দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি সাধারণ ঘটনা। তবে তা যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাজীবনকে বারবার বাধাগ্রস্ত না করে, সেই বিষয়ে আমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা সেই সতর্কতারই একটি জোরালো চাহিদা।
বিদ্যালয়টির মাঠে মাসের প্রায় অর্ধেক সময় থাকে হাঁটুসমান পানি। জোয়ারের প্রভাবে এ পানি এলেও দীর্ঘদিন ধরে কোনো কার্যকর সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন এমন প্রতিকূল পরিবেশ পেরিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে হয়। ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য যেমন ঝুঁকিতে পড়ছে, তেমনি শিক্ষা কার্যক্রমেও স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ। সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটি জরাজীর্ণ ও দুর্বল। এটি একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয়গ্রহণকারী স্থানীয়দের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করছে। জরুরি প্রয়োজনে যদি মানুষ এ ভবনে আশ্রয় নেয় এবং কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে এর দায় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার মাঠ ভরাট ও নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, একটি বিদ্যালয়ের কার্যকর পরিবেশ কেবল পাঠদানেই সীমাবদ্ধ নয়; শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশও এর অংশ। সরকারের উচিত দ্রুত মাঠ ভরাট, নতুন ভবন নির্মাণ ও সাইক্লোন শেল্টারটি পুনঃনির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া। পাশাপাশি, উপকূলীয় এলাকায় যেসব বিদ্যালয় একইরকম সমস্যায় আছে, তাদের তালিকা তৈরি করে পরিকল্পিতভাবে সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ একটি সাধারণ ঘটনা। তবে তা যেন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাজীবনকে বারবার বাধাগ্রস্ত না করে, সেই বিষয়ে আমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা সেই সতর্কতারই একটি জোরালো চাহিদা।
বিদ্যালয়টির মাঠে মাসের প্রায় অর্ধেক সময় থাকে হাঁটুসমান পানি। জোয়ারের প্রভাবে এ পানি এলেও দীর্ঘদিন ধরে কোনো কার্যকর সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন এমন প্রতিকূল পরিবেশ পেরিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হতে হয়। ফলে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য যেমন ঝুঁকিতে পড়ছে, তেমনি শিক্ষা কার্যক্রমেও স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ। সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহৃত ভবনটি জরাজীর্ণ ও দুর্বল। এটি একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য অনিরাপদ, তেমনি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয়গ্রহণকারী স্থানীয়দের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করছে। জরুরি প্রয়োজনে যদি মানুষ এ ভবনে আশ্রয় নেয় এবং কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে এর দায় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার মাঠ ভরাট ও নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, একটি বিদ্যালয়ের কার্যকর পরিবেশ কেবল পাঠদানেই সীমাবদ্ধ নয়; শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও মনস্তাত্ত্বিক পরিবেশও এর অংশ। সরকারের উচিত দ্রুত মাঠ ভরাট, নতুন ভবন নির্মাণ ও সাইক্লোন শেল্টারটি পুনঃনির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া। পাশাপাশি, উপকূলীয় এলাকায় যেসব বিদ্যালয় একইরকম সমস্যায় আছে, তাদের তালিকা তৈরি করে পরিকল্পিতভাবে সংস্কার বা পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।