মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি অজগরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একটি ছাগল খেতে দেখে স্থানীয় লোকজন দলবদ্ধ হয়ে সাপটিকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, অজগর বা কোনো প্রাণী হত্যা অমানবিক ও বেআইনি।
অজগর মাংসাশী প্রাণী। সাপ মাঝে মাঝে গবাদিপশুর ক্ষতি করে। তবে এটি স্বাভাবিক খাদ্যচক্রের অংশ। গ্রামবাসীর ক্ষোভের কারণ আমরা বুঝতে পারি। একাধিক ছাগল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তাদের ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন করেছে।
তবে অজগর হত্যা করা কোনো কার্যকর সমাধান নয়। এতে তাদের হারানো ছাগল আর ফিরে আসবে না। অজগরটি কাউকে আক্রমণ করেনি। গ্রামবাসী যদি সচেতন হতেন, তাহলে বন বিভাগে খবর দিয়ে প্রাণীটিকে নিরাপদে সরানো সম্ভব হতো। সেটা না করে তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
বন্যপ্রাণী হত্যা করা আইনত দ-নীয়। কোনো বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। তা না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটবে। বন বিভাগ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কে বা কারা এই হত্যায় জড়িত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
বন্যপ্রাণী হত্যার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অসচেতনতা। অনেকেই সাপকে ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করেন। তাদের বোঝাতে হবে যে, বন্যপ্রাণী আমাদের পরিবেশের অংশ। তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হলে আমাদের ক্ষতিই বেশি হয়। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কৃষি ও জলবায়ুতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সম্পর্ক দ্বন্দ্বের নয়, সহাবস্থানের।
বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো জরুরি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মন্দিরভিত্তিক প্রচার কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে বন্যপ্রাণী সুরক্ষার কাজ সহজ হবে।
রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি অজগরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একটি ছাগল খেতে দেখে স্থানীয় লোকজন দলবদ্ধ হয়ে সাপটিকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, অজগর বা কোনো প্রাণী হত্যা অমানবিক ও বেআইনি।
অজগর মাংসাশী প্রাণী। সাপ মাঝে মাঝে গবাদিপশুর ক্ষতি করে। তবে এটি স্বাভাবিক খাদ্যচক্রের অংশ। গ্রামবাসীর ক্ষোভের কারণ আমরা বুঝতে পারি। একাধিক ছাগল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তাদের ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন করেছে।
তবে অজগর হত্যা করা কোনো কার্যকর সমাধান নয়। এতে তাদের হারানো ছাগল আর ফিরে আসবে না। অজগরটি কাউকে আক্রমণ করেনি। গ্রামবাসী যদি সচেতন হতেন, তাহলে বন বিভাগে খবর দিয়ে প্রাণীটিকে নিরাপদে সরানো সম্ভব হতো। সেটা না করে তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
বন্যপ্রাণী হত্যা করা আইনত দ-নীয়। কোনো বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। তা না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটবে। বন বিভাগ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কে বা কারা এই হত্যায় জড়িত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
বন্যপ্রাণী হত্যার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অসচেতনতা। অনেকেই সাপকে ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করেন। তাদের বোঝাতে হবে যে, বন্যপ্রাণী আমাদের পরিবেশের অংশ। তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হলে আমাদের ক্ষতিই বেশি হয়। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কৃষি ও জলবায়ুতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সম্পর্ক দ্বন্দ্বের নয়, সহাবস্থানের।
বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো জরুরি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মন্দিরভিত্তিক প্রচার কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে বন্যপ্রাণী সুরক্ষার কাজ সহজ হবে।