alt

সম্পাদকীয়

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

: বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক খুচরা বিক্রেতার দোকান থেকে ১৩৩ বস্তা বরাদ্দকৃত টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব সার অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছিল। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকের কাছে যেন যথাযথভাবে সার পৌঁছানো যায় সেটা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বরাদ্দকৃত সার নিয়ে প্রায়ই নয়-ছয় হয়। গাইবান্ধাতে এর আগেও বরাদ্দকৃত সার বিতরণ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। বরাদ্দকৃত সার কেনাবেচায় রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা।

এক শ্রেণীর ডিলার, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী বরাদ্দকৃত সার মজুত ও বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কখনো কখনো তারা সার কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি করেন। কৃষককে অনেক সময় বাড়তি দামে সার কিনতে হয়। পার্শ্ববর্তী কোনো কোনো দেশে সার পাচার হয় বলেও অভিযোগ মেলে।

এসব অনিয়ম থেকে ধারণা করা যায়, সার বিতরণ ব্যবস্থার ওপর নজরদারি যথেষ্ট কঠোর নয়। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় খেয়াল-খুশিমতো সার মজুত ও বিক্রির সুযোগ থাকায় কৃষক যথাসময়ে ন্যায্য দামে সার পান না। এতে কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়ে। অবৈধ মজুতদারির প্রভাবে সারের বাজারও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এতে ক্ষতি শুধু কৃষকেরই হয় না, দেশেরও ক্ষতি হয়।

সার নিয়ে অনিয়ম রোধে কঠোর হতে হবে। ডিলারদের সরবরাহ ও বিক্রির প্রতিটি স্তরে ডিজিটাল ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে মনিটরিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে। স্থানীয় কৃষকের সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। সার নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

tab

সম্পাদকীয়

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক খুচরা বিক্রেতার দোকান থেকে ১৩৩ বস্তা বরাদ্দকৃত টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব সার অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছিল। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকের কাছে যেন যথাযথভাবে সার পৌঁছানো যায় সেটা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বরাদ্দকৃত সার নিয়ে প্রায়ই নয়-ছয় হয়। গাইবান্ধাতে এর আগেও বরাদ্দকৃত সার বিতরণ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। বরাদ্দকৃত সার কেনাবেচায় রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা।

এক শ্রেণীর ডিলার, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী বরাদ্দকৃত সার মজুত ও বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কখনো কখনো তারা সার কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি করেন। কৃষককে অনেক সময় বাড়তি দামে সার কিনতে হয়। পার্শ্ববর্তী কোনো কোনো দেশে সার পাচার হয় বলেও অভিযোগ মেলে।

এসব অনিয়ম থেকে ধারণা করা যায়, সার বিতরণ ব্যবস্থার ওপর নজরদারি যথেষ্ট কঠোর নয়। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় খেয়াল-খুশিমতো সার মজুত ও বিক্রির সুযোগ থাকায় কৃষক যথাসময়ে ন্যায্য দামে সার পান না। এতে কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়ে। অবৈধ মজুতদারির প্রভাবে সারের বাজারও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এতে ক্ষতি শুধু কৃষকেরই হয় না, দেশেরও ক্ষতি হয়।

সার নিয়ে অনিয়ম রোধে কঠোর হতে হবে। ডিলারদের সরবরাহ ও বিক্রির প্রতিটি স্তরে ডিজিটাল ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে মনিটরিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে। স্থানীয় কৃষকের সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। সার নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top