বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস। আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্য বিলোপে দেশের মানুষ যে প্রত্যাশার জায়গা থেকে নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিল, এক বছর পর সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে? মানুষের জীবনে কি ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন এসেছে নাকি আগের মতই আছে? দেশ কি মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণের পথে হাঁটছে নাকি উল্টো পথে হাঁটছে?
সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে কার্যত দেখা যাচ্ছে, সংস্কার তৎপরতা খুবই সীমিত। কিছু সংস্কারের জন্য সংসদের প্রয়োজন থাকলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত ও প্রশাসনিক সংস্কার বর্তমান সরকারের পক্ষেই করা সম্ভব ছিল। কিন্তু সে রকম অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি।
মব সন্ত্রাস, নারী বিদ্বেষ, চাঁদাবাজি ও দখলদারির মতো বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ। নারীর অধিকারের প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন ছিল। ’২৪-এর আন্দোলনে নারীদের ব্যপক অংশগ্রহণ ছিল। এক পর্যায়ে নারীরাই আন্দোলনের গতিমুখ ঠিক করে দেয়। কিন্তু এরপর চরম নারীবিদ্বেষ বা সেই পক্ষের লোকদের আস্ফালনই দেখতে হলো নারীদের। সরকার যেন চোখ বন্ধ করে থাকলো।
মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে ঘরবাড়ি ভাঙা, প্রতিষ্ঠানে হামলা ও সহিংসতা চালানো হয়েছে। এগুলো থামাতে সরকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি। বরং সরকারের কেউ কেউ পরোক্ষে মব সন্ত্রাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খেয়ালখুশিমতো মামলা হচ্ছে। গ্রেপ্তার বাণিজ্য চলছে। আদালত চত্বরে অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর হামলা হয়েছে। এর লাগাম টানা যায়নি।
বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আশা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য জরুরি ছিল কাঠামোগত অচলায়তন ভেঙে পরিবর্তনের সূচনা করা। যদিও কেউ আশা করেননি যে, এক বছরেই আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তবে পরিবর্তনের সূচনা হতে পারত। কিন্তু এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
সাম্প্রদায়িক ও উগ্র গোষ্ঠীর তৎপরতা অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করেছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
আট আগস্ট সরকার এক বছর পূর্ন করবে। এই সময়টি তাদের আত্মমূল্যায়নের একটি সুযোগ হতে পারে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে সম্মান জানিয়ে এখনো পরিবর্তনের পথে আগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। এখনো হয়তো সময় আছে। তবে তা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে নয়।
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা হন মুহাম্মদ ইউনূস। আন্দোলনের মাধ্যমে বৈষম্য বিলোপে দেশের মানুষ যে প্রত্যাশার জায়গা থেকে নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছিল, এক বছর পর সেই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে? মানুষের জীবনে কি ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন এসেছে নাকি আগের মতই আছে? দেশ কি মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণের পথে হাঁটছে নাকি উল্টো পথে হাঁটছে?
সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে কার্যত দেখা যাচ্ছে, সংস্কার তৎপরতা খুবই সীমিত। কিছু সংস্কারের জন্য সংসদের প্রয়োজন থাকলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত ও প্রশাসনিক সংস্কার বর্তমান সরকারের পক্ষেই করা সম্ভব ছিল। কিন্তু সে রকম অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি।
মব সন্ত্রাস, নারী বিদ্বেষ, চাঁদাবাজি ও দখলদারির মতো বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ। নারীর অধিকারের প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারের আরও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন ছিল। ’২৪-এর আন্দোলনে নারীদের ব্যপক অংশগ্রহণ ছিল। এক পর্যায়ে নারীরাই আন্দোলনের গতিমুখ ঠিক করে দেয়। কিন্তু এরপর চরম নারীবিদ্বেষ বা সেই পক্ষের লোকদের আস্ফালনই দেখতে হলো নারীদের। সরকার যেন চোখ বন্ধ করে থাকলো।
মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে ঘরবাড়ি ভাঙা, প্রতিষ্ঠানে হামলা ও সহিংসতা চালানো হয়েছে। এগুলো থামাতে সরকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি। বরং সরকারের কেউ কেউ পরোক্ষে মব সন্ত্রাসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। খেয়ালখুশিমতো মামলা হচ্ছে। গ্রেপ্তার বাণিজ্য চলছে। আদালত চত্বরে অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর হামলা হয়েছে। এর লাগাম টানা যায়নি।
বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আশা নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য জরুরি ছিল কাঠামোগত অচলায়তন ভেঙে পরিবর্তনের সূচনা করা। যদিও কেউ আশা করেননি যে, এক বছরেই আমূল পরিবর্তন ঘটবে। তবে পরিবর্তনের সূচনা হতে পারত। কিন্তু এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
সাম্প্রদায়িক ও উগ্র গোষ্ঠীর তৎপরতা অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ তৈরি করেছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
আট আগস্ট সরকার এক বছর পূর্ন করবে। এই সময়টি তাদের আত্মমূল্যায়নের একটি সুযোগ হতে পারে। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে সম্মান জানিয়ে এখনো পরিবর্তনের পথে আগানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। এখনো হয়তো সময় আছে। তবে তা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে নয়।