alt

সম্পাদকীয়

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

: শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন জেলার সড়কে একদিনে অন্তত ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। সেখানে একই পরিবারের সাতজন মারা গেছেন। ওমান ফেরত একজন প্রবাসী পরিবারসহ লক্ষ্মীপুর যাওয়ার পথে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন দুর্ঘটনা কি কেবল একজন চালকের ক্লান্তি বা অসতর্কতার কারণে ঘটেছে?

রাতভর গাড়ি চালানো একজন চালকের বিশ্রামের সুযোগ ছিল না কেন? মহাসড়কের পাশে সুরক্ষিত বেষ্টনী বা রেলিং ছিল না কেন? জরুরি উদ্ধারকাজ দ্রুত চালানোর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যথাযথ প্রস্তুতি কি ছিল?

সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে দুজন মারা গেছেন। এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সড়কে ভারী ও হালকা যানবাহনের জন্য আলাদা লেন নেই, নেই গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, নেই যাত্রীবাহী যানবাহনের যথাযথ নজরদারি।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। চালকের ঘুমিয়ে পড়া, যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, লাইসেন্সবিহীন চালক, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, সড়ক নির্মাণের ত্রুটি ও পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ না থাকাই এ মৃত্যুগুলোর প্রকৃত কারণ।

দুর্ঘটনার কোনো কোনো ঘটনায় মামলা হয়। কিন্তু তদন্ত ঝুলে থাকে। ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ন্যায়বিচার পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। আইনি প্রক্রিয়া জোরদার না হওয়া এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেই এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অবিলম্বে কার্যকর ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের বিশ্রামের নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মানতে হবে। বিশ্রামের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে পুলিশ ও বিআরটিএকে আরও কঠোর হতে হবে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। প্রতিটি দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

অবৈধ মিনি পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

অজগর হত্যা : বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় চাই জনসচেতনতা

লেভেল ক্রসিংয়ে প্রাণহানি : অব্যবস্থাপনার দুর্ভাগ্যজনক চিত্র

ঠাকুরগাঁওয়ে জলাতঙ্ক টিকার সংকট দূর করুন

পাহাড় কাটা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

বনমালীনগরে পাকা সড়কের জন্য আর কত অপেক্ষা

সার বিতরণ ব্যবস্থায় অনিয়ম বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন

গাবতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংকট দূর করুন

গ্যাস অপচয় ও অব্যবস্থাপনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই

সুন্দরবনের বাঘ : সাফল্যের পরিসংখ্যান, চ্যালেঞ্জের বাস্তবতা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে হামলা : প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনের ভূমিকা

পীরগঞ্জে গবাদিপশুর চিকিৎসা নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগ

তিস্তায় অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর হোন

রায়গঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

অবাধ গাছ কাটা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

দাদনের ফাঁদে আটকে পড়া জেলে সমাজ

জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ আমলে নিন

অব্যবস্থাপনার অনাকাঙ্ক্ষিত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

একটি ট্র্যাজেডি, কিছু প্রশ্ন

আসামী ‘অজ্ঞাতনামা’, হয়রানি সাধারণ মানুষের

পাট চাষিদের বিকল্প পচন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করুন

পুরোনো যানবাহন অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন

খাল দখল-ভরাট বন্ধে কঠোর হোন

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

tab

সম্পাদকীয়

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন জেলার সড়কে একদিনে অন্তত ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। সেখানে একই পরিবারের সাতজন মারা গেছেন। ওমান ফেরত একজন প্রবাসী পরিবারসহ লক্ষ্মীপুর যাওয়ার পথে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন দুর্ঘটনা কি কেবল একজন চালকের ক্লান্তি বা অসতর্কতার কারণে ঘটেছে?

রাতভর গাড়ি চালানো একজন চালকের বিশ্রামের সুযোগ ছিল না কেন? মহাসড়কের পাশে সুরক্ষিত বেষ্টনী বা রেলিং ছিল না কেন? জরুরি উদ্ধারকাজ দ্রুত চালানোর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যথাযথ প্রস্তুতি কি ছিল?

সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে দুজন মারা গেছেন। এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সড়কে ভারী ও হালকা যানবাহনের জন্য আলাদা লেন নেই, নেই গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, নেই যাত্রীবাহী যানবাহনের যথাযথ নজরদারি।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। চালকের ঘুমিয়ে পড়া, যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, লাইসেন্সবিহীন চালক, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, সড়ক নির্মাণের ত্রুটি ও পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ না থাকাই এ মৃত্যুগুলোর প্রকৃত কারণ।

দুর্ঘটনার কোনো কোনো ঘটনায় মামলা হয়। কিন্তু তদন্ত ঝুলে থাকে। ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ন্যায়বিচার পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। আইনি প্রক্রিয়া জোরদার না হওয়া এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেই এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অবিলম্বে কার্যকর ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের বিশ্রামের নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মানতে হবে। বিশ্রামের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে পুলিশ ও বিআরটিএকে আরও কঠোর হতে হবে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। প্রতিটি দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

back to top