ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার জলাবদ্ধতা নতুন কোনো সমস্যা নয়। দীর্ঘদিন ধরে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই এ অঞ্চল পানির নিচে চলে যায়। রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, হাটবাজার এবং ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। তখন স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। বহু বছর ধরে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ জলবদ্ধতার খেসারত দিচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে এখনো কোনো কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ ধরনের জলাবদ্ধতা শুধু দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ ডেকে আনে না, স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। পানিবাহিত রোগ, বিশেষ করে ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার অকার্যকারিতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলার অভাব, এবং অবৈধ দখলের মতো বিষয়গুলো এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ডিএনডি এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ, সেচ পাম্প স্থাপনসহ একাধিক উদ্যোগ পরিকল্পনায় থাকলেও প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়নি। এত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পাম্প স্টেশনগুলোর সক্ষমতা সীমিত এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে একদিকে যেমন প্রশাসনিক সক্রিয়তা প্রয়োজন, অন্যদিকে তেমনি রাজনৈতিক সদিচ্ছাও অপরিহার্য। এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করে জলাবদ্ধতা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে হবে।
ডিএনডি এলাকার লাখো মানুষ প্রতিবছর একই সমস্যায় ভুগবেন সেটা কাম্য নয়। এ সমস্যা এখনই সমাধান না করলে তা আগামীতে আরও বড় সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত সংকটে রূপ নিতে পারে। প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত ও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার টেকসই সমাধান করবেÑ সেটা আমাদের আশা।
বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার জলাবদ্ধতা নতুন কোনো সমস্যা নয়। দীর্ঘদিন ধরে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই এ অঞ্চল পানির নিচে চলে যায়। রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়, হাটবাজার এবং ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। তখন স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। বহু বছর ধরে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ জলবদ্ধতার খেসারত দিচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে এখনো কোনো কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এ ধরনের জলাবদ্ধতা শুধু দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় দুর্ভোগ ডেকে আনে না, স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে। পানিবাহিত রোগ, বিশেষ করে ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার অকার্যকারিতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলার অভাব, এবং অবৈধ দখলের মতো বিষয়গুলো এই সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে ডিএনডি এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। খাল খনন, কালভার্ট নির্মাণ, সেচ পাম্প স্থাপনসহ একাধিক উদ্যোগ পরিকল্পনায় থাকলেও প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়নি। এত বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পাম্প স্টেশনগুলোর সক্ষমতা সীমিত এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে একদিকে যেমন প্রশাসনিক সক্রিয়তা প্রয়োজন, অন্যদিকে তেমনি রাজনৈতিক সদিচ্ছাও অপরিহার্য। এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে একটি ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করে জলাবদ্ধতা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে হবে।
ডিএনডি এলাকার লাখো মানুষ প্রতিবছর একই সমস্যায় ভুগবেন সেটা কাম্য নয়। এ সমস্যা এখনই সমাধান না করলে তা আগামীতে আরও বড় সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত সংকটে রূপ নিতে পারে। প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত ও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার টেকসই সমাধান করবেÑ সেটা আমাদের আশা।