alt

সম্পাদকীয়

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

: বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

দেশের গ্যাস খাত দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী সংকটে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন কমছে। চাহিদা পূরণে বাড়ছে আমদানি নির্ভরতা। এ অবস্থায় প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকার গ্যাস অপচয় অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, বিতরণ লাইনে গড়ে প্রতিবছর ৭ শতাংশের বেশি গ্যাস অপচয় হচ্ছে। যার বার্ষিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এ ক্ষতির বড় অংশই প্রতিরোধযোগ্য। জরাজীর্ণ পাইপলাইন, অবৈধ সংযোগ, রাইজারে ছিদ্র এবং তৃতীয় পক্ষের কাজের সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াÑএসব কারণ বহুদিন ধরেই চিহ্নিত। কিন্তু তা সমাধানে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নেই।

পেট্রোবাংলা ও সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, মিটারিং ব্যবস্থাপনা জোরদার করা, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং প্রিপেইড মিটার বসানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত দুর্বলতা, নজরদারির অভাব এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহির ঘাটতি থাকলে এসব পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকর হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু অভিযান চালানো বা বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত, সমন্বিত এবং সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, অভ্যন্তরীণ গ্যাস না মিললে আমদানির ওপর নির্ভরতা বাড়তেই থাকবে। এলএনজি আমদানিতে দিতে হচ্ছে ভর্তুকি। কাজেই এটি দীর্ঘমেয়াদে কতটা টেকসই হবে সেটা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। কাজেই অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি গ্যাসের অপচয় রোধ করতে হবে।

বলা হচ্ছে, গ্যাস বিলের অর্ধেক বকেয়া থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত সরবরাহ বজায় রাখা হয়। আমরা মনে করি, যেসব প্রতিষ্ঠান সময়মতো বিল দেয় না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই বকেয়া বেড়েই যাবে। গ্যাস অপচয় রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

tab

সম্পাদকীয়

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

দেশের গ্যাস খাত দীর্ঘদিন ধরে নানামুখী সংকটে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন কমছে। চাহিদা পূরণে বাড়ছে আমদানি নির্ভরতা। এ অবস্থায় প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকার গ্যাস অপচয় অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, বিতরণ লাইনে গড়ে প্রতিবছর ৭ শতাংশের বেশি গ্যাস অপচয় হচ্ছে। যার বার্ষিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এ ক্ষতির বড় অংশই প্রতিরোধযোগ্য। জরাজীর্ণ পাইপলাইন, অবৈধ সংযোগ, রাইজারে ছিদ্র এবং তৃতীয় পক্ষের কাজের সময় পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াÑএসব কারণ বহুদিন ধরেই চিহ্নিত। কিন্তু তা সমাধানে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নেই।

পেট্রোবাংলা ও সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে, মিটারিং ব্যবস্থাপনা জোরদার করা, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং প্রিপেইড মিটার বসানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত দুর্বলতা, নজরদারির অভাব এবং স্বচ্ছতা-জবাবদিহির ঘাটতি থাকলে এসব পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকর হবে সেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু অভিযান চালানো বা বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন একটি সুসংগঠিত, সমন্বিত এবং সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, অভ্যন্তরীণ গ্যাস না মিললে আমদানির ওপর নির্ভরতা বাড়তেই থাকবে। এলএনজি আমদানিতে দিতে হচ্ছে ভর্তুকি। কাজেই এটি দীর্ঘমেয়াদে কতটা টেকসই হবে সেটা নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। কাজেই অভ্যন্তরীণ গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি গ্যাসের অপচয় রোধ করতে হবে।

বলা হচ্ছে, গ্যাস বিলের অর্ধেক বকেয়া থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত সরবরাহ বজায় রাখা হয়। আমরা মনে করি, যেসব প্রতিষ্ঠান সময়মতো বিল দেয় না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই বকেয়া বেড়েই যাবে। গ্যাস অপচয় রোধ, সাশ্রয়ী ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা ছাড়া ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

back to top