দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন জেলার সড়কে একদিনে অন্তত ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। সেখানে একই পরিবারের সাতজন মারা গেছেন। ওমান ফেরত একজন প্রবাসী পরিবারসহ লক্ষ্মীপুর যাওয়ার পথে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন দুর্ঘটনা কি কেবল একজন চালকের ক্লান্তি বা অসতর্কতার কারণে ঘটেছে?
রাতভর গাড়ি চালানো একজন চালকের বিশ্রামের সুযোগ ছিল না কেন? মহাসড়কের পাশে সুরক্ষিত বেষ্টনী বা রেলিং ছিল না কেন? জরুরি উদ্ধারকাজ দ্রুত চালানোর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যথাযথ প্রস্তুতি কি ছিল?
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে দুজন মারা গেছেন। এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সড়কে ভারী ও হালকা যানবাহনের জন্য আলাদা লেন নেই, নেই গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, নেই যাত্রীবাহী যানবাহনের যথাযথ নজরদারি।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। চালকের ঘুমিয়ে পড়া, যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, লাইসেন্সবিহীন চালক, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, সড়ক নির্মাণের ত্রুটি ও পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ না থাকাই এ মৃত্যুগুলোর প্রকৃত কারণ।
দুর্ঘটনার কোনো কোনো ঘটনায় মামলা হয়। কিন্তু তদন্ত ঝুলে থাকে। ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ন্যায়বিচার পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। আইনি প্রক্রিয়া জোরদার না হওয়া এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেই এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অবিলম্বে কার্যকর ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের বিশ্রামের নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মানতে হবে। বিশ্রামের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে পুলিশ ও বিআরটিএকে আরও কঠোর হতে হবে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। প্রতিটি দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫
দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন জেলার সড়কে একদিনে অন্তত ১১ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। সেখানে একই পরিবারের সাতজন মারা গেছেন। ওমান ফেরত একজন প্রবাসী পরিবারসহ লক্ষ্মীপুর যাওয়ার পথে চালক ঘুমিয়ে পড়ায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন দুর্ঘটনা কি কেবল একজন চালকের ক্লান্তি বা অসতর্কতার কারণে ঘটেছে?
রাতভর গাড়ি চালানো একজন চালকের বিশ্রামের সুযোগ ছিল না কেন? মহাসড়কের পাশে সুরক্ষিত বেষ্টনী বা রেলিং ছিল না কেন? জরুরি উদ্ধারকাজ দ্রুত চালানোর জন্য স্থানীয় পর্যায়ে যথাযথ প্রস্তুতি কি ছিল?
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে দুজন মারা গেছেন। এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সড়কে ভারী ও হালকা যানবাহনের জন্য আলাদা লেন নেই, নেই গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, নেই যাত্রীবাহী যানবাহনের যথাযথ নজরদারি।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। চালকের ঘুমিয়ে পড়া, যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, লাইসেন্সবিহীন চালক, দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো, সড়ক নির্মাণের ত্রুটি ও পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ না থাকাই এ মৃত্যুগুলোর প্রকৃত কারণ।
দুর্ঘটনার কোনো কোনো ঘটনায় মামলা হয়। কিন্তু তদন্ত ঝুলে থাকে। ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ন্যায়বিচার পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। আইনি প্রক্রিয়া জোরদার না হওয়া এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবেই এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অবিলম্বে কার্যকর ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। চালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাদের বিশ্রামের নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মানতে হবে। বিশ্রামের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। সড়ক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে পুলিশ ও বিআরটিএকে আরও কঠোর হতে হবে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। প্রতিটি দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।