আইনের শাসনের জন্য শুভকর নয়। এমন প্রবণতা চলতে থাকলে, বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়। মানুষ ভাবতে বাধ্য হয় যে, ‘আইন সবার জন্য সমান নয়, বরং শাসকের হাতিয়ার’।

এই সংকট কাটাতে কয়েকটি কাজ করা জরুরি। প্রথমত, মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও আসামীর পরিচয় দিতে হবে। কখনো কখনো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে সেটার সুনির্দীষ্ট যুক্তি থাকতে হবে। মামলা করা বা তদন্ত কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

আমরা বলতে চাই, কেউ অপরাধ করলে তার বিরদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে নিরীহ একজন মানুষও যেন হয়রানির শিকার না হন। দায়সারা মামলা বা তদন্ত নয়, সত্য উদ্ঘাটনই হোক বিচারপ্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য। না হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙে নষ্ট হবে।

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

tab

সম্পাদকীয়

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয় ৮ হাজার ৪০৮ জনকে। আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই অজ্ঞাতনামা। গোপালগঞ্জে গণগ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোটালীপাড়ায় গণ গ্রেফতারের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে।

হাজার হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করার ঘটনা দেশে নতুন নয়। অন্তর্বর্তী সরকার আমলেও হাজার হাজার মানুষকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হচ্ছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে যে, দেশে পরিবর্তনটা হলো কী।

অজ্ঞাতনামা আসামির মামলা মানেই দায়সারা তদন্ত। এতে প্রকৃত অপরাধী থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আর ভোগান্তিতে পড়ে নিরীহ মানুষ। এ রকম মামলায় যাদের নাম নেই, তারাও গ্রেপ্তার হন। কোটালীপাড়ায় নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে স্থানীয় বিএনপি অভিযোগ করেছে। এমন অভিযোগ অন্যান্য স্থান থেকেও পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, পুলিশ প্রমাণ সংগ্রহ না করে হুট করে মামলা দেয়। পরে যাকে খুশি তাকে ধরার সুযোগ তৈরি হয়। এতে তদন্ত দুর্বল হয়। বিচারে সত্য উদ্ঘাটিত হয় না। অপরাধীও শনাক্ত হয় না। বরং সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়।

রাজনৈতিক প্রভাবেও এসব মামলা প্রভাবিত হয়। সরকারের সমালোচক বা বিরোধী দলের কর্মীদের টার্গেট করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এতে নাগরিক অধিকার ক্ষুণœ হয়। প্রশ্নবিদ্ধ হয় বিচারপ্রক্রিয়াু।

এই প্রবণতা আইনের শাসনের জন্য শুভকর নয়। এমন প্রবণতা চলতে থাকলে, বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়। মানুষ ভাবতে বাধ্য হয় যে, ‘আইন সবার জন্য সমান নয়, বরং শাসকের হাতিয়ার’।

এই সংকট কাটাতে কয়েকটি কাজ করা জরুরি। প্রথমত, মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও আসামীর পরিচয় দিতে হবে। কখনো কখনো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে সেটার সুনির্দীষ্ট যুক্তি থাকতে হবে। মামলা করা বা তদন্ত কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

আমরা বলতে চাই, কেউ অপরাধ করলে তার বিরদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। তবে নিরীহ একজন মানুষও যেন হয়রানির শিকার না হন। দায়সারা মামলা বা তদন্ত নয়, সত্য উদ্ঘাটনই হোক বিচারপ্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য। না হলে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙে নষ্ট হবে।

back to top