জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ও প্রাণঘাতী রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো কুকুর বা অন্য প্রাণীর কামড়ের পরপরই সঠিক সময়ের মধ্যে টিকা দেয়া। কিন্তু ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এই টিকার সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছয় মাস ধরে সেখানে র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন (আরআইজি) নেই। জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন (এআরভি) সরবরাহও পর্যাপ্ত নয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রয়োজনীয় চাহিদা বারবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী অনেক রোগীকেই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। অনেকই বিকল্প উপায়ে টিকা কিনে নিচ্ছেন। সীমিত সামর্থ্যরে মানুষের জন্য এটা কষ্টসাধ্য।
শুধু ঠাকুরগাঁওয়ে নয়, দেশের আরও অনেক সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রেই জলাতঙ্কের টিকার ঘাটতি রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এটা কি ব্যবস্থাপনার কোনো সংকট কিনা। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু প্রাণরক্ষায় সক্ষম একটি টিকা অনেক চিকিৎসাকেন্দ্রে যথাযথভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে না। এতে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। প্রাণীর কামড়ের ঘটনা বাড়লে টিকার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এ ধরনের পরিস্থিতি শুধু জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং সরকারি সেবার ওপর মানুষের আস্থাও নষ্ট হচ্ছে। শুধু টিকা কেনা বা সরবরাহ করাই যথেষ্ট নয়, মাঠপর্যায়ে এর সময়মতো ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্রে জলাতঙ্কের টিকার সরবরাহ বাড়াতে হবে। টিকা সরবরাহ ব্যবস্থায় সমন্বয় সাধন করতে হবে। এই কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। টিকা সংকট দ্রুত সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ও প্রাণঘাতী রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো কুকুর বা অন্য প্রাণীর কামড়ের পরপরই সঠিক সময়ের মধ্যে টিকা দেয়া। কিন্তু ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এই টিকার সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছয় মাস ধরে সেখানে র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন (আরআইজি) নেই। জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন (এআরভি) সরবরাহও পর্যাপ্ত নয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রয়োজনীয় চাহিদা বারবার সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন মিলছে না। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী অনেক রোগীকেই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। অনেকই বিকল্প উপায়ে টিকা কিনে নিচ্ছেন। সীমিত সামর্থ্যরে মানুষের জন্য এটা কষ্টসাধ্য।
শুধু ঠাকুরগাঁওয়ে নয়, দেশের আরও অনেক সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রেই জলাতঙ্কের টিকার ঘাটতি রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এটা কি ব্যবস্থাপনার কোনো সংকট কিনা। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু প্রাণরক্ষায় সক্ষম একটি টিকা অনেক চিকিৎসাকেন্দ্রে যথাযথভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে না। এতে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। প্রাণীর কামড়ের ঘটনা বাড়লে টিকার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এ ধরনের পরিস্থিতি শুধু জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং সরকারি সেবার ওপর মানুষের আস্থাও নষ্ট হচ্ছে। শুধু টিকা কেনা বা সরবরাহ করাই যথেষ্ট নয়, মাঠপর্যায়ে এর সময়মতো ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা বলতে চাই, জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসাকেন্দ্রে জলাতঙ্কের টিকার সরবরাহ বাড়াতে হবে। টিকা সরবরাহ ব্যবস্থায় সমন্বয় সাধন করতে হবে। এই কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। টিকা সংকট দ্রুত সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটা আমাদের আশা।