alt

সম্পাদকীয়

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

: মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস। আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্য বিলোপে দেশের মানুষ যে প্রত্যাশার জায়গা থেকে নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিল, এক বছর পর সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে? মানুষের জীবনে কি ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন এসেছে নাকি আগের মতই আছে? দেশ কি মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণের পথে হাঁটছে নাকি উল্টো পথে হাঁটছে?

সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে কার্যত দেখা যাচ্ছে, সংস্কার তৎপরতা খুবই সীমিত। কিছু সংস্কারের জন্য সংসদের প্রয়োজন থাকলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত ও প্রশাসনিক সংস্কার বর্তমান সরকারের পক্ষেই করা সম্ভব ছিল। কিন্তু সে রকম অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি।

মব সন্ত্রাস, নারী বিদ্বেষ, চাঁদাবাজি ও দখলদারির মতো বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ। নারীর অধিকারের প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন ছিল। ’২৪-এর আন্দোলনে নারীদের ব্যপক অংশগ্রহণ ছিল। এক পর্যায়ে নারীরাই আন্দোলনের গতিমুখ ঠিক করে দেয়। কিন্তু এরপর চরম নারীবিদ্বেষ বা সেই পক্ষের লোকদের আস্ফালনই দেখতে হলো নারীদের। সরকার যেন চোখ বন্ধ করে থাকলো।

মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে ঘরবাড়ি ভাঙা, প্রতিষ্ঠানে হামলা ও সহিংসতা চালানো হয়েছে। এগুলো থামাতে সরকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি। বরং সরকারের কেউ কেউ পরোক্ষে মব সন্ত্রাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খেয়ালখুশিমতো মামলা হচ্ছে। গ্রেপ্তার বাণিজ্য চলছে। আদালত চত্বরে অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর হামলা হয়েছে। এর লাগাম টানা যায়নি।

বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আশা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য জরুরি ছিল কাঠামোগত অচলায়তন ভেঙে পরিবর্তনের সূচনা করা। যদিও কেউ আশা করেননি যে, এক বছরেই আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তবে পরিবর্তনের সূচনা হতে পারত। কিন্তু এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

সাম্প্রদায়িক ও উগ্র গোষ্ঠীর তৎপরতা অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করেছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

আট আগস্ট সরকার এক বছর পূর্ন করবে। এই সময়টি তাদের আত্মমূল্যায়নের একটি সুযোগ হতে পারে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে সম্মান জানিয়ে এখনো পরিবর্তনের পথে আগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। এখনো হয়তো সময় আছে। তবে তা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে নয়।

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

tab

সম্পাদকীয়

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস। আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্য বিলোপে দেশের মানুষ যে প্রত্যাশার জায়গা থেকে নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিল, এক বছর পর সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে? মানুষের জীবনে কি ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন এসেছে নাকি আগের মতই আছে? দেশ কি মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণের পথে হাঁটছে নাকি উল্টো পথে হাঁটছে?

সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে কার্যত দেখা যাচ্ছে, সংস্কার তৎপরতা খুবই সীমিত। কিছু সংস্কারের জন্য সংসদের প্রয়োজন থাকলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত ও প্রশাসনিক সংস্কার বর্তমান সরকারের পক্ষেই করা সম্ভব ছিল। কিন্তু সে রকম অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি।

মব সন্ত্রাস, নারী বিদ্বেষ, চাঁদাবাজি ও দখলদারির মতো বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ। নারীর অধিকারের প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন ছিল। ’২৪-এর আন্দোলনে নারীদের ব্যপক অংশগ্রহণ ছিল। এক পর্যায়ে নারীরাই আন্দোলনের গতিমুখ ঠিক করে দেয়। কিন্তু এরপর চরম নারীবিদ্বেষ বা সেই পক্ষের লোকদের আস্ফালনই দেখতে হলো নারীদের। সরকার যেন চোখ বন্ধ করে থাকলো।

মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে ঘরবাড়ি ভাঙা, প্রতিষ্ঠানে হামলা ও সহিংসতা চালানো হয়েছে। এগুলো থামাতে সরকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি। বরং সরকারের কেউ কেউ পরোক্ষে মব সন্ত্রাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খেয়ালখুশিমতো মামলা হচ্ছে। গ্রেপ্তার বাণিজ্য চলছে। আদালত চত্বরে অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর হামলা হয়েছে। এর লাগাম টানা যায়নি।

বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আশা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য জরুরি ছিল কাঠামোগত অচলায়তন ভেঙে পরিবর্তনের সূচনা করা। যদিও কেউ আশা করেননি যে, এক বছরেই আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তবে পরিবর্তনের সূচনা হতে পারত। কিন্তু এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।

সাম্প্রদায়িক ও উগ্র গোষ্ঠীর তৎপরতা অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করেছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।

আট আগস্ট সরকার এক বছর পূর্ন করবে। এই সময়টি তাদের আত্মমূল্যায়নের একটি সুযোগ হতে পারে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে সম্মান জানিয়ে এখনো পরিবর্তনের পথে আগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। এখনো হয়তো সময় আছে। তবে তা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে নয়।

back to top