পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বনমালীনগর গ্রামে নেই কোনো পাকা রাস্তা। পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত মাত্র ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাই এই গ্রামে চলাচলের একমাত্র ভরসা। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সড়কটি ডুবে যায়। তখন এলাকাটি কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বর্ষায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে তাদের গ্রাম বারবার বাদ পড়ে গেছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও সেখানে একটি পাকা সড়ক নেই। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি মেলে। তবে তার বাস্তবায়ন আর হয় না।
শুধু বনমালীনগর নয়, দেশের আরও বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিত্রও একই। গ্রাম ও শহরের মাঝে অবকাঠামোগত বৈষম্য রয়েই গেছে। যাতায়াত-যোগাযোগের প্রশ্নে গ্রামের মানুষকে সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব। পাকা একটি রাস্তার অভাবে যদি একটি গ্রাম বছরের উল্লেখযোগ্য একটি সময় কার্যত বিচ্ছিন্ন থাকে, তাহলে সেই গ্রামে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিভাবে হবে?
সড়ক অবকাঠামোর জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন এমন অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অথচ বনমালীনগরের মতো গ্রামের একটি পাকা রাস্তার প্রয়োজন পূরণ হয় না পাঁচ দশকেও। সেখানে মাত্র ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাকে এত বছরেও কেন পাকা করা গেল না সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা বলতে চাই, বনমালীনগরে অবিলম্বে একটি পাকা সড়ক করা হোক। স্থানীয় মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যথাযথভাবে আমলে নেবে। উক্ত গ্রামের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটুকÑএটাই প্রত্যাশা।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার বনমালীনগর গ্রামে নেই কোনো পাকা রাস্তা। পূর্বপাড়া থেকে বরদানগর পর্যন্ত মাত্র ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাই এই গ্রামে চলাচলের একমাত্র ভরসা। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সড়কটি ডুবে যায়। তখন এলাকাটি কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বর্ষায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়ন প্রকল্প থেকে তাদের গ্রাম বারবার বাদ পড়ে গেছে। স্বাধীনতার এত বছর পরও সেখানে একটি পাকা সড়ক নেই। নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি মেলে। তবে তার বাস্তবায়ন আর হয় না।
শুধু বনমালীনগর নয়, দেশের আরও বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলের চিত্রও একই। গ্রাম ও শহরের মাঝে অবকাঠামোগত বৈষম্য রয়েই গেছে। যাতায়াত-যোগাযোগের প্রশ্নে গ্রামের মানুষকে সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব। পাকা একটি রাস্তার অভাবে যদি একটি গ্রাম বছরের উল্লেখযোগ্য একটি সময় কার্যত বিচ্ছিন্ন থাকে, তাহলে সেই গ্রামে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কিভাবে হবে?
সড়ক অবকাঠামোর জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন এমন অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অথচ বনমালীনগরের মতো গ্রামের একটি পাকা রাস্তার প্রয়োজন পূরণ হয় না পাঁচ দশকেও। সেখানে মাত্র ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাকে এত বছরেও কেন পাকা করা গেল না সেটা একটা প্রশ্ন।
আমরা বলতে চাই, বনমালীনগরে অবিলম্বে একটি পাকা সড়ক করা হোক। স্থানীয় মানুষের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যথাযথভাবে আমলে নেবে। উক্ত গ্রামের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটুকÑএটাই প্রত্যাশা।