কক্সবাজারের রামুতে গত শনিবার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন মারা গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা গেছে, অটোরিকশাটি একটি লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের সামনে পড়ে। ট্রেনটি সেই অটোরিকশাকে প্রায় আধা কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই যাত্রীদের মৃত্যু ঘটে। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তারা রেলগেট ও চেকপোস্ট স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
রামুতে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা আবারও দেশের রেলপথ নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই দুর্ঘটনার স্থান রশিদনগর লেভেল ক্রসিংয়ে অতীতেও একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে। অথচ সেখানে এখনো কোনো গেট, ব্যারিয়ার বা গেটকিপার নেই। এভাবে বারবার দুর্ঘটনা ঘটার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়া উদ্বেগের বিষয়।
প্রশ্ন হচ্ছেম, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কি এড়ানো যেত না। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং দেশে রেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। দেশের অনেক লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। নেই কোনো ব্যারিয়ার। কক্সবাজারের দুর্ঘটনাস্থলেও এমন একটি অনিরাপদ লেভেল ক্রসিং ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ট্রেন আসার সময় পথচারী বা যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকেই যায়।
দুর্ঘটনা শুধু যাত্রী বা পথচারীর মৃত্যু ঘটায় না, সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো এর ক্ষত বয়ে বেড়ায় চিরকাল। কোনো ক্ষতিপূরণেই সেই ক্ষতের নিরাময় ঘটে না।
রেলদুর্ঘটনা রোধ করতে কিছু বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সব লেভেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা গেট স্থাপন করতে হবে। গেটম্যান থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত। দেশের যেসব লেভেল ক্রসিং দুর্ঘটনাপ্রবণ সেগুলো চিহ্নিত করে সেখানে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। জনসাধারণকেও লেভেল ক্রসিং অতিক্রমে সচেতন হতে হবে। নাগরিকদের সচেতন করতে প্রচার অভিযান চালাতে হবে। রেললাইনের পাশে চলাচলের নিয়ম ও ঝুঁকি সম্পর্কে জানাতে হবে।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজারের রামুতে গত শনিবার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন মারা গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা থেকে জানা গেছে, অটোরিকশাটি একটি লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ট্রেনের সামনে পড়ে। ট্রেনটি সেই অটোরিকশাকে প্রায় আধা কিলোমিটার ঠেলে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই যাত্রীদের মৃত্যু ঘটে। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তারা রেলগেট ও চেকপোস্ট স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
রামুতে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা আবারও দেশের রেলপথ নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই দুর্ঘটনার স্থান রশিদনগর লেভেল ক্রসিংয়ে অতীতেও একাধিক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে। অথচ সেখানে এখনো কোনো গেট, ব্যারিয়ার বা গেটকিপার নেই। এভাবে বারবার দুর্ঘটনা ঘটার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়া উদ্বেগের বিষয়।
প্রশ্ন হচ্ছেম, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কি এড়ানো যেত না। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং দেশে রেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। দেশের অনেক লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। নেই কোনো ব্যারিয়ার। কক্সবাজারের দুর্ঘটনাস্থলেও এমন একটি অনিরাপদ লেভেল ক্রসিং ছিল বলে জানা যাচ্ছে। ট্রেন আসার সময় পথচারী বা যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না থাকলে এমন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকেই যায়।
দুর্ঘটনা শুধু যাত্রী বা পথচারীর মৃত্যু ঘটায় না, সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো এর ক্ষত বয়ে বেড়ায় চিরকাল। কোনো ক্ষতিপূরণেই সেই ক্ষতের নিরাময় ঘটে না।
রেলদুর্ঘটনা রোধ করতে কিছু বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। সব লেভেল ক্রসিংয়ে নিরাপত্তা গেট স্থাপন করতে হবে। গেটম্যান থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত। দেশের যেসব লেভেল ক্রসিং দুর্ঘটনাপ্রবণ সেগুলো চিহ্নিত করে সেখানে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। জনসাধারণকেও লেভেল ক্রসিং অতিক্রমে সচেতন হতে হবে। নাগরিকদের সচেতন করতে প্রচার অভিযান চালাতে হবে। রেললাইনের পাশে চলাচলের নিয়ম ও ঝুঁকি সম্পর্কে জানাতে হবে।