অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অবশেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিশ্চয়তা, সন্দেহ-সংশয়ের অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়। নির্বাচন কমিশন এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনমুখী প্রস্তুতির পথে এগোতে পারবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসবের দিক থেকে, শান্তি-শৃঙ্খলার দিক থেকে, ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে, সে জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করতে তারা সবার মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করবেন।”
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, দেশের সব মানুষ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, সেটা কি সন্দেহাতীত?
ভোটারদের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেবল ভোটের দিনই নয়, ভোটের আগে ও পরে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করে সেটা দেখার বিষয়।
নির্বাচনে টাকার ব্যবহার, প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে হলে এসব চর্চার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন প্রভাবিত করতে অর্থের ব্যবহার বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন কি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যথেষ্ট সক্ষমতা দেখাতে পারবে?
নির্বাচনে সব ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে প্রার্থী হতে পারে, ভোট দিতে পারে এবং নির্বিঘেœ ভোটের আগে-পরে নিরাপদে থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া কি তাদের পক্ষে সম্ভব হবে?
নারী ভোটারদের উৎসাহিত করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ঘোষণা প্রশংসনীয় হলেও বাস্তবে এটি কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী বিরোধী উগ্র গোষ্ঠীর উত্থান এবং প্রভাব উদ্বেগজনক। অন্তর্বর্তী সরকার কি সেই গোষ্ঠীগুলোকে দমন করে নারীদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পারবে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া গেলে বুঝা যাবে আগামী নির্বাচন আনন্দ-উৎসব, শান্তি-শৃঙ্খলা, ভোটার উপস্থিতি এবং সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে কিনা!
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অবশেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিশ্চয়তা, সন্দেহ-সংশয়ের অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়। নির্বাচন কমিশন এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনমুখী প্রস্তুতির পথে এগোতে পারবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসবের দিক থেকে, শান্তি-শৃঙ্খলার দিক থেকে, ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে, সে জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করতে তারা সবার মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করবেন।”
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, দেশের সব মানুষ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, সেটা কি সন্দেহাতীত?
ভোটারদের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেবল ভোটের দিনই নয়, ভোটের আগে ও পরে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করে সেটা দেখার বিষয়।
নির্বাচনে টাকার ব্যবহার, প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে হলে এসব চর্চার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন প্রভাবিত করতে অর্থের ব্যবহার বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন কি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যথেষ্ট সক্ষমতা দেখাতে পারবে?
নির্বাচনে সব ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে প্রার্থী হতে পারে, ভোট দিতে পারে এবং নির্বিঘেœ ভোটের আগে-পরে নিরাপদে থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া কি তাদের পক্ষে সম্ভব হবে?
নারী ভোটারদের উৎসাহিত করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ঘোষণা প্রশংসনীয় হলেও বাস্তবে এটি কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী বিরোধী উগ্র গোষ্ঠীর উত্থান এবং প্রভাব উদ্বেগজনক। অন্তর্বর্তী সরকার কি সেই গোষ্ঠীগুলোকে দমন করে নারীদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পারবে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া গেলে বুঝা যাবে আগামী নির্বাচন আনন্দ-উৎসব, শান্তি-শৃঙ্খলা, ভোটার উপস্থিতি এবং সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে কিনা!