গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক খুচরা বিক্রেতার দোকান থেকে ১৩৩ বস্তা বরাদ্দকৃত টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব সার অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছিল। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষকের কাছে যেন যথাযথভাবে সার পৌঁছানো যায় সেটা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বরাদ্দকৃত সার নিয়ে প্রায়ই নয়-ছয় হয়। গাইবান্ধাতে এর আগেও বরাদ্দকৃত সার বিতরণ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। বরাদ্দকৃত সার কেনাবেচায় রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা।
এক শ্রেণীর ডিলার, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী বরাদ্দকৃত সার মজুত ও বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কখনো কখনো তারা সার কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি করেন। কৃষককে অনেক সময় বাড়তি দামে সার কিনতে হয়। পার্শ্ববর্তী কোনো কোনো দেশে সার পাচার হয় বলেও অভিযোগ মেলে।
এসব অনিয়ম থেকে ধারণা করা যায়, সার বিতরণ ব্যবস্থার ওপর নজরদারি যথেষ্ট কঠোর নয়। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় খেয়াল-খুশিমতো সার মজুত ও বিক্রির সুযোগ থাকায় কৃষক যথাসময়ে ন্যায্য দামে সার পান না। এতে কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়ে। অবৈধ মজুতদারির প্রভাবে সারের বাজারও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এতে ক্ষতি শুধু কৃষকেরই হয় না, দেশেরও ক্ষতি হয়।
সার নিয়ে অনিয়ম রোধে কঠোর হতে হবে। ডিলারদের সরবরাহ ও বিক্রির প্রতিটি স্তরে ডিজিটাল ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে মনিটরিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে। স্থানীয় কৃষকের সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। সার নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে এক খুচরা বিক্রেতার দোকান থেকে ১৩৩ বস্তা বরাদ্দকৃত টিএসপি সার উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব সার অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছিল। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষকের কাছে যেন যথাযথভাবে সার পৌঁছানো যায় সেটা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বরাদ্দকৃত সার নিয়ে প্রায়ই নয়-ছয় হয়। গাইবান্ধাতে এর আগেও বরাদ্দকৃত সার বিতরণ নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও বিভিন্ন সময় এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। বরাদ্দকৃত সার কেনাবেচায় রয়েছে নানা অব্যবস্থাপনা।
এক শ্রেণীর ডিলার, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী বরাদ্দকৃত সার মজুত ও বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিমালা ভঙ্গ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কখনো কখনো তারা সার কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি করেন। কৃষককে অনেক সময় বাড়তি দামে সার কিনতে হয়। পার্শ্ববর্তী কোনো কোনো দেশে সার পাচার হয় বলেও অভিযোগ মেলে।
এসব অনিয়ম থেকে ধারণা করা যায়, সার বিতরণ ব্যবস্থার ওপর নজরদারি যথেষ্ট কঠোর নয়। ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় খেয়াল-খুশিমতো সার মজুত ও বিক্রির সুযোগ থাকায় কৃষক যথাসময়ে ন্যায্য দামে সার পান না। এতে কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়ে। অবৈধ মজুতদারির প্রভাবে সারের বাজারও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এতে ক্ষতি শুধু কৃষকেরই হয় না, দেশেরও ক্ষতি হয়।
সার নিয়ে অনিয়ম রোধে কঠোর হতে হবে। ডিলারদের সরবরাহ ও বিক্রির প্রতিটি স্তরে ডিজিটাল ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের আরও তৎপর হতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে মনিটরিং কমিটি গঠন করা যেতে পারে। স্থানীয় কৃষকের সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। সার নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।