alt

সম্পাদকীয়

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

: বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জের প্রবীণ নারী আনোয়ারার বয়স ৭৮ বছর। ৪২ বছর আগে স্বামী হারিয়েছেন। একমাত্র মেয়েকেও হারিয়েছেন প্রায় দুই দশক আগে। এখন তিনি নিঃসঙ্গ, অসহায়। তার নেই কোনো জায়গা-জমি, নেই নিশ্চিত আশ্রয়। প্রান্তিক এই দরিদ্র নারী এখনো বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জামালপুরের এই প্রবীণ নারীর জীবনের গল্প নিছক একটি মানবিক দুর্ভোগ নয়, এটি দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি বাস্তব চিত্র। তার মতো আরও অনেকেই আছেন যারা বয়স্ক ভাতার আওতায় আসেননি। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রায়ই প্রকাশিত হয়।

দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অন্যতম অংশ হলো বয়স্ক ভাতা। নারী হলে ৬২ বছর বয়সের পরই এই ভাতা পাওয়ার অধিকার থাকার কথা। কিন্তু আনোয়ারার মতো একজন বিধবা এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ নারী বছরের পর বছর সেই ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার ধরনা দিয়েও ফল পাননি।

স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তা ভাতার কার্ড না পাওয়ার কারণ হিসেবে আবেদনপত্রে মোবাইল নম্বর না থাকার কথা বলেছেন। এটি কতটা গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। একজন দরিদ্র নারীর পক্ষে মোবাইল ফোন রাখা সম্ভব কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও উপেক্ষিত মানুষটির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। আনোয়ারার মতো মানুষদের জন্য সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে রাষ্ট্রীয় সহায়তার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। প্রকৃত উপকারভোগীকে খুঁজে বের করে সক্রিয়ভাবে সহায়তা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব।

দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোতে এখনো অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। আনোয়ারার মতো আর কোনো বৃদ্ধাকে যেন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে রাষ্ট্রের ভাতার আশায় মানবেতর দিন কাটাতে না হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

tab

সম্পাদকীয়

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

জামালপুরের মাদারগঞ্জের প্রবীণ নারী আনোয়ারার বয়স ৭৮ বছর। ৪২ বছর আগে স্বামী হারিয়েছেন। একমাত্র মেয়েকেও হারিয়েছেন প্রায় দুই দশক আগে। এখন তিনি নিঃসঙ্গ, অসহায়। তার নেই কোনো জায়গা-জমি, নেই নিশ্চিত আশ্রয়। প্রান্তিক এই দরিদ্র নারী এখনো বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জামালপুরের এই প্রবীণ নারীর জীবনের গল্প নিছক একটি মানবিক দুর্ভোগ নয়, এটি দেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি বাস্তব চিত্র। তার মতো আরও অনেকেই আছেন যারা বয়স্ক ভাতার আওতায় আসেননি। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রায়ই প্রকাশিত হয়।

দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অন্যতম অংশ হলো বয়স্ক ভাতা। নারী হলে ৬২ বছর বয়সের পরই এই ভাতা পাওয়ার অধিকার থাকার কথা। কিন্তু আনোয়ারার মতো একজন বিধবা এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ নারী বছরের পর বছর সেই ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বহুবার ধরনা দিয়েও ফল পাননি।

স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তা ভাতার কার্ড না পাওয়ার কারণ হিসেবে আবেদনপত্রে মোবাইল নম্বর না থাকার কথা বলেছেন। এটি কতটা গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। একজন দরিদ্র নারীর পক্ষে মোবাইল ফোন রাখা সম্ভব কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি তখনই অর্থবহ হয়, যখন তা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও উপেক্ষিত মানুষটির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়। আনোয়ারার মতো মানুষদের জন্য সেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে রাষ্ট্রীয় সহায়তার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে। প্রকৃত উপকারভোগীকে খুঁজে বের করে সক্রিয়ভাবে সহায়তা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব।

দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোতে এখনো অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। আনোয়ারার মতো আর কোনো বৃদ্ধাকে যেন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে রাষ্ট্রের ভাতার আশায় মানবেতর দিন কাটাতে না হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top