দেশের গ্যাস খাত দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী সংকটে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন কমছে। চাহিদা পূরণে বাড়ছে আমদানি নির্ভরতা। এ অবস্থায় প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকার গ্যাস অপচয় অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, বিতরণ লাইনে গড়ে প্রতিবছর ৭ শতাংশের বেশি গ্যাস অপচয় হচ্ছে। যার বার্ষিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এ ক্ষতির বড় অংশই প্রতিরোধযোগ্য। জরাজীর্ণ পাইপলাইন, অবৈধ সংযোগ, রাইজারে ছিদ্র এবং তৃতীয় পক্ষের কাজের সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াÑএসব কারণ বহুদিন ধরেই চিহ্নিত। কিন্তু তা সমাধানে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নেই।
পেট্রোবাংলা ও সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, মিটারিং ব্যবস্থাপনা জোরদার করা, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং প্রিপেইড মিটার বসানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত দুর্বলতা, নজরদারির অভাব এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহির ঘাটতি থাকলে এসব পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকর হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু অভিযান চালানো বা বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত, সমন্বিত এবং সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, অভ্যন্তরীণ গ্যাস না মিললে আমদানির ওপর নির্ভরতা বাড়তেই থাকবে। এলএনজি আমদানিতে দিতে হচ্ছে ভর্তুকি। কাজেই এটি দীর্ঘমেয়াদে কতটা টেকসই হবে সেটা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। কাজেই অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি গ্যাসের অপচয় রোধ করতে হবে।
বলা হচ্ছে, গ্যাস বিলের অর্ধেক বকেয়া থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত সরবরাহ বজায় রাখা হয়। আমরা মনে করি, যেসব প্রতিষ্ঠান সময়মতো বিল দেয় না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই বকেয়া বেড়েই যাবে। গ্যাস অপচয় রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
দেশের গ্যাস খাত দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী সংকটে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন কমছে। চাহিদা পূরণে বাড়ছে আমদানি নির্ভরতা। এ অবস্থায় প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকার গ্যাস অপচয় অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, বিতরণ লাইনে গড়ে প্রতিবছর ৭ শতাংশের বেশি গ্যাস অপচয় হচ্ছে। যার বার্ষিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এ ক্ষতির বড় অংশই প্রতিরোধযোগ্য। জরাজীর্ণ পাইপলাইন, অবৈধ সংযোগ, রাইজারে ছিদ্র এবং তৃতীয় পক্ষের কাজের সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াÑএসব কারণ বহুদিন ধরেই চিহ্নিত। কিন্তু তা সমাধানে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নেই।
পেট্রোবাংলা ও সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, মিটারিং ব্যবস্থাপনা জোরদার করা, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং প্রিপেইড মিটার বসানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত দুর্বলতা, নজরদারির অভাব এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহির ঘাটতি থাকলে এসব পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকর হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু অভিযান চালানো বা বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত, সমন্বিত এবং সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, অভ্যন্তরীণ গ্যাস না মিললে আমদানির ওপর নির্ভরতা বাড়তেই থাকবে। এলএনজি আমদানিতে দিতে হচ্ছে ভর্তুকি। কাজেই এটি দীর্ঘমেয়াদে কতটা টেকসই হবে সেটা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। কাজেই অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি গ্যাসের অপচয় রোধ করতে হবে।
বলা হচ্ছে, গ্যাস বিলের অর্ধেক বকেয়া থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত সরবরাহ বজায় রাখা হয়। আমরা মনে করি, যেসব প্রতিষ্ঠান সময়মতো বিল দেয় না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই বকেয়া বেড়েই যাবে। গ্যাস অপচয় রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।