চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাহাড় কাটার ফলে স্থানীয় পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নির্বিচারে পাহাড় কাটা শুধু একটি এলাকার নয়, সারা দেশেরই সমস্যা। পাহাড় কাটা পরিবেশ ধ্বংসের এক বড় কারণে পরিণত হয়েছে। একটি অশুভ চক্র দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে। পাহাড়ের মাটি বিক্রি করছে। এতে শুধু পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবেশের ভারসাম্যই নষ্ট হচ্ছে, গোটা দেশকেই এর খেসারত দিতে হচ্ছে।
প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে পাহাড়। ভূমিক্ষয় রোধ, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও আবহাওয়ার ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের ভূমিকা অস্বীকার করা চলে না। পাহাড় কাটা হলে ভূমিধস, বন্যা ও খরার মতো দুর্যোগ বাড়ে। এর ফলে প্রাণ-প্রকৃতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।
মিরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কাটা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি প্রশাসনের না জানার কথা নয়। পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পাহাড় কাটা দ-নীয় অপরাধ। আমরা জানতে চাইব যে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পাহাড় কাটা রোধে কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
পাহাড় কাটা বন্ধে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটানো জরুরি। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের ধরতে হবে। শুধু পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত সাধারণ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। এজন্য স্থানীয় ভূমি অফিস, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
পাহাড় রক্ষায় জনগণকে সচেতন করতে হবে। শুধু প্রশাসনের একার পক্ষে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর বিকল্প নেই।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাহাড় কাটার ফলে স্থানীয় পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নির্বিচারে পাহাড় কাটা শুধু একটি এলাকার নয়, সারা দেশেরই সমস্যা। পাহাড় কাটা পরিবেশ ধ্বংসের এক বড় কারণে পরিণত হয়েছে। একটি অশুভ চক্র দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছে। পাহাড়ের মাটি বিক্রি করছে। এতে শুধু পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবেশের ভারসাম্যই নষ্ট হচ্ছে, গোটা দেশকেই এর খেসারত দিতে হচ্ছে।
প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে পাহাড়। ভূমিক্ষয় রোধ, বৃষ্টির পানি ধরে রাখা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও আবহাওয়ার ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড়ের ভূমিকা অস্বীকার করা চলে না। পাহাড় কাটা হলে ভূমিধস, বন্যা ও খরার মতো দুর্যোগ বাড়ে। এর ফলে প্রাণ-প্রকৃতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে।
মিরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কাটা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি প্রশাসনের না জানার কথা নয়। পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পাহাড় কাটা দ-নীয় অপরাধ। আমরা জানতে চাইব যে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পাহাড় কাটা রোধে কী পদক্ষেপ নিয়েছে।
পাহাড় কাটা বন্ধে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটানো জরুরি। নিয়মিত অভিযান চালিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের ধরতে হবে। শুধু পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত সাধারণ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। এজন্য স্থানীয় ভূমি অফিস, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
পাহাড় রক্ষায় জনগণকে সচেতন করতে হবে। শুধু প্রশাসনের একার পক্ষে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব নয়। পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষা করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর বিকল্প নেই।