রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেখানে ১১টি পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন চারজন। বাকি পদগুলো বছরের পর বছর শূন্য পড়ে রয়েছে। এই অঞ্চলে ৪৩ লাখের বেশি গবাদিপশু রয়েছে, রয়েছে সহস্রাধিক খামার। গবাদিপশুর তুলনায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে সেবা দানের ব্যবস্থা অপ্রতুল। সেখানে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
রোগাক্রান্ত গবাদিপশুর যথাযথ চিকিৎসা করা না গেলে রোগবালাই দীর্ঘস্থায়ী হয়, যা প্রাণিসম্পদের উৎপাদন, খামারির আয় ও খাদ্য নিরাপত্তাÑসবকিছুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই সংকট নিছক একটি উপজেলায় সীমাবদ্ধ নয়। এটি সরকারি সেবা খাতের একটি কাঠামোগত দুর্বলতার প্রতিফলন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বক্তব্যে বোঝা যায়, উদ্ভূত সমস্যা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত। কিন্তু কেবল অবহিত করাই যথেষ্ট নয়। সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। সেখানে শূন্য পদে নিয়োগ, প্রশিক্ষণরত কর্মকর্তার বিকল্প ব্যবস্থা, এবং স্থানীয়ভাবে অস্থায়ী নিয়োগের মাধ্যমেও অন্তত অস্থায়ী স্বস্তি আনা সম্ভব।
প্রাণিসম্পদ খাত কেবল কৃষকের আয়ের উৎস নয়, বরং দেশের সার্বিক পুষ্টি নিরাপত্তা ও অর্থনীতির অংশ। সে হিসেবে এ খাতে বিনিয়োগ ও জনবল নিশ্চিত করা প্রয়োজনীয়। যথাযথ জনবল দিয়ে ভেটেরিনারি সেবা শক্তিশালী না হলে পীরগঞ্জের মতো এলাকাগুলোতে প্রাণিসম্পদের সম্ভাবনা ব্যহত হবে।