alt

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

: বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অবশেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিশ্চয়তা, সন্দেহ-সংশয়ের অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়। নির্বাচন কমিশন এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনমুখী প্রস্তুতির পথে এগোতে পারবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসবের দিক থেকে, শান্তি-শৃঙ্খলার দিক থেকে, ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে, সে জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করতে তারা সবার মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করবেন।”

প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, দেশের সব মানুষ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, সেটা কি সন্দেহাতীত?

ভোটারদের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেবল ভোটের দিনই নয়, ভোটের আগে ও পরে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করে সেটা দেখার বিষয়।

নির্বাচনে টাকার ব্যবহার, প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে হলে এসব চর্চার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন প্রভাবিত করতে অর্থের ব্যবহার বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন কি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যথেষ্ট সক্ষমতা দেখাতে পারবে?

নির্বাচনে সব ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে প্রার্থী হতে পারে, ভোট দিতে পারে এবং নির্বিঘেœ ভোটের আগে-পরে নিরাপদে থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া কি তাদের পক্ষে সম্ভব হবে?

নারী ভোটারদের উৎসাহিত করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ঘোষণা প্রশংসনীয় হলেও বাস্তবে এটি কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী বিরোধী উগ্র গোষ্ঠীর উত্থান এবং প্রভাব উদ্বেগজনক। অন্তর্বর্তী সরকার কি সেই গোষ্ঠীগুলোকে দমন করে নারীদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পারবে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া গেলে বুঝা যাবে আগামী নির্বাচন আনন্দ-উৎসব, শান্তি-শৃঙ্খলা, ভোটার উপস্থিতি এবং সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে কিনা!

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

tab

সম্পাদকীয়

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অবশেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিশ্চয়তা, সন্দেহ-সংশয়ের অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়। নির্বাচন কমিশন এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনমুখী প্রস্তুতির পথে এগোতে পারবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসবের দিক থেকে, শান্তি-শৃঙ্খলার দিক থেকে, ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে, সে জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করতে তারা সবার মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করবেন।”

প্রধান উপদেষ্টার এই প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, দেশের সব মানুষ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা, সেটা কি সন্দেহাতীত?

ভোটারদের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কেবল ভোটের দিনই নয়, ভোটের আগে ও পরে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করে সেটা দেখার বিষয়।

নির্বাচনে টাকার ব্যবহার, প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানির বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভালো নির্বাচন আয়োজন করতে হলে এসব চর্চার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন প্রভাবিত করতে অর্থের ব্যবহার বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন কি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যথেষ্ট সক্ষমতা দেখাতে পারবে?

নির্বাচনে সব ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে প্রার্থী হতে পারে, ভোট দিতে পারে এবং নির্বিঘেœ ভোটের আগে-পরে নিরাপদে থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কি সেটা করা সম্ভব হবে? নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া কি তাদের পক্ষে সম্ভব হবে?

নারী ভোটারদের উৎসাহিত করার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ঘোষণা প্রশংসনীয় হলেও বাস্তবে এটি কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারী বিরোধী উগ্র গোষ্ঠীর উত্থান এবং প্রভাব উদ্বেগজনক। অন্তর্বর্তী সরকার কি সেই গোষ্ঠীগুলোকে দমন করে নারীদের নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পারবে?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পাওয়া গেলে বুঝা যাবে আগামী নির্বাচন আনন্দ-উৎসব, শান্তি-শৃঙ্খলা, ভোটার উপস্থিতি এবং সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে কিনা!

back to top