alt

সম্পাদকীয়

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

: রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি অজগরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একটি ছাগল খেতে দেখে স্থানীয় লোকজন দলবদ্ধ হয়ে সাপটিকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, অজগর বা কোনো প্রাণী হত্যা অমানবিক ও বেআইনি।

অজগর মাংসাশী প্রাণী। সাপ মাঝে মাঝে গবাদিপশুর ক্ষতি করে। তবে এটি স্বাভাবিক খাদ্যচক্রের অংশ। গ্রামবাসীর ক্ষোভের কারণ আমরা বুঝতে পারি। একাধিক ছাগল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তাদের ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন করেছে।

তবে অজগর হত্যা করা কোনো কার্যকর সমাধান নয়। এতে তাদের হারানো ছাগল আর ফিরে আসবে না। অজগরটি কাউকে আক্রমণ করেনি। গ্রামবাসী যদি সচেতন হতেন, তাহলে বন বিভাগে খবর দিয়ে প্রাণীটিকে নিরাপদে সরানো সম্ভব হতো। সেটা না করে তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

বন্যপ্রাণী হত্যা করা আইনত দ-নীয়। কোনো বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। তা না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটবে। বন বিভাগ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কে বা কারা এই হত্যায় জড়িত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

বন্যপ্রাণী হত্যার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অসচেতনতা। অনেকেই সাপকে ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করেন। তাদের বোঝাতে হবে যে, বন্যপ্রাণী আমাদের পরিবেশের অংশ। তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হলে আমাদের ক্ষতিই বেশি হয়। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কৃষি ও জলবায়ুতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সম্পর্ক দ্বন্দ্বের নয়, সহাবস্থানের।

বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো জরুরি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মন্দিরভিত্তিক প্রচার কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে বন্যপ্রাণী সুরক্ষার কাজ সহজ হবে।

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

tab

সম্পাদকীয়

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

রোববার, ০৩ আগস্ট ২০২৫

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একটি অজগরকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একটি ছাগল খেতে দেখে স্থানীয় লোকজন দলবদ্ধ হয়ে সাপটিকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, অজগর বা কোনো প্রাণী হত্যা অমানবিক ও বেআইনি।

অজগর মাংসাশী প্রাণী। সাপ মাঝে মাঝে গবাদিপশুর ক্ষতি করে। তবে এটি স্বাভাবিক খাদ্যচক্রের অংশ। গ্রামবাসীর ক্ষোভের কারণ আমরা বুঝতে পারি। একাধিক ছাগল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তাদের ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন করেছে।

তবে অজগর হত্যা করা কোনো কার্যকর সমাধান নয়। এতে তাদের হারানো ছাগল আর ফিরে আসবে না। অজগরটি কাউকে আক্রমণ করেনি। গ্রামবাসী যদি সচেতন হতেন, তাহলে বন বিভাগে খবর দিয়ে প্রাণীটিকে নিরাপদে সরানো সম্ভব হতো। সেটা না করে তারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।

বন্যপ্রাণী হত্যা করা আইনত দ-নীয়। কোনো বন্যপ্রাণী হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। তা না হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটবে। বন বিভাগ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছেন। কে বা কারা এই হত্যায় জড়িত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

বন্যপ্রাণী হত্যার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অসচেতনতা। অনেকেই সাপকে ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করেন। তাদের বোঝাতে হবে যে, বন্যপ্রাণী আমাদের পরিবেশের অংশ। তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হলে আমাদের ক্ষতিই বেশি হয়। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কৃষি ও জলবায়ুতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সম্পর্ক দ্বন্দ্বের নয়, সহাবস্থানের।

বন্যপ্রাণী রক্ষায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো জরুরি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মন্দিরভিত্তিক প্রচার কার্যক্রম চালানো যেতে পারে। জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে বন্যপ্রাণী সুরক্ষার কাজ সহজ হবে।

back to top